বিষয়বস্তুতে চলুন
উইকিপিডিয়া একটি মুক্ত বিশ্বকোষ

নকল দাঁত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটিতে এমন বিষয়বস্তু আছে যা বিশ্বকোষের জন্য উপযুক্ত নয়
অনুগ্রহ করে এই ব্যাপারটি নিবন্ধের আলোচনা পাতায় আলোচনা করুন। (অক্টোবর ২০২১)
ডেনচার
একটি ম্যাক্সিলারি ডেনচার
মেশ D003778

একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ একটি দাঁত হারালে সুন্দর স্বাভাবিক আরেকটি নকল বা কৃত্রিম দাঁত লাগিয়ে নিতে পারেন যথাস্থানে, যা দেখে মোটেও বোঝার উপায় নেই যে এটি আসল নয়।

কিন্তু প্রশ্নটি হলো, বয়স হলে চুল পাকার মতো দাঁতও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। না হয় দেখতেই একটু খারাপ লাগে, তাই বলে আরেকটা কৃত্রিম দাঁত লাগানো কি জরুরি?

হ্যাঁ, জরুরি। কেননা দাঁতের কাজ কেবল সৌন্দর্য বর্ধন নয়। চমৎকার হাসি উপহার দেওয়া ছাড়াও আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে। যেমন পরিপাকের প্রাথমিক কাজ শুরু হয় মুখেই—দাঁত ও লালারসের মাধ্যমে। দাঁতের সাহায্যেই খাবার চূর্ণ করে পিষে মণ্ড আকারে পাকস্থলীতে পাঠাই আমরা, যাতে করে পাকরস সহজে একে হজম করতে পারে। দ্বিতীয়ত, দাঁত কথা বলতে বা ধ্বনির উচ্চারণে সাহায্য করে। দাঁত না থাকলে মুখের পেশিগুলো ঢিলে হয়ে যায়, ফলে আপনাকে দেখতে বুড়ো লাগে। আবার একটি দাঁত অনুপস্থিত থাকলে মুখের স্বাভাবিক বিন্যাস নষ্ট হয়, ফলে অন্য দাঁতগুলোর গঠন নড়বড়ে ও অবিন্যস্ত হয়ে যায়। এই সবকিছুর জন্য দাঁত পড়ে গেলে কৃত্রিম দাঁত লাগিয়ে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

এখন জেনে নিন কৃত্রিম দাঁত আছে কত ধরনের।

১. কৃত্রিম দাঁত খুলে আবার লাগানো যায়—এগুলোকে আমরা বলি ডেনচার। ফ্লেক্সিবল ডেনচার ব্যবহারে আরাম ও সুবিধামতো খোলা ও পরা যায়।

২. কৃত্রিম দাঁত পোরসেলিন ক্রাউন ব্রিজের মতো কমিয়ে পাশের দাঁতের সঙ্গে সংযুক্ত করে স্বাভাবিক রঙের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হয়, ফলে বোঝার কোনো উপায় থাকে না যে এটা কৃত্রিম দাঁত।

এরপর এসেছে আধুনিক ডেন্টাল ইমপ্লান্টের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে ওই স্থানে একটি দাঁত প্রতিস্থাপন করা, যা খোলা ও পরা লাগে না।

কৃত্রিম দাঁত লাগানোর পর যা হতে পারে

কৃত্রিম দাঁত লাগানোর পর প্রথম প্রথম একটু অস্বস্তি হতে পারে। মুখের ভেতরটা বেশ অস্বাভাবিক লাগতে পারে। দু-এক দিন লাগানো ও খোলার পর একটু জ্বালা বা ঘায়ের মতোও হতে পারে। লালা নিঃসরণ বেড়ে যেতে পারে অত্যধিক। এসব সমস্যা সাময়িক। কয়েক দিন পরই আপনি অভ্যস্ত হয়ে যাবেন।

কৃত্রিম দাঁতেরও যত্ন চাই

আপনার স্বাভাবিক দাঁতের মতো নকল দাঁতটিরও যথাযথ যত্ন দরকার। সাধারণ দাঁতের মতো এই দাঁতকেও নিয়মিত ব্রাশ করুন। ব্রাশ করার জন্য নরম শলাকার টুথ ব্রাশ ব্যবহার করুন। টুথপেস্টের চেয়ে এগুলো তরল হাত পরিষ্কারক সাবান বা ডিশ ওয়াশিং লিকুইড দিয়ে পরিষ্কার করা ভালো। প্রতিদিন রাতে ব্রাশ করা ছাড়াও প্রতিবার খাওয়ার পর খুলে বেশি পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এগুলো প্লাস্টিকের মোল্ডে তৈরি বলে অল্প আঘাতেই ভেঙে যেতে পারে। তাই সাবধানে ধরুন। নিজে নিজে জোর করে বাঁকানো বা সোজা করার চেষ্টা করবেন না। সব সময় যে নকল দাঁত খুলে ঘুমাতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে খুলে রেখে ঘুমালে মুখের একটা বিশ্রাম হয়। দাঁত খুলে পরিষ্কার পানির মধ্যে ডুবিয়ে রাখতে হবে। দাঁত রাখার দ্রবণও পাওয়া যায়। কখনোই গরম পানিতে রাখা যাবে না।[] []

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা ]
  1. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "নকল দাঁত নিয়ে যত কথা"Prothomalo। ২০২১-১০-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-৩০ 
  2. "নকল দাঁত নিয়ে যত কথা"DEHO (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৯-২৭। ২০২১-১০-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-৩০ 

AltStyle によって変換されたページ (->オリジナル) /