রপ্তানি
- العربية
- Asturianu
- Azərbaycanca
- Башҡортса
- Беларуская
- Беларуская (тарашкевіца)
- Български
- Banjar
- Català
- Čeština
- Dansk
- Deutsch
- Zazaki
- English
- Esperanto
- Español
- Eesti
- Euskara
- فارسی
- Français
- Galego
- עברית
- हिन्दी
- Hrvatski
- Magyar
- Հայերեն
- Bahasa Indonesia
- Ido
- Íslenska
- Italiano
- 日本語
- ქართული
- Qaraqalpaqsha
- Қазақша
- ಕನ್ನಡ
- 한국어
- Кыргызча
- Lombard
- Lietuvių
- Latviešu
- Македонски
- മലയാളം
- Монгол
- मराठी
- Bahasa Melayu
- नेपाली
- नेपाल भाषा
- Nederlands
- Norsk nynorsk
- Occitan
- ਪੰਜਾਬੀ
- Polski
- پنجابی
- پښتو
- Português
- Română
- Русский
- Srpskohrvatski / српскохрватски
- Simple English
- Slovenčina
- Slovenščina
- Shqip
- Српски / srpski
- Svenska
- தமிழ்
- Тоҷикӣ
- ไทย
- Tagalog
- Türkçe
- Татарча / tatarça
- Українська
- Oʻzbekcha / ўзбекча
- Vèneto
- Tiếng Việt
- 吴语
- 中文
- 閩南語 / Bân-lâm-gú
- 粵語
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে রপ্তানি হল একটি দেশে উৎপাদিত পণ্য অন্য দেশে বিক্রি করা বা অন্য দেশের নাগরিক বা বাসিন্দাদের জন্য পরিষেবা সরবরাহ করা। এই ধরনের পণ্যের বিক্রেতা বা পরিষেবা প্রদানকারীকে রপ্তানিকারক বলা হয়। অন্যদিকে ওই পন্যের ক্রেতা বা পরিষেবা গ্রহণকারীকে আমদানিকারক বলা হয়।[১] আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বর্তমানে প্রায় সব ধরনের পণ্য আমদানি এবং রপ্তানি করা হয়। পরিসেবাগুলির মধ্যে আর্থিক, অ্যাকাউন্টিং এবং অন্যান্য পেশাদার পরিষেবা, পর্যটন, শিক্ষা এবং সেইসাথে মেধা সম্পত্তি অধিকার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
পণ্য রপ্তানিতে প্রায়ই কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সম্পৃক্ততার প্রয়োজন হয়।
প্রতিষ্ঠান
[সম্পাদনা ]বর্তমান বিশ্বের অনেক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রপ্তানিকারক হিসাবে তাদের বিশ্বব্যাপী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অনেক প্রতিষ্ঠান প্রথমে তাদের কার্যক্রম দেশের মানুষের ভোগের জন্য উৎপাদন করলেও আন্তর্জাতিক চাহিদার কারণে তারা নিজেদের রপ্তানি বাণিজ্যে সম্পৃক্ত করেছে। [২]
বাধাসমূহ
[সম্পাদনা ]রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে রপ্তানিকারককে প্রধানত চারটি বাধার সমুক্ষ্মীন হতে হয়: প্রেরণামূলক, তথ্যগত, কর্মক্ষম/সম্পদ-ভিত্তিক এবং জ্ঞানভিত্তিক। [৩] [৪]
দেশীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যগুলিকে বিদেশী প্রতিযোগিতা থেকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন দেশে আইন, প্রবিধান, নীতি প্রণয়ন করে বাণিজ্যে বিভিন্ন বিধিনিষেধ দেয়া হয়। বৈদেশিক বাণিজ্যে সাধারণ বাধাগুলি হচ্ছে সরকার-আরোপিত ব্যবস্থা এবং নীতিসমুহ যা পণ্য ও পরিষেবার আন্তর্জাতিক বিনিময় সীমাবদ্ধ বা প্রতিরোধ করে বা বাধা দেয়। [৫]
কৌশল
[সম্পাদনা ]বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে নির্দিষ্ট ধরনের পণ্য এবং তথ্য হস্তান্তর, যেমন, গণবিধ্বংসী অস্ত্র, উন্নত টেলিযোগাযোগ, অস্ত্র এবং কিছু শিল্প ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসহ অন্যান্য বাণিজ্য সীমিত করা হয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ:
- নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার গ্রুপ পারমাণবিক অস্ত্র এবং সংশ্লিষ্ট পণ্যের বাণিজ্য সীমিত করেছে (এতে ৪৫টি দেশ অংশগ্রহণ করেছে)।
