প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ড
- Аԥсшәа
- Acèh
- Адыгабзэ
- Afrikaans
- Alemannisch
- አማርኛ
- Aragonés
- Ænglisc
- العربية
- ܐܪܡܝܐ
- الدارجة
- مصرى
- Asturianu
- Авар
- Kotava
- अवधी
- Aymar aru
- Azərbaycanca
- تۆرکجه
- Башҡортса
- Basa Bali
- Boarisch
- Žemaitėška
- Bikol Central
- Беларуская
- Беларуская (тарашкевіца)
- Betawi
- Български
- भोजपुरी
- Bislama
- ပအိုဝ်ႏဘာႏသာႏ
- བོད་ཡིག
- বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী
- Brezhoneg
- Bosanski
- Basa Ugi
- Буряад
- Català
- Chavacano de Zamboanga
- 閩東語 / Mìng-dĕ̤ng-ngṳ̄
- Нохчийн
- Cebuano
- Chamoru
- ᏣᎳᎩ
- Tsetsêhestâhese
- کوردی
- Corsu
- Qırımtatarca
- Čeština
- Kaszëbsczi
- Словѣньскъ / ⰔⰎⰑⰂⰡⰐⰠⰔⰍⰟ
- Чӑвашла
- Cymraeg
- Dansk
- Dagbanli
- Deutsch
- Zazaki
- Dolnoserbski
- डोटेली
- ދިވެހިބަސް
- ཇོང་ཁ
- Eʋegbe
- Ελληνικά
- Emiliàn e rumagnòl
- English
- Esperanto
- Español
- Eesti
- Euskara
- Estremeñu
- فارسی
- Fulfulde
- Suomi
- Võro
- Na Vosa Vakaviti
- Føroyskt
- Français
- Arpetan
- Nordfriisk
- Furlan
- Frysk
- Gaeilge
- Gagauz
- 贛語
- Kriyòl gwiyannen
- Gàidhlig
- Galego
- Avañe'ẽ
- गोंयची कोंकणी / Gõychi Konknni
- 𐌲𐌿𐍄𐌹𐍃𐌺
- Gaelg
- Hausa
- 客家語 / Hak-kâ-ngî
- Hawaiʻi
- עברית
- हिन्दी
- Fiji Hindi
- Hrvatski
- Hornjoserbsce
- Kreyòl ayisyen
- Magyar
- Հայերեն
- Արեւմտահայերէն
- Interlingua
- Bahasa Indonesia
- Interlingue
- Igbo
- Ilokano
- Ido
- Íslenska
- Italiano
- 日本語
- Patois
- La .lojban.
- Jawa
- ქართული
- Qaraqalpaqsha
- Taqbaylit
- Адыгэбзэ
- Kabɩyɛ
- Tyap
- Қазақша
- ភាសាខ្មែរ
- ಕನ್ನಡ
- 한국어
- Перем коми
- Къарачай-малкъар
- Ripoarisch
- Kurdî
- Коми
- Kernowek
- Кыргызча
- Latina
- Ladino
- Lëtzebuergesch
- Лезги
- Limburgs
- Ligure
- Ladin
- Lombard
- Lingála
- ລາວ
- Lietuvių
- Latgaļu
- Latviešu
- Madhurâ
- Basa Banyumasan
- Мокшень
- Malagasy
- Олык марий
- Māori
- Minangkabau
- Македонски
- മലയാളം
- Монгол
- मराठी
- Кырык мары
- Bahasa Melayu
- Malti
- Mirandés
- မြန်မာဘာသာ
- Эрзянь
- مازِرونی
- Plattdüütsch
- Nedersaksies
- नेपाली
- नेपाल भाषा
- Nederlands
- Norsk nynorsk
- Norsk bokmål
- Novial
- Nouormand
- Sesotho sa Leboa
- Diné bizaad
- Occitan
- Livvinkarjala
- Oromoo
- ଓଡ଼ିଆ
- Ирон
- ਪੰਜਾਬੀ
- Pangasinan
- Kapampangan
- Papiamentu
- Picard
- Deitsch
- Norfuk / Pitkern
- Polski
- Piemontèis
- پنجابی
- Ποντιακά
- پښتو
- Português
- Runa Simi
- Rumantsch
- Romani čhib
- Ikirundi
- Română
- Armãneashti
- Tarandíne
- Русский
- Русиньскый
- Ikinyarwanda
- संस्कृतम्
- Саха тыла
- ᱥᱟᱱᱛᱟᱲᱤ
- Sardu
- Sicilianu
- Scots
- سنڌي
- Davvisámegiella
