বিষয়বস্তুতে চলুন
উইকিপিডিয়া একটি মুক্ত বিশ্বকোষ

উলুমুল কুরআন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
উলুমুল কুরআন
বাংলা সংস্করণের প্রচ্ছদ
লেখকমুহাম্মদ তাকি উসমানি
মূল শিরোনামউর্দু: علوم القرآن‎‎
দেশপাকিস্তান
ভাষাউর্দু
বিষয়তাফসীর
প্রকাশিত১৯৭৬
প্রকাশকদারুল উলুম করাচি
মিডিয়া ধরনশক্তমলাট
পৃষ্ঠাসংখ্যা৫০৮
আইএসবিএন  ৯৭৮৮১৭৪৩৫৪২১১
ওসিএলসি ৫২৮৫৩৩০৬
ওয়েবসাইটmuftitaqiusmani.com

উলুমুল কুরআন (উর্দু: علوم القرآن‎‎) মুহাম্মদ তাকি উসমানির উর্দু ভাষায় রচিত কুরআনের তাফসীর সম্পর্কিত একটি বই। এটি মূলত তিনি তার পিতার রচিত মাআরিফুল কুরআনের ভূমিকা স্বরূপ রচনা করেছিলেন। ভূমিকাটির কলেবর বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশ করেন। ১৯৭৬ সালে দারুল উলুম করাচি থেকে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়। পৃষ্ঠা সংখ্যা পাঁচ শতাধিক। গ্রন্থটি দুইভাগে বিভক্ত। প্রথমভাগে কুরআন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এইভাগে ৮টি অধ্যায় রয়েছে। দ্বিতীয়ভাগে আলোচিত হয়েছে কুরআনের তাফসীর। এইভাগে আছে ৪ টি অধ্যায়।[] ২০০৭ সালে "An Approach to the Quranic Sciences" নামে গ্রন্থটির ইংরেজি অনুবাদ হয়েছে। অনুবাদক মুহাম্মদ সালেহ সিদ্দিকী।[]

বর্ণনা

[সম্পাদনা ]

এই গ্রন্থে লেখক ওহির অর্থ, অবতরণের তারিখ, বিভিন্ন কেরাত, নাসেখ, মানসুখ, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগ থেকে বর্তমান পর্যন্ত সংরক্ষণ ইত্যাদি কুরআনের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করেন। কুরআন সংরক্ষণের বিষয়ে উত্থাপিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেছেন। এই গ্রন্থে কুরআনের তাফসীর সংক্রান্ত মৌলিক কিছু নীতিমালা নির্ভরযোগ্য ও অনির্ভরযোগ্য কিছু তাফসীরগ্রন্থ সম্পর্কে আলোচনা রয়েছে। ইসলামের প্রথম শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মুফাসসির ও তাফসীরের ক্ষেত্রে তাদের অবদানও উল্লেখ করেছেন। সেই সাথে তাফসীরের ক্ষেত্রে কারা অগ্রহণযোগ্য তাদের আলোচনাও করেছেন। সর্বশেষে তিনি প্রথম শতাব্দীর পরবর্তী কিছু তাফসীর গ্রন্থের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা করেন।[]

মূল্যায়ন

[সম্পাদনা ]

মুহাম্মদ ইউসুফ বিন্নুরী বলেন,

" আমার দীর্ঘদিন যাবত আকাঙ্ক্ষা ছিল যে, নতুন যুগের মানুষের দিক নির্দেশনামূলক একটি বিস্তারিত কিতাব রচিত হোক। যার মধ্যে ওহির অর্থ, অবতরণের তারিখ ও ইতিহাস, কুরআনের বিভিন্ন কেরাত, কুরআনের অলৌকিকত্ব ইত্যাদির আলোচনা থাকবে। প্রাচ্যবিদদের পক্ষ থেকে উত্থাপিত সকল সন্দেহের নিরসন পেশ করা হবে। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তাআলার শোকর আমাদের সকলের শ্রদ্ধাভাজন মুফতী শফীর সুযোগ্য উত্তরসূরী মুহাম্মদ তাকি উসমানি আমার দীর্ঘদিনের এই প্রত্যাশা পূরণ করার চেষ্টা করেছেন। তিনি এই কিতাব রচনার মাধ্যমে এক বিরাট শূন্যতা পূরণ করলেন। মুসলিম উম্মাহ তার কাছে চিরঋণী হয়ে থাকবে। "
— []

তার পিতা মুহাম্মদ শফি উসমানি বলেন,

" আমার দৃষ্টিশক্তির দুর্বলতার কারণে আমি নিজে দেখে দেখে এই কিতাব পড়তে পারিনি। কিন্তু অন্যের মাধ্যমে এর সব আলোচনাই আমি পড়িয়ে শুনেছি। তখন আমি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি। আমার মনে হয়েছে যে, আমি যদি আমার সুস্থতার সময়ও এমন একটি কিতাব লেখার ইচ্ছা করতাম, তাহলে আমি এমন কিতাব লিখতে পারতাম না। "
— []

আরও দেখুন

[সম্পাদনা ]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা ]

উদ্ধৃতি

[সম্পাদনা ]
  1. নাবি, জহারুদ্দিন; মারজুকি, জুনাইদাহ মুহাম্মদ (৩০ জুন ২০১৭)। "মুফতি মুহাম্মদ তাকি উসমানি এবং কুরআন অধ্যয়নে তার পাণ্ডিত্যপূর্ণ অবদান"আল ইরশাদ: জার্নাল অফ ইসলামিক অ্যান্ড কনটেম্পোরারি ইস্যু (ইংরেজি ভাষায়)। (১): ১০৫–১০৬। আইএসএসএন 2550-1992ডিওআই:10.53840/alirsyad.v2i1.29 
  2. জিল হুমা, ডক্টর (৩০ জুন ২০১৯)। "مفتی محمد تقی عثمانی کی معروف تصنیفات و تالیفات کا تعارفی جائزہ:" [মুফতি মুহাম্মদ তাকি উসমানির বিখ্যাত লেখাগুলির একটি পরিচিতিমূলক পর্যালোচনা]। রাহাতুল কুলুব (ইংরেজি ভাষায়): ১৯৯। আইএসএসএন 2521-2869ডিওআই:10.51411/rahat.3.1.2019.66 
  3. লোকমান হাকীম, মাওলানা (২০১৪)। জাস্টিস মুফতী মুহাম্মদ তকী উসমানী জীবন ও কর্ম। বাংলাবাজার, ঢাকা: মাকতাবাতুল হেরা। পৃষ্ঠা ৯৪–৯৫। আইএসবিএন 9789849112310 

গ্রন্থপঞ্জি

[সম্পাদনা ]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা ]

AltStyle によって変換されたページ (->オリジナル) /