বিষয়বস্তুতে চলুন
উইকিপিডিয়া একটি মুক্ত বিশ্বকোষ

তৈয়্যব শাহ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এই নিবন্ধে একাধিক সমস্যা রয়েছে। অনুগ্রহ করে নিবন্ধটির মান উন্নয়ন করুন অথবা আলাপ পাতায় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করুন।
এই নিবন্ধটির নিরপেক্ষতা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। প্রাসঙ্গিক আলোচনা আলাপ পাতায় পাওয়া যেতে পারে। অনুগ্রহ করে বিতর্ক নিরসন হওয়ার আগ পর্