বিষয়বস্তুতে চলুন
উইকিপিডিয়া একটি মুক্ত বিশ্বকোষ

লিখন পদ্ধতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সারা বিশ্বে প্রচলিত নানা ধরনের লিখন পদ্ধতি

লিখন পদ্ধতি (ইংরেজি: writing system) বলতে এক ধরনের প্রতীক-পদ্ধতিকে বোঝায়, যা কোন ভাষার বিভিন্ন উপাদান ও বিবৃতি লেখায় প্রকাশে বা মুদ্রণে সাহায্য করে।

ইতিহাস

[সম্পাদনা ]
ভাষিক তথ্য
আহরণ
তত্ত্বীয়
ভাষাবিজ্ঞান
ভাষা
ও সমাজ
ঐতিহাসিক
ভাষাবিজ্ঞান
ফলিত
ভাষাবিজ্ঞান
ইতিহাস
ভাষাবিজ্ঞান
ও সাহিত্য
অন্যান্য

লিখন পদ্ধতির ঠিক কবে জন্ম হয়েছিল, তা সঠিক জানা যায় না। বিশ্বের নানা দেশে তাই লিপির উদ্ভব নিয়ে প্রচলিত আছে নানা উপকথা। চীনের উপকথা অনুসারে সাং চিয়েন নামের এক ড্রাগনমুখো লোক প্রাচীনকালে চীনা অক্ষরগুলি তৈরি করেছিলেন। অন্যদিকে মিশরের উপকথা অনুযায়ী পাখির মত মাথা ও মানুষের মত দেহবিশিষ্ট দেবতা থথ্‌ সৃষ্টি করেছিলেন মিশরীয় লিপি। ভারতের উপকথামতে হিন্দু দেবতা ব্রহ্মা ভারতবর্ষের প্রাচীন লিপি আবিষ্কার করেছিলেন, এবং তার নামানুসারে ঐ লিপির নাম হয় ব্রাহ্মীলিপি।

লিপিবিশারদেরা মনে করেন প্রথমে ছবি থেকে চিত্রভিত্তিক লিপি তথা চিত্রলিপির আবির্ভাব ঘটে এবং সেখান থেকে কালের বিবর্তনে সৃষ্টি হয় বর্ণ বা সিলেবলভিত্তিক লিপির। এ পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া সবচেয়ে প্রাচীন বর্ণমালাভিত্তিক লিপিটি হল ফিনিশীয় লিপি, যা ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত ফিনিশীয় জাতির লিপি ছিল। তাদের লিপিতে বাইশটি ব্যঞ্জনবর্ণ ছিল। গ্রিক ও ইহুদীরা ফিনিশীয়দের কাছ থেকে বর্ণমালার ধারণা ধার করে। গ্রিক বর্ণমালায় বর্ণের সংখ্যা ২৪। তারা ব্যঞ্জনবর্ণের পাশাপাশি স্বরবর্ণেরও প্রচলন করেছিল। পরে গ্রিকদের কাছ থেকে রোমানরা লিপির ধারণা নেয়। রোমান বর্ণমালা থেকেই পরে প্রায় সমস্ত ইউরোপের বিভিন্ন ভাষার বর্ণমালা তৈরি হয়।

ভারতবর্ষের ব্রাহ্মীলিপির পেছনেও ফিনিশীয় লিপির প্রভাব আছে বলে মনে করা হয়। তবে প্রাচীন ভারতীয়রা সম্ভবত স্বাধীনভাবেই নিজেদের লিপি উদ্ভাবন করেছিল। ভারতবর্ষের হরপ্পা ও মহেনজোদারো সভ্যতার লিপিগুলির পাঠোদ্ধার এখনও সম্ভব হয়নি। খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতক থেকে ৩৫০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ভারতে ব্রাহ্মীলিপি প্রচলিত ছিল। এরপর অশোক লিপি বা মৌর্য লিপিতে এর বিবর্তন শুরু হয়। এর পরের ধাপে আসে কুষাণ লিপি; এগুলি কুষাণ রাজাদের আমলে প্রচলিত ছিল। এরপর ব্রাহ্মীলিপিটি উত্তরী ও দক্ষিণী - এই দুইভাগে ভাগ হয়ে যায়। উত্তরী লিপিগুলির মধ্যে গুপ্তলিপি প্রধান; এটি চতুর্থ ও ৫ম শতাব্দীতে প্রচলিত ছিল। গুপ্তলিপি থেকে আবির্ভাব হয় কুটিল লিপির; এটি ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শতক পর্যন্ত প্রচলিত ছিল। কুটিল লিপি থেকে উদ্ভব হয় নাগরী লিপির। প্রাচীন নাগরী লিপির পূর্ব শাখা থেকে ১০ম শতকের শেষভাগে এসে উৎপত্তি হয়েছে বাংলা লিপির। কম্বোজের রাজা নয়পালদেবের ইর্দার দানপত্রে এবং প্রথম মহীপালের বাণগড়ের দানপত্রে সর্বপ্রথম আদি বাংলা বর্ণমালা দেখতে পাওয়া যায়।

আরও দেখুন

[সম্পাদনা ]

আকরগ্রন্থপঞ্জি

[সম্পাদনা ]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা ]
ভাষাবিজ্ঞান বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন।

AltStyle によって変換されたページ (->オリジナル) /