রেজিনা গাজারিয়ান
রেজিনা তাদেভোসি গাজারিয়ান | |
---|---|
জন্ম | (১৯১৫-০৪-১৭)১৭ এপ্রিল ১৯১৫ |
মৃত্যু | ৬ নভেম্বর ১৯৯৯(1999年11月06日) (বয়স ৮৪) |
রেজিনা তাদেভোসি গাজারিয়ান (আর্মেনীয়: Ռեգինա Թադեւոսի Ղազարյան; ১৭ই এপ্রিল ১৯১৫, ইয়েরেভানে - ৬ই নভেম্বর ১৯৯৯, ইয়েরেভানে) একজন আর্মেনীয় চিত্রশিল্পী এবং বিখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন। তিনি কবি ইয়েগিশে চ্যারেন্টস -এর বন্ধু এবং হিতৈষী হিসাবে পরিচিত ছিলেন। জোসেফ স্ট্যালিনের শাসন কালে কবির অনেক পাণ্ডুলিপি বাঁচানোর কৃতিত্ব তাঁর ছিল।[১]
জীবনী
[সম্পাদনা ]রেজিনা গাজারিয়ান জন্ম নিয়েছিলেন এমন এক পরিবারে, যাঁরা তুর্কির ভ্যন থেকে এসেছিলেন এবং আর্মেনিয়ান গণহত্যা থেকে বেঁচে ফিরেছিলেন। তাঁর মা ইয়েরেভানের (খোরাসানিয়ান) একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের মানুষ ছিলেন।[২] ১৯৩০ সালে কবি ইয়েগিশে চ্যারেন্টসের সাথে রেজিনার দেখা হয়েছিল। পনের বছর বয়সী অনাথ গাজারিয়ানকে চ্যারেন্টস "একরকমভাবে একজন অন্তরঙ্গ বন্ধু এবং তাঁর একাকী সময়ের সাক্ষী হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন"।[৩]
১৯৩৭ সালে, কারাগারের সেল থেকে চ্যারেন্টস গোপনে তাঁর স্ত্রী ইজাবেলাকে জানিয়েছিলেন যে তাঁর সমস্ত লেখা রক্ষার দায়িত্বের জন্য শুধুমাত্র পারিবারিক বন্ধু, শিল্পী রেজিনা গাজারিয়ানের উপর বিশ্বাস করা উচিত এবং তিনি সেগুলিকে বিনষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করবেন।[৪] চ্যারেন্টসের মৃত্যুর পর রেজিনা গাজারিয়ান বাগানে তাঁর অনেক পাণ্ডুলিপি লুকিয়ে রেখেছিলেন ("রিকুয়েম টু কোমিটাস", "দ্য নেমেলেস", "সংস অফ অটাম" এবং "নাভজিকে" সহ মোট ৭০০০ লাইন[৫] )।
একজন সামরিক পাইলট হিসেবে রেজিনা গাজারিয়ান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।[৬] তিনি ১৯৫১ সালে ইয়েরেভান ফাইন আর্টস ইনস্টিটিউটে পড়া শেষ করেন।
১৯৫৪ সালের ১১ই মার্চ, আন্নাসেস মিকোয়াইন ইয়েরেভানে একটি বক্তৃতায় চ্যারেন্টসের পুনর্বাসনের আহ্বান জানান।[৭] বক্তৃতাটি গাজারিয়ানকে অনুপ্রাণিত করেছিল চ্যারেন্টসের পাণ্ডুলিপিগুলিকে লুকিয়ে রাখতে।[৭] তিনি সেগুলোকে চ্যারেন্টস মিউজিয়াম অফ লিটারেচার অ্যাণ্ড আর্টস -এ প্রদান করেন।[৬]
২০০৯ সালে বাঘরামিয়ান সেন্ট ৩৩এ, ইয়েরেভানের বাড়িতে একটি স্মারক ফলক উদ্বোধন করা হয়েছিল, যেখানে রেজিনা গাজারিয়ান ১৯৬১ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত থাকতেন এবং কাজ করতেন।
গাজারিয়ানের চিত্রকর্ম আর্মেনিয়ার ন্যাশনাল গ্যালারি সহ আর্মেনিয়ার বিভিন্ন জাদুঘরে প্রদর্শিত হয়। তিনি আর্মেনিয়ার পেইন্টার্স ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন।
পুরস্কার
[সম্পাদনা ]- ইয়েরেভানের সম্মানিত নাগরিক (১৯৯৫)[৮]
- আর্মেনিয়ার বিখ্যাত চিত্রশিল্পী (১৯৮৫)
কাজ
[সম্পাদনা ]- চ্যারেন্টস (১৯৬৬)
- আঘভনাদজোর (১৯৬৫)
- কমিটাস (১৯৬৯)
- আসপেটাকান (১৯৭৫)
- পরুয়ুর সেবক
- খাঘাঘ টাইজের্ক[৯]
ব্যক্তিগত প্রদর্শনী
[সম্পাদনা ]- ইয়েরেভান (১৯৬৭, ১৯৮৭, ১৯৮৮)
- জিউমরি (১৯৬৭)
- ইজমিয়াতসিন (১৯৬৭)
বই
[সম্পাদনা ]- রেজিনা গাজারিয়ান (১৯৯৮) দ্বারা চ্যারেন্টসিয়ান নশখার্নার
প্রকাশনা
[সম্পাদনা ]- রেজিনা গাজারিয়ান, "রেমিনিসেন্স অ্যাবাউট চ্যারেন্টস" [হুশের চ্যারেন্টসি মাসিন], গারুন। এরেভান, #১ ১৯৮৭, পৃষ্ঠা ৬৭-৭৬
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা ]- ↑ "Статьи / Золотой запас - Литературная газета"। lgz.ru। সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Акоп-ага | Наша среда"। মে ১৫, ২০১৪।
- ↑ Yeghishe Charents: Poet of the Revolution, Marc Nichanian, Vardan Mattʻēosean, Mazda Publishers, 2003, p. 12
- ↑ "A Labor of Love in "Vision of Death": RFE/RL gives account of Charents' last years, ArmeniaNow"। ২ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪।
- ↑ "Հայաստանի Հանրապետություն"। Հայաստանի Հանրապետություն।
- ↑ ক খ ԱՇԽԱՐՀ, ԼՈՒՅՍ। "ԼՈՒՅՍ ԱՇԽԱՐՀ – Арпеник Чаренц очень осторожна — как говорят в народе: "страх пуще смерти"."।
- ↑ ক খ Shakarian, Pietro A. (১২ নভেম্বর ২০২১)। "Yerevan 1954: Anastas Mikoyan and Nationality Reform in the Thaw, 1954–1964"। Peripheral Histories। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০২১।
- ↑ "Honorary citizens of Yerevan"। www.yerevan.am।
- ↑ Armenian concise encyclopedia, Vol. III, Ghazaryan Regina