সনি রামাদিন
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জন্ম | (১৯২৯-০৫-০১)১ মে ১৯২৯ এস্পারেন্স ভিলেজ, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২(2022年02月27日) (বয়স ৯২) ডেল্ফ, ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ২১ জুলাই ২০১৭ |
সনি রামাদিন (ইংরেজি: Sonny Ramadhin; ১ মে, ১৯২৯ - ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ [১] ) ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর এস্পারেন্স ভিলেজে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ বোলার ছিলেন। রিস্ট-স্পিনার হওয়া স্বত্ত্বেও রামাদিনের লেগ ব্রেক বেশ বাঁক নিতো যা তাকে বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গনে অফ স্পিনার হিসেবে পরিচিতি ঘটায়। ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রথমদিককার ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটারদের মধ্যে অন্যতম তিনি।
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা ]ত্রিনিদাদের ডানকান ভিলেজের কানাডিয়ান মিশন স্কুলে অধ্যয়ন করেন তিনি। সেখানেই তার ক্রিকেটের প্রতি আসক্তি জন্মে। কিন্তু বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন তিনি বোলিংয়ে জড়িত ছিলেন না। একই এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্কার রোচের অধিনায়কত্বে ও প্রশিক্ষণে পরবর্তীকালে তিনি পালমিস্ট ক্লাবের পক্ষে খেলেন। ত্রিনিদাদ লিজহোল্ডস দলের সদস্য থাকাকালীন তার বোলিংয়ে দক্ষতা তুলে ধরেন। ত্রিনিদাদ বনাম জামাইকার মধ্যকার দু’টি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৯.২৫ গড়ে ১২ উইকেট লাভ করেন।[২] [২]
খেলোয়াড়ী জীবন
[সম্পাদনা ]১৯৫০-এর দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের প্রভাববিস্তারকারী বোলারদের অন্যতম সদস্য ছিলেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সাফল্যের প্রেক্ষিতে ২০ বছর বয়সে ১৯৫০ সালে ইংল্যান্ড সফরের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৫০ মৌসুমের ঐ সিরিজে ইংরেজদের ব্যাটিংয়ে তিনি ও বিখ্যাত স্পিনার আল্ফ ভ্যালেন্টাইন বাঁধার কারণ হয়ে দাঁড়ান। এ দুজনে ৫৯ উইকেট পান। সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে জয়সহ প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজে জয় পায় তার দল। ১৯৫৪ মৌসুমের শুরুতে ইংল্যান্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে আসে। প্রথম দুই টেস্টে তিনি ১৩ উইকেট দখল করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিজয়ে ভূমিকা রাখেন।
১৯৫৭ মৌসুমে ইংল্যান্ড সফরে রামাদিন তার বোলিংয়ে প্রাধান্য অব্যহত রাখেন। এজবাস্টনে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৭/৪৯ লাভ করে ইংল্যান্ডকে ১৮৬ রানে গুটিয়ে দেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪৭৪ রান তুললে কলিন কাউড্রে পিটার মে’র সাথে দ্বিতীয় ইনিংসে রামাদিনের অফ স্ট্যাম্পের বলগুলো প্যাড দিয়ে আটকিয়ে দিতে থাকেন। ফলে লেগ বিফোর উইকেটের জন্য তার আবেদন বারবার অগ্রাহ্য হতে থাকে।[৩] মে ২৮৫* ও কাউড্রে ১৫৪ রানের ফলে ঐ সময়ে ইংল্যান্ড টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ও ৪র্থ উইকেটে ৪১১ রান করে ৫১১ মিনিটে। ঐ রেকর্ডটি ২০০৯ সাল পর্যন্ত অক্ষত ছিল।[৪] এরফলে ইংল্যান্ড তাদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে যে-কোন দলের সর্বোচ্চ রান তোলে। খেলায় রামাদিন ৯৮-৩৫-১৭৯-২ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন যা প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ওভার বোলিং করার রেকর্ড গড়েন। ঐ সিরিজে ইংল্যান্ড ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে।
অবসর
[সম্পাদনা ]১৯৫০-এর দশকে লীগ ক্রিকেটে অংশগ্রহণের জন্য ইংল্যান্ডে বসবাস করতে থাকেন। ১৯৬৪-৬৫ মৌসুমে ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে খেলেন। কিন্তু খেলায় ছন্দ হারিয়ে ফেলায় পরবর্তীতে তার সাথে চুক্তি বাতিল হয়ে যায়।[৫] ১৯৬৮ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত মাইনর কাউন্টিজ চ্যাম্পিয়নশীপে লিঙ্কনশায়ারের সাথে খেলেন। তার নাতি কাইল হগ ডানহাতি মিডিয়াম ফাস্ট বোলার হিসেবে ২০০১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ল্যাঙ্কাশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
সম্মাননা
[সম্পাদনা ]১৯৫১ সালের শুরুতে রামাদিনকে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটার মনোনীত করা হয়। ১৯৫০ সালের সাফল্যের প্রেক্ষিতে তাকে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। তার সাথে অন্য চার হচ্ছেন - ওয়েস্ট ইন্ডিজের সনি রামাদিন, আল্ফ ভ্যালেন্টাইন, এভারটন উইকস, ফ্রাঙ্ক ওরেল এবং ইংল্যান্ডের গডফ্রে ইভান্স।[৬]
জুন, ১৯৮৮ সালে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর স্ট্যাম্পে বার্বাডোস ক্রিকেট বাকলের পাশে রামাদিনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা ]- ↑ "The man who led the West Indies to victory in the first Test in England has died at the age of 92."। ২০২২-০৪-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২০।
- ↑ ক খ [১]
- ↑ p. 96, Bob Willis and Patrick Murphy, Starting With Grace, Stanley Paul, 1986.
- ↑ http://stats.espncricinfo.com/ci/content/records/283573.html
- ↑ The Cricketer, 1965
- ↑ "Wisden Cricketers of the Year"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০২-২১।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা ]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা ]- ক্রিকেটআর্কাইভে সনি রামাদিন উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- Ramadhin's Cricketer of the Year biography
- BBC overview of 1950 series
- Biography at Caribbean Cricket
- Interview with Ramadhin at BBC
- Garry Steckles story on birth of calypso cricket
- BBC history of East Indian cricketers in West Indies
- ১৯২৯-এ জন্ম
- ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার
- ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট ক্রিকেটার
- উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার
- কমনওয়েলথ একাদশের ক্রিকেটার
- ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর ক্রিকেটার
- ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর হিন্দু
- চাকোনিয়া পদক গ্রহীতা
- মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের ক্রিকেটার
- ল্যাঙ্কাশায়ারের ক্রিকেটার
- লিঙ্কনশায়ারের ক্রিকেটার
- ২০২২-এ মৃত্যু
- চাকোনিয়া পুরস্কার প্রাপক