- অস্ট্রেলিয়া গ্রুপ রাসায়নিক ও জৈবিক অস্ত্র এবং সংশ্লিষ্ট পণ্যের বাণিজ্য সীমিত করেছে (অংশগ্রহণকারী ৩৯ দেশ)।
- ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গণবিধ্বংসী অস্ত্র সরবরাহের বাণিজ্য সীমিত করেছে (৩৫টি দেশ)।
- ওয়াসেনার ব্যবস্থা প্রচলিত অস্ত্র ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের বাণিজ্য সীমিত করেছে (৪০টি দেশ)।
শুল্ক
[সম্পাদনা ]শুল্ক হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট পণ্যের উপর একটি নির্দিষ্ট কর বা এক দেশ থেকে রপ্তানি করা বা আমদানি করা পণ্যের বা বাণিজ্যের উপর একটি অর্থনৈতিক বাধা। [৬] আমদানি বা রপ্তানি শুল্ক পণ্যের খরচ বাড়ায় ফলে দেশীয় উৎপাদকদের সাঠে আমদানিকারকদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ব্যবসায় করতে অসুবিধা হয়। এতে বৈদেশিক বাণিজ্য সীমিত হয়। নির্দিষ্ট কোনো দেশীয় শিল্পকে রক্ষা করতেও শুল্ক ব্যবহার করা হয়।[৭]
সুবিধা
[সম্পাদনা ]রপ্তানি বাণিজ্যর কারণে বিভিন্ন দেশে উৎপাদন কার্যক্রম প্রতিষ্ঠার খরচ এড়ানো যায়। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র একটি দেশে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করে বিভিন্ন দেশে উৎপাদিত পণ্য বা পরিষেবা রপ্তানি বাণিজ্যের মাধ্যমে পৌঁছানো সম্ভব হয়।[২]
রপ্তানি একটি কোম্পানিকে অবস্থান অর্থনীতি বা অবস্থানগত সুবিধা অর্জনে সহায়তা করতে পারে।[২] কোম্পানির সম্পদ, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা এবং কম খরচে বা আলাদা পণ্য তৈরি করার সক্ষমতা বাড়ায়। একটি নির্দিষ্ট বাজারের অবস্থানগত সুবিধার মধ্যে রয়েছে খরচ, বাজারের সম্ভাবনা এবং বিনিয়োগ ঝুঁকির সমন্বয়।[৮]
অসুবিধা
[সম্পাদনা ]বিদেশে উপযুক্ত অবস্থান না পাওয়া পর্যন্ত রপ্তানি কার্যকর করা সম্ভব নাও হতে পারে।
উচ্চ পরিবহন খরচ বিশেষ করে বাল্ক পণ্যের জন্য রপ্তানিকে অলাভজনক করে তুলতে পারে। বাণিজ্য বাধা এবং বিভিন্ন শুল্কের কারণে পণ্য বা পরিষেবা রপ্তানি অলাভজনক হতে পারে।[২]
আরোও দেখুন
[সম্পাদনা ]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা ]- ↑ Joshi, Rakesh Mohan, International Marketing, Oxford University Press, New Delhi and New York. আইএসবিএন ০-১৯-৫৬৭১২৩-৬
- ↑ ক খ গ ঘ Dr, Charles W. L. Hill (২০১৪-০২-১০)। International Business: Competing in the Global Marketplace (ইংরেজি ভাষায়)। McGraw-Hill Education। আইএসবিএন 978-0-07-811277-5।
- ↑ Seringhaus, F. R (১৯৯০)। Government export promotion: A global perspective। Routledge। পৃষ্ঠা 1। আইএসবিএন 0415000645।
- ↑ Stouraitis, Vassilios; Boonchoo, Pattana (২০১৭)। "Entrepreneurial perceptions and bias of SME exporting opportunities for manufacturing exporters: A UK study.": 906–927। ডিওআই:10.1108/JSBED-03-2017-0095।
- ↑ "Targeted Trade Barriers"। cftech.com। ২৯ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৫।
- ↑ Staff, Investopedia (২৪ নভেম্বর ২০০৩)। "Tariff"। Investopedia (ইংরেজি ভাষায়)। ৬ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৭।
- ↑ "What Are Tariffs and How Do They Affect the Economy?"। ThoughtCo (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-১৮।
- ↑ "What Are Exports?"। The Balance (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-১৮।