- Srpskohrvatski / српскохрватски
- ၽႃႇသႃႇတႆး
- සිංහල
- Simple English
- Slovenčina
- سرائیکی
- Slovenščina
- Gagana Samoa
- Anarâškielâ
- ChiShona
- Soomaaliga
- Shqip
- Српски / srpski
- Sranantongo
- SiSwati
- Seeltersk
- Svenska
- Kiswahili
- Ślůnski
- தமிழ்
- Tayal
- తెలుగు
- Tetun
- Тоҷикӣ
- ไทย
- Türkmençe
- Tagalog
- Tolışi
- Lea faka-Tonga
- Tok Pisin
- Türkçe
- Xitsonga
- Татарча / tatarça
- Удмурт
- Українська
- اردو
- Oʻzbekcha / ўзбекча
- Tshivenda
- Vèneto
- Vepsän kel’
- Tiếng Việt
- West-Vlams
- Volapük
- Walon
- Winaray
- Wolof
- 吴语
- Хальмг
- მარგალური
- ייִדיש
- Yorùbá
- Vahcuengh
- Zeêuws
- 中文
- 文言
- 閩南語 / Bân-lâm-gú
- 粵語
- IsiZulu
আয়ারল্যান্ড[ক] Éire (আইরিশ) | |
---|---|
কুলচিহ্ন
| |
আয়ারল্যান্ড-এর অবস্থান (গাঢ় সবুজ) – ইউরোপে (সবুজ & গাঢ় ধূসর) – ইউরোপীয় ইউনিয়নে (সবুজ) আয়ারল্যান্ড-এর অবস্থান (গাঢ় সবুজ) – ইউরোপে (সবুজ & গাঢ় ধূসর) | |
রাজধানী ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি | ডাবলিন ৫৩°২০.৬৫′ উত্তর ৬°১৬.০৫′ পশ্চিম / ৫৩.৩৪৪১৭° উত্তর ৬.২৬৭৫০° পশ্চিম / 53.34417; -6.26750 |
সরকারি ভাষা | আইরিশ,[খ] ইংরেজি [১] |
নৃগোষ্ঠী (২০১৬[২] ) |
|
ধর্ম (২০১৬) |
|
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ | আইরিশ |
সরকার | এককেন্দ্রিক সংসদীয় প্রজাতন্ত্র |
মাইকেল ডি হিগিন্স | |
• প্রধানমন্ত্রী | মাইকেল মার্টিন |
• উপ-প্রধানমন্ত্রী | লিও ভারাদকার |
ডোনাল ও'ডোনেল | |
আইন-সভা | Oireachtas |
• উচ্চকক্ষ | Seanad |
Dáil | |
স্বাধীনতা, যুক্তরাজ্য হতে | |
• প্রজাতন্ত্র ঘোষণা | ২৪ এপ্রিল, ১৯১৬ |
• স্বাধীনতা ঘোষণা | ২১ জানুয়ারি, ১৯১৯ |
৬ ডিসেম্বর, ১৯২১ | |
• ১৯২২ সালের সংবিধান | ৬ ডিসেম্বর, ১৯২২ |
• ১৯৩৭ সালের সংবিধান | ২৯ ডিসেম্বর, ১৯৩৭ |
• প্রজাতন্ত্র আইন | ১৮ এপ্রিল, ১৯৪৯ |
আয়তন | |
• মোট | ৭০,২৭৩ কিমি২ (২৭,১৩৩ মা২) (১১৮তম) |
• পানি (%) | ২.০% |
জনসংখ্যা | |
• ২০২১ আনুমানিক | নিরপেক্ষ বৃদ্ধি ৫,০১১,৫০০[৩] (১২২তম) |
• ২০১৬ আদমশুমারি | ৪,৭৬১,৮৬৫[৪] |
• ঘনত্ব | ৭১.৩/কিমি২ (১৮৪.৭/বর্গমাইল) (১১৩তম) |
জিডিপি (পিপিপি) | ২০২১ আনুমানিক |
• মোট | বৃদ্ধি $৫০০ বিলিয়ন[৫] (৪৪তম) |
• মাথাপিছু | বৃদ্ধি $৯৯,২৩৯[৫] (৩য়) |
জিডিপি (মনোনীত) | ২০২১ আনুমানিক |
• মোট | বৃদ্ধি $৪৭৭ বিলিয়ন[৫] (২৯তম) |
• মাথাপিছু | বৃদ্ধি $৯৪,৫৫৬[৫] (৩য়) |
জিনি (২০১৯) | ধনাত্মক হ্রাস ২৮.৩[৬] নিম্ন · ২৩তম |
মানব উন্নয়ন সূচক (২০১৯) | বৃদ্ধি ০.৯৫৫[৭] অতি উচ্চ · ২য় |
মুদ্রা | ইউরো (€) (EUR) |
সময় অঞ্চল | ইউটিসি (জিএমটি) |
• গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি) | ইউটিসি+১ (আইএসটি) |
গাড়ী চালনার দিক | বাম |
কলিং কোড | +৩৫৩ |
ইন্টারনেট টিএলডি | .ie [গ] |
|
