রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ (সাংবাদিক)
রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ | |
---|---|
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি | |
কাজের মেয়াদ ১৯৯৫ – ১৯৯৮ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ৩০ নভেম্বর ১৯৪৫ নারান্দী গ্রাম, মনোহরদী, নরসিংদী, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত। (বর্তমান বাংলাদেশ) |
মৃত্যু | ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ ইউনাইটেড হাসপাতাল, ঢাকা। |
সমাধিস্থল | বনানী কবরস্থান |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | সাংবাদিক |
পুরস্কার | একুশে পদক -১৯৯৩ |
রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ (৩০ নভেম্বর ১৯৪৫- ২৫ ডিসেম্বর ২০২১)[১] বাংলাদেশের সাংবাদিক যিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ছিলেন। সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৯৩ সালে তিনি রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক-এ ভূষিত হন।[২] তিনি নিউজ টুডের সম্পাদক ছিলেন।[৩] বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উপদেষ্টাও ছিলেন তিনি।[৪]
প্রাথমিক জীবন
[সম্পাদনা ]রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ৩০ নভেম্বর ১৯৪৫ সালে নরসিংদীর মনোহরদীর নারান্দী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৭ সালে অর্থনীতিতে এমএ ও ১৯৭২ সালে এলএলবি পাশ করেন।[৫]
তার একমাত্র ছেলে বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা ও পলিসি একচেঞ্জ'র চেয়ারম্যান মাশরুর রিয়াজ।
কর্মজীবন
[সম্পাদনা ]রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ কিছু দিন অধ্যাপনা শেষে ১৯৬৮ সালে পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকায় যােগদানের পূর্বে কিছুদিন অধ্যাপনা করেন। ১৯৭০ সালে তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যকরী পরিষদের সদস্য ছিলেন। ২৫ মার্চ ১৯৭১ সালে পাকিস্তান অবজারভারের চাকরি ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করেন। স্বাধীনতার পর আবার অবজারভারে যােগদান করে নভেম্বর ১৯৯০ সাল পর্যন্ত কাজ করেন।[৫]
১৯৭৩ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সেক্রেটারি জেনারেল এবং ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন।[৫]
তিনি মে ১৯৯২ সালে সার্কভুক্ত দেশসমূহের সাংবাদিক ফেডারেশন সমন্বয়ে গঠিত দক্ষিণ এশিয়া সাংবাদিক সমন্বয় পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। তিনি দ্য ডেইলি স্টারের ডেপুটি এডিটর এবং ১৯৯১ সালে দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফের সম্পাদক ছিলেন। তিনি নিউজ টুডের সম্পাদক। তিনি দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের প্রধান সম্পাদক।[৫]
সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৯৩ সালে তিনি রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক-এ ভূষিত হন।[২] [৫] বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উপদেষ্টাও ছিলেন তিনি।[৪]
গ্রন্থ
[সম্পাদনা ]রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে: -
পুরস্কার ও সম্মাননা
[সম্পাদনা ]- একুশে পদক -১৯৯৩
- শেরে বাংলা পদক
- মওলানা আকরাম খাঁ স্বর্ণপদক
- নরসিংদী প্রেসক্লাব স্বর্ণপদক
- মাদক বিরােধী ফেডারেশন স্বর্ণপদক
মৃত্যু
[সম্পাদনা ]রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ সালের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। বনানী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।[১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা ]- ↑ ক খ "সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ আর নেই"। jagonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-২৫।
- ↑ ক খ "একুশে পদকপ্রাপ্ত সুধীবৃন্দ ও প্রতিষ্ঠান" (পিডিএফ)। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। পৃষ্ঠা ৪। ২২ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ "স্বাধীন সাংবাদিকতার পথ এখন রুদ্ধ"। দৈনিক প্রথম আলো । ৬ জুন ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ ক খ "রাস্তার আন্দোলন ছেড়ে বিএনপি কেন গণস্বাক্ষর-মানববন্ধনের পথে?"। বিবিসি বাংলা । ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন। বাংলাদেশ: অনন্যা। পৃষ্ঠা ১১২। আইএসবিএন 9789844324220।
- ↑ রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। আরব্য রজনী। বাংলাদেশ: কমন। পৃষ্ঠা ১২৮।
- ↑ রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। পারস্য রজনী। কমন। পৃষ্ঠা ১২৮।