বিষয়বস্তুতে চলুন
উইকিপিডিয়া একটি মুক্ত বিশ্বকোষ

পখালা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পখালা
প্রকারসাজ পখালা (টাটকা ভাত), বাসি পখালা (শুকনো ভাত), জিরা পখালা (জিরা ভাত), দহি পখালা (দই ভাত)
উৎপত্তিস্থলভারতীয় উপমহাদেশ
অঞ্চল বা রাজ্যওড়িশা
সংশ্লিষ্ট জাতীয় রন্ধনশৈলী ওড়িয়া রন্ধনশৈলী
পরিবেশনগরম ও ঠাণ্ডা
প্রধান উপকরণরান্না করা ভাত
ভিন্নতাপান্তা ভাত
ভারতীয় রন্ধনশৈলী
সিরিজের অন্তর্গত নিবন্ধ
আঞ্চলিক রন্ধনশৈলী
উত্তর ভারত
দক্ষিণ ভারত
পূর্ব
পশ্চিম ভারত
উত্তর পূর্ব ভারত
অন্যান্য
লেবু ও অন্যান্য পদের সাথে পখালা


পখালা (ওড়িয়া: ପଖାଳ Pakhāḷa, ওড়িয়া উচ্চারণ: [pɔkhaɭɔ] ) একটি ওড়িয়া রন্ধনপ্রণালী, যা জলে ধুয়ে বা হালকাভাবে গাঁজানো ভাত নিয়ে গঠিত। খাদ্যটির তরল অংশটি তোরাণী ওড়িয়া: ତୋରାଣି নামে পরিচিত।[] এটি ওড়িশা রাজ্যে জনপ্রিয় এবং ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, বাংলা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম ও ত্রিপুরার মতো পূর্বঅঞ্চলে এর অনুরূপ রূপগুলি জনপ্রিয়। এটি এমন একটি খাদ্য যা গ্রীষ্মের সময় খাওয়া হয়; যদিও অনেকে এটি সারা বছর ধরে খান, বিশেষত মধ্যাহ্নভোজের জন্য। এটি জনসাধারণের মধ্যে জনপ্রিয় কারণ এটি গরম আবহাওয়ার সময় একটি সতেজ খাদ্য উৎসের জোগান দেয় এবং শরীরের পুষ্টির চাহিদা পুনরায় পূরণ করে। একটি ঐতিহ্যবাহী ওড়িয়া খাবার হিসেবে এটি ভাত, দই, শসা, জিরা, ভাজা পেঁয়াজ এবং পুদিনা পাতা দিয়ে প্রস্তুত করা হয়। এটি জনপ্রিয়ভাবে শুকনো ভাজা শাকসব্জী যেমন আলু, বেগুন, বড়ি এবং শাক ভাজা বা ভাজা মাছের সাথে পরিবেশন করা হয়। [] []

ব্যুৎপত্তি

[সম্পাদনা ]

"পখালা" শব্দটি পালি শব্দ "পখালিতা" (ওড়িয়া: ପଖାଳିତା এবং সংস্কৃত শব্দ "প্রক্ষালন" (Sanskrit: प्रक्षाळन) থেকে উদ্ভূত হয়েছে যার অর্থ "ধোয়া হয়েছে / ধুয়ে ফেলা"।

ইতিহাস

[সম্পাদনা ]

পূর্ব ভারতের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় পখালা প্রথম কবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল তা অজানা, তবে এটি প্রায় ১০শ শতকে পুরীর ভগবান জগন্নাথ মন্দিরের রন্ধন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। মনে করা হয় পখালা প্রথম ওড়িশায় চালু হয়েছিল। ওড়িশায় প্রতি বছর ২০ শে মার্চ পখালা দিবস নামে একটি বিশেষ দিন পালিত হয়। সমস্ত ওড়িয়া লোকেরা এই দিনটি উদযাপন করে। পখালা ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্ব অংশে (নেপাল এবং মায়ানমারের কিছু অংশ সহ) খাওয়া হয়। অর্জুন দাসের সাহিত্যকর্ম কাপ্পালতায় (১৫২০-১৫৩০ খ্রিষ্টাব্দ) ওড়িয়া কবিতায় পখালা শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছিল। []

আরও দেখুন

[সম্পাদনা ]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা ]
  1. J. Tharu, Lalita, Susie, Ke (১৯৯৩)। Women Writing in India: The twentieth century. Vol II। Feminist Press। পৃষ্ঠা 688। আইএসবিএন 9781558610293 উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
  2. Pati, Charupadma (৭ জুন ২০১৯)। "Beating The Heat: A Sneak Peek Into Exotic Drinks Of Odisha"Outlook উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
  3. Charmaine O' Brien (১৫ ডিসেম্বর ২০১৩)। The Penguin Food Guide to India। Penguin Books। আইএসবিএন 9789351185758 উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
  4. Panda, Shishir Kumar (১৯৯১)। Medieval Orissa: a socio-economic study। Mittal Publications। পৃষ্ঠা 152। আইএসবিএন 9788170992615 উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা ]
উত্তর ভারত
মুঘলাই
পাঞ্জাবি
কাশ্মীরি
অন্যান্য
দক্ষিণ
হায়দ্রাবাদি
অন্যান্য
West
Gujarati
Maharashtrian
অন্যান্য
East
Bengali
Odia
Bihari
অন্যান্য
ভারতীয় প্রবাসী
উইকিমিডিয়া কমন্সে পখালা সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।

AltStyle によって変換されたページ (->オリジナル) /