আয়ারল্যান্ড (আইরিশ: Éire [ˈeːɾjə] (শুনুন i )), হিসাবেও পরিচিত প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ড (Poblacht na hÉireann),[a] উত্তর-পশ্চিম ইউরোপে অবস্থিত একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। আধুনিক সার্বভৌম রাষ্ট্রটি আয়ারল্যান্ড দ্বীপের পাঁচ-ষষ্ঠাংশ নিয়ে গঠিত যা ৩ মে ১৯২১ সনে যুক্তরাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে প্রথমে আইরিশ ফ্রি স্টেট এবং পরবর্তিতে প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ড গঠন করে। দেশটির রাজধানী ডাবলিন যা আয়ারল্যান্ড দ্বীপের সর্ববৃহৎ শহর।
ইতিহাস
[সম্পাদনা ]আদি অবস্থা - গ্রেট বৃটেন এবং আয়ারল্যান্ড
[সম্পাদনা ]ইংল্যান্ড বিভিন্ন বংশের রাজা ও রানীদ্বারা শাসিত হয়ে আসছে। তবে পদবীর মৌলিক পরিবর্তন হয়েছে দুইবার। স্কটল্যান্ড কয়েকবার স্বাধীনতা হারালেও ১৭০৭ সন পর্যন্ত কম বেশি স্কটিশ রাজাদের দ্বারা শাসিত হয়ে এসেছে। অপর দিকে ওয়েল্স্ ১২৮২ সন পর্যন্ত বিভিন্ন চড়াই-উৎরাই পার হয়ে নিজস্ব শাসকদ্বারা শাসিত হয়ে এসেছে। তবে ইংল্যান্ড বা স্কটল্যান্ড এর মত এতটা ঐক্যবদ্ধ তারা কখনই ছিল না।
অপর দিকে আয়ারল্যান্ড দ্বীপ জুড়ে ছিল একটি রাজ্য আয়ারল্যান্ড। ১১৯৮ সন পর্যন্ত এই রাজ্যটি একক রাজার শাসনে ছিল যাদের বলা হতো হাই কিং অব আয়ারল্যান্ড। কিন্তু পরবর্তিতে ছোট ছোট রাজার অধীনে ১৫৪১ সন পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন ভাবে দ্বীপটি শাসিত হয়েছে।
ইংল্যান্ড কর্তৃক স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলস আক্রমণ
[সম্পাদনা ]বরাবরই গ্রেট বৃটেন দ্বীপের সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্রীয় ছিল ইংল্যান্ড। রাজা প্রথম এডওয়ার্ড-এর সময় ইংল্যান্ড এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে যে পুরো গ্রেট বৃটেনকেই নিজেদের দখলে আনার চেষ্টায় লিপ্ত হয়। এ সময় ইংল্যান্ড ওয়েলস দখল করে এবং স্কটল্যান্ডকে প্রায় দখল করে ফেলার মত অবস্থায় চলে যায় যদিও পরে প্রথম এডওয়ার্ড-এর মৃত্যুর পর আর সেটা সম্ভব হয়নি। ১২৮২ সনে ওয়েলসের সর্বশেষ শাসক লিওয়েলিন দ্যা লাস্টকে পরাজিত ও হত্যা করে এডওয়ার্ডের ইংরেজ বাহিনী ওয়েলস দখল করে। ওয়েলস বিজয়ের পর এডওয়ার্ড তার ছেলের সম্মানে প্রিন্স অব ওয়েলস উপাধিটি প্রদান করে। সেই থেকে আজও যুক্তরাজ্যের রাজা বা রাণীর বড় ছেলেকে প্রিন্স অব ওয়েলস বলা হয়।
অপরদিকে ১২৯৬ সনে ইংল্যান্ড প্রথম স্কটল্যান্ড আক্রমণ করে। যদিও প্রথমদিকে স্কটিশ বীর উইলিয়াম ওয়ালেস-এর প্রতিরোধে ইংল্যান্ড থমকে যাচ্ছিল তবে পরবর্তিতে ওয়ালেসকে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করে তারা স্কটল্যান্ড দখলের কাছাকাছি চলে যায়। মেলগিবসন অভিনীত জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ব্রেভহার্ট ওয়ালেসরই জীবনের উপর নির্মিত। কিন্তু ওয়ালেসের মৃত্যুর পর রাজা রবার্ট ব্রুস-এর স্কটিশ বাহিনী আবারও সংঘটিত হয় এবং রাজা এডওয়ার্ডের মৃত্যুর পর তার ছেলের ব্যর্থতাকে কাজে লাগিয়ে স্কটিশরা ইংরেজদের পরাজিত করে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখে। ব্রুসের মৃত্যুর পর ১৩৩২ সন থেকে ১৩৫৭ সন পর্যন্ত আবার ইংরেজরা স্কটল্যান্ড দখলের চেষ্টা চালায় যদিও সেবারও তারা পরাজিত হয়।
