রামানন্দ সাগর
রামানন্দ সাগর | |
---|---|
জন্ম | চন্দ্রমৌলি চোপড়া (১৯১৭-১২-২৯)২৯ ডিসেম্বর ১৯১৭ |
মৃত্যু | ১২ ডিসেম্বর ২০০৫(2005年12月12日) (বয়স ৮৭) মুম্বই, মহারাষ্ট্র, ভারত |
পেশা |
|
কর্মজীবন | ১৯৪৯-২০০৫ |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | |
দাম্পত্য সঙ্গী | লীলাবতী সাগর |
সন্তান | ৫ |
পুরস্কার | পদ্মশ্রী (২০০০) |
চন্দ্রমৌলি চোপড়া ( रामानन्द सागर; ২৯ ডিসেম্বর ১৯১৭ – ১২ ডিসেম্বর ২০০৫) রামানন্দ সাগর নামে অধিক পরিচিত, একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা, সম্পাদক, নাট্যকার, কবি এবং একজন লেখক। তিনি জনপ্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠান রামায়ণ (১৯৮৭-১৯৮৮) তৈরির জন্য সর্বাধিক পরিচিত। এটি সম্প্রচারের সময়, অনুষ্ঠানটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দেখা টেলিভিশন ধারাবাহিক হয়ে ওঠে,[১] এটির দর্শক সংখ্যা ছিল ৮২ শতাংশ।[২] ভারতীয় চলচ্চিত্র ও শিল্পে তার অবদানের জন্য ভারত সরকার তাকে ২০০০ সালে পদ্মশ্রী দিয়ে সম্মানিত করে।
জীবনের প্রথমার্ধ
[সম্পাদনা ]সাগর লাহোরের কাছে আসাল গুরুতে জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর প্রপিতামহ লালা শঙ্কর দাস চোপড়া লাহোর থেকে কাশ্মীরে চলে আসেন। রামানন্দকে তার মাতামহী দত্তক নিয়েছিলেন। যার কোন পুত্র ছিল না, এই সময়ে তার নাম 'চন্দ্রমৌলি চোপড়া' থেকে 'রামানন্দ সাগর' করা হয়।[৩] সাগরের জৈবিক মা মারা যাওয়ার পর, তার বাবা পুনরায় বিয়ে করেন এবং তার সাথে আরও সন্তানের জন্ম দেন। যার মধ্যে রয়েছে বিধু বিনোদ চোপড়া, যিনি এইভাবে সাগরের সৎ ভাই। সাগর দিনে একজন পিয়ন, ট্রাক ক্লিনার, সাবান বিক্রেতা, স্বর্ণকার শিক্ষানবিশ ইত্যাদি কাজ করতেন এবং রাতে তার ডিগ্রির জন্য পড়াশোনা করতেন।
তিনি ১৯৪২ সালে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংস্কৃত এবং ফারসিতে স্বর্ণপদক বিজয়ী ছিলেন। তিনি দৈনিক মিলাপ পত্রিকার সম্পাদকও ছিলেন । তিনি "রামানন্দ চোপড়া", "রামানন্দ বেদী" এবং "রামানন্দ কাশ্মীরি" নামে অনেক ছোট গল্প, উপন্যাস, কবিতা, নাটক ইত্যাদি লিখেছেন।[৩] ১৯৪২ সালে যখন তিনি যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হন। তখন তিনি তার লড়াই সম্পর্কে একটি বিষয়ভিত্তিক কলাম "একটি টিবি রোগীর ডায়েরি" লিখেছিলেন। কলামটি লাহোরের আদব-ই-মাশরিক পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল ।[৩]
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা ]তিনি লীলাবতীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন, যার সাথে তার পাঁচটি সন্তান ছিল। চার পুত্র (আনন্দ সাগর, প্রেম সাগর, মতি সাগর এবং সুভাষ সাগর) এবং একটি কন্যা (সরিতা সাগর)।[৪]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা ]পুরস্কার
[সম্পাদনা ]২০০০ সালে, সাগরকে ভারত সরকার পদ্মশ্রী দিয়ে সম্মানিত করেছিল ।[৫]
জিতেছে
[সম্পাদনা ]- ১৯৬০ - পাইঘামের জন্য ফিল্মফেয়ার সেরা সংলাপ পুরস্কার
- ১৯৬৯ - আঁখেনের জন্য ফিল্মফেয়ার সেরা পরিচালকের পুরস্কার
মনোনীত
[সম্পাদনা ]- ১৯৬৬ - আরজু- এর জন্য শ্রেষ্ঠ গল্পের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার
- ১৯৬৬ - আরজু- এর জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালকের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার
- ১৯৬৯ - আঁখেন- এর জন্য শ্রেষ্ঠ গল্পের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা ]- ↑ "'Ramayan' sets world record, becomes most viewed entertainment programme globally"। The Hindu। ২ মে ২০২০। উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
- ↑ "The Ramayan: Why Indians are turning to nostalgic TV"। উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
- ↑ ক খ গ "Sagar Arts"। Sagartv.com। ২০১২-০৪-২৬। ২৬ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-১৮।
- ↑ ""রামানন্দ সাগর (ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা)""। britannica।
- ↑ "Padma Awards" (পিডিএফ)। Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৫। ১৫ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭। উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা ]- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে রামানন্দ সাগর (ইংরেজি)