বিষয়বস্তুতে চলুন
উইকিপিডিয়া একটি মুক্ত বিশ্বকোষ

হেয়াত মামুদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এই নিবন্ধটি একজন মধ্যযুগীয় কবি সম্পর্কে। আধুনিক যুগের লেখকের জন্য হায়াৎ মামুদ দেখুন।
হেয়াত মামুদ
জন্ম১৬৯৩
ঝাড়বিশিলা, রংপুর
মৃত্যু১৭৬০(1760-00-00) (বয়স ৬৬–৬৭)
রংপুর
সমাধিঝাড়বিশিলা
পেশাকাজী ও কবি
উল্লেখযোগ্য কর্ম
নিচে দেখুন
আদি নিবাসরংপুর
পিতা-মাতা
  • শাহ কবীর (পিতা)
  • খায়রুন্নেছা[] (মাতা)

হেয়াত মামুদ (১৬৯৩ – ১৭৬০) ছিলেন মধ্যযুগের একজন বাঙালী কবি। তার কবিতায় রংপুর অঞ্চলের ভাষারীতির ছাঁপ স্পষ্ট। মধ্যযুগীয় অন্যান্য কাব্যের মতো তার কাব্যগুলো ধর্ম-কেন্দ্রীক হলেও তাতে সমাজ-সচেতনতা ও পরমত সহিষ্ণুতার পরিচয় পাওয়া যায়।[] বাংলা সাহিত্যে মধ্যযুগীয় কাব্যধারার শেষ কবি তিনি।[]

প্রাথমিক জীবন

[সম্পাদনা ]

মামুদ ১৬৯৩ সালে রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ঝাড়বিশলা গ্রামে জন্ম নেন।[] [] তার পিতা শাহ কবির মামুদ ছিলেন ঘোড়াঘাট সরকারের দেওয়ান এবং তিনি নিজে ছিলেন ওই সরকারের কাজী।[] ব্যক্তিজীবনে তিনি সাধক ও সাত্ত্বিক পুরুষ ছিলেন এবং সূফী সাধনার প্রতি ছিল তার গভীর অনুরাগ।

সাহিত্যকর্ম

[সম্পাদনা ]

তিনি মোট চারটি কাব্য রচনা করেন।[] হেয়াত মামুদ জন্মগত ভাবে রংপুরের অধিবাসী থাকায় তার সাহিত্যে রংপুর অঞ্চলের ভাষা ও ভাষারীতির ব্যবহার রয়েছে। জঙ্গনামা (১৭২৩) কাব্যগ্রন্থে রয়েছে কারবালার বিষাদময় কাহিনীর বিবরণ। এটি মূলত ফারসি কাব্যের অনুসরণে রচিত। সর্বভেদবাণী (১৭৩২) কাব্যে রয়েছে নীতিকথামূলক বয়ান। মামুদ সংস্কৃত পঞ্চতন্ত্র কাব্যের ফারসি অনুবাদ মফরেহুল-কুলুব থেকে এর উপাদান সংগ্রহ করেন।

"যার বিদ্যা নাই সে জানে না ভাল মন্দ, শিরে দুই চক্ষু আছে তথাপি সে অন্ধ" - তার বহুলপ্রচলিত অনেক আধ্যাতিক বানীর মধ্যে একটি।

গ্রন্থের তালিকা

[সম্পাদনা ]

কাব্যগ্রন্থ

[সম্পাদনা ]
  • জঙ্গনামা (১৭২৩)
  • সর্বভেদবাণী (১৭৩২)
  • হিতজ্ঞানবাণী (১৭৫৩)
  • আম্বিয়াবাণী (১৭৫৮)

সম্মাননা

[সম্পাদনা ]

কবি হেয়াত মামুদের সম্মানে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনের নামকরণ করা হয়েছে কবি হেয়াত মামুদ একাডেমিক ভবন[]

মৃত্যু

[সম্পাদনা ]

ধারণা করা হয় আনুমানিক ১৭৬০ সালে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। প্রতি বছর ঝাড়বিশিলায় কবির মাজার প্রাঙ্গণে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে কবির জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী ১৭ ফেব্রুয়ারি পালিত হয়ে আসছে।[] এছাড়াও সরকারি জেলা পরিষদের উদ্যোগে কবির স্মৃতি কেন্দ্র স্থাপিত করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা ]
  1. এবিএম রমজান আলী (৬ নভেম্বর ২০১৫)। "কবি হেয়াত মামুদের কাব্যপাঠ"জনকণ্ঠ 
  2. ওয়াকিল আহমদ (২০১২)। "হেয়াত মামুদ"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  3. "রংপুর জেলা"www.rangpur.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-২৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ ]
  4. "রংপুর জেলা"www.rangpur.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-২৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ ]
  5. ওয়াকিল আহমদ (২০১২)। "হেয়াত মামুদ"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  6. "বেরোবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত"ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম। ডিসেম্বর ১৪, ২০১৪। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১৪, ২০১৪ 
  7. "আজ সাধক কবি হেয়াত মামুদের মৃত্যুবার্ষিকী"নয়াদিগন্ত। ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৬ 

আরো পড়ুন

[সম্পাদনা ]

AltStyle によって変換されたページ (->オリジナル) /