১৫৪১ - কিংডম অব আয়ারল্যান্ড গঠন
[সম্পাদনা ]আয়রল্যান্ডকে কখনও ব্যাপকভাবে সামরিক শক্তি দিয়ে আক্রমণ না করলেও ইংল্যান্ড রাজত্বের একটি চাপ সব সময়ই আয়ারল্যান্ডের উপর ছিল। এ কারণেই ১৫৪১ সনে আইরিশ পার্লামেন্ট (রাজত্ব থাকলেও দেশগুলোতে পার্লামেন্ট সক্রিয় ছিল) ক্রাউন অব আয়ারল্যান্ড এ্যাক্ট ১৫৪২ পাশের মধ্য দিয়ে কিংডম অব আয়ারল্যান্ড প্রতিষ্ঠা করে এবং নির্ধারিত হয় যে ইংল্যান্ডের রাজা বা রানীই হবেন আয়ারল্যান্ডের রাজা বা রানী। শাসন ব্যবস্থার এই ধরনটাকে পার্সোনাল ইউনিয়নও বলা হয়। এ ক্ষেত্রে শাসক এক হলেও রাজ্য দুটো আলাদা ভাবে স্বাধীন এবং স্বতন্ত্র ছিল। রাজা অষ্টম হেনরী ছিল প্রথম কিং অব আয়ারল্যান্ড। একারণেই হেনরী সহ পরবর্তি রাজাদের দুটো করে পদবী ছিল - কিং অব ইংল্যান্ড এবং কিং অব আয়ারল্যান্ড। (উদাহরণ - রাজা চতুর্থ এডওয়ার্ড, প্রথম মেরী, রাণী প্রথম এলিজাবেথ ইত্যাদি।)
১৫৪২ - ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস গঠন
[সম্পাদনা ]১৫৩৫ সন থেকে ১৫৪২ সন পর্যন্ত ইংলিশ পার্লামেন্ট ল'স ইন ওয়েলস এ্যাক্টস ১৫৩৫-১৫৪২ পাশের মধ্যদিয়ে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসকে একিভূত করে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস গঠন করে। এই ব্যবস্থায় ওয়েলসের আর কোন আইন ব্যবস্থা থাকলো না এবং তারা ইংলিশ আইনের আওতাভুক্ত হয়। সেই থেকে অনেক কিছুতেই ওয়েলস ইংল্যান্ডের অংশ হিসেবে অংশ নেয় এবং ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড-ও এরই একটা উদাহরণ।
১৭০৭ - কিংডম অব গ্রেট বৃটেন গঠন
[সম্পাদনা ]রানী প্রথম এলিজাবেথ-এর মৃত্ত্বুর পর ইংল্যান্ডের রাজবংশের কোন উত্তরাধিকারী ছিল না কেননা রানী এলিজাবেথ কুমারী ছিলেন। ফলে ইংল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ড রাজ্য আক্ষরিক অর্থেই এক সংকটে পতিত হয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে ১৫০৩ সনে স্কটল্যান্ডের রাজা চতুর্থ জেমস ইংল্যান্ডের রাজা সপ্তম হেনরীর কন্যা মারগারেটকে বিয়ে করেছিলেন। কাকতালীয় ভাবে ঠিক একশ বছর পর এই সম্পর্কের সূত্র ধরে ১৬০৩ সনে স্কটল্যান্ডের রাজা ষষ্ঠ জেমস ইংল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের রাজত্বভার গ্রহণ করেন এবং সমগ্র গ্রেট ব্রিটেনের রাজা হন। ঐতিহাসিক ভাবে এ ঘটনাকে ইউনিয়ন অব ক্রাউন বলা হয়। যদিও তখন পর্যন্ত ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ড দুটো আলাদা রাজ্য হিসেবে পরিচালিত হচ্ছিল। তাৎপর্যপূর্ন বিষয় হলো কিংডম আব ইংল্যান্ড, কিংডম অব স্কটল্যান্ড এবং কিংডম অব আয়ারল্যান্ড স্বাধীন তিনটি রাজ্য হওয়া সত্বেও তাদের শাসক ছিলেন একই ব্যক্তি।
১৭০৭ সনে আলাদা ভাবে ইংল্যান্ডের এবং স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্টে এ্যাক্ট অব ইউনিয়ন ১৭০৭ পাশ করা হয় যার মাধ্যমে কিংডম অব ইংল্যান্ড এবং কিংডম অব স্কটল্যান্ডকে বিলুপ্ত করে কিংডম অব গ্রেট বৃটেন গঠন করা হয়। ১ মে ১৭০৭ রানী এ্যান প্রথম কুইন অব গ্রেট বৃটেনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং সেদিন থেকেই ইতিহাসে কিংডম অব গ্রেট ব্রিটেন শব্দটির ব্যবহার শুরু হয়। একই সাথে সেদিন থেকেই কিং অব ইংল্যান্ড এবং কিং অব স্কটল্যান্ড শব্দদুটিও ইতিহাসের পাতা থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়।
১৭০৭ - কিংডম অব গ্রেট বৃটেন গঠন
[সম্পাদনা ]তখন পর্যন্ত আয়ারল্যান্ড স্বাধীন রাজ্য হিসেবে পরিচালিত হলেও শাসিত হতো গ্রেট বৃটেনের রাজার দ্বারাই। ফলে ধীরেধীরে আরেকটি ইউনিয়নের সম্ভাবনা বেশ জোরালো হয়ে ওঠে। ১৮০০ সনে রাজা তৃতীয় জর্জ-এর সময় গ্রেট ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডের পার্লামেন্টে এ্যাক্ট অব ইউনিয়ন ১৮০০ পাশ করা হয় এবং পরের বছরই অর্থাৎ ১৮০১ সনে দুটো রাজ্যকে এক করে একটি অভিন্ন রাজ্য গঠন করা হয় যার নাম ইউনাইটেড কিংডম অব গ্রেট বৃটেন এন্ড আয়ারল্যান্ড। ১ জানুয়ারী ১৮০১-এ ইতিহাসে প্রথমবারের মত ইউনাইটেড কিংডম শব্দটি ওঠে এবং রাজা তৃতীয় জর্জ এই রাজ্যের প্রথম রাজা হন।
পরবর্তিতে আরো ১২২ বছর এই রাজ্য পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকা শাসন করে ১৯২২ সনে নিজের ঘরে ভাঙ্গনের মুখে পতিত হয় এবং জন্ম হয় রিপাবলিক অব আয়রল্যান্ড নামের একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের।
রাজনীতি
[সম্পাদনা ]প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ
[সম্পাদনা ]আয়ারল্যান্ড একটি ছোট্ট দেশ আয়তন মাত্র ৭০ হাজার বর্গকিলোমিটার। চার পাশে পানি উথাল-পাথাল করে। রয়েছে অসংখ্য পাহাড়-পর্বত, বেশ কয়েকটি নদী এবং অনেক হ্রদ। এ দেশের লোক সারা বছরে একনাগাড়ে সাত দিন সূর্য দেখার সুযোগ পায় না।[৯]
অর্থনীতি
[সম্পাদনা ]আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্রের অর্থনীতি একটি অত্যন্ত উন্নত জ্ঞান অর্থনীতি, যা কৃষিখাদ্য সহ উচ্চ প্রযুক্তি, জীবন বিজ্ঞান, আর্থিক পরিষেবা এবং কৃষি ব্যবসার পরিষেবাগুলির উপর ভর করে। আয়ারল্যান্ড একটি উন্মুক্ত অর্থনীতি (অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে তৃতীয়),এবং উচ্চ-মূল্যের বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ প্রবাহের জন্য প্রথম স্থানে রয়েছে। বিশ্বব্যাপী মাথাপিছু জিডিপি টেবিলে, আয়ারল্যান্ড আই এম এফ টেবিলে ১৯২ টি দেশের মধ্যে দ্বিতীয় এবং বিশ্বব্যাংকের ১৮৭ টি দেশের মধ্যে চতুর্থতম স্থানে রয়েছে।
জনসংখ্যা
[সম্পাদনা ]আয়ারল্যান্ডের মোট জনসংখ্যা মাত্র ৪০ লাখের কাছাকাছি। ১৮৪১ সালে সর্বোচ্চ জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৮২ লাখ। দুর্ভিক্ষে মৃত্যু ও দেশান্তরের কারণে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত এ দেশের জনসংখ্যা কেবলই কমছিল। এ সময়ে জনসংখ্যা নেমে আসে ২৮ লাখে। এর পর থেকে আবার বাড়তে বাড়তে এখন ৪০ লাখে পৌঁছেছে।[৯]
ধর্ম ও সংস্কৃতি
[সম্পাদনা ]আইরিশরা প্রধানত ক্যাথলিক ক্রিশ্চিয়ান। রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্যাথলিক ধর্মকে পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়। ধর্মীয় কারণে এখানে জন্মনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি নিষিদ্ধ। এখানে প্রকাশ্যে বৈধভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণসামগ্রী বিক্রি হয় না। আইরিশরা পরিবারকে প্রাধান্য দেয়। প্রতিটি পরিবারে শিশুদের উপস্থিতি লক্ষণীয়।[৯]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা ]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা ]- ↑ "Official Languages Act 2003"। Office of the Attorney-General। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২। উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
- ↑ "CSO Census 2016 Chapter 6 – Ethnicity and Irish Travellers" (পিডিএফ)। ১৪ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১৭। উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
- ↑ "Population and Migration Estimates"। Central Statistics Office। ৩১ আগস্ট ২০২১। ৩১ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০২১। উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
- ↑ "Press Statement | Census 2016 Summary Results – Part 1" (পিডিএফ)। Central Statistics Office । ৬ এপ্রিল ২০১৭। ২৫ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০১৭। উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
- ↑ ক খ গ ঘ "World Economic Outlook Database, April 2021"। IMF.org। International Monetary Fund। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০২০। উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
- ↑ "Gini coefficient of equivalised disposable income – EU-SILC survey"। ec.europa.eu। Eurostat। ৯ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২১। উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
- ↑ "Human Development Report 2020" (ইংরেজি ভাষায়)। United Nations Development Programme। ১০ ডিসেম্বর ২০১৯। ১৫ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১৯। উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
- ↑ Coakley, John (২০ আগস্ট ২০০৯)। Politics in the Republic of Ireland। Taylor & Francis। পৃষ্ঠা 76। আইএসবিএন 978-0-415-47672-0। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১১। উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
- ↑ ক খ গ Qposter - মিয়া মুহাম্মদ আইয়ুব। "ভ্রমণ কাহিনী - আয়ারল্যান্ড"। www.qposter.com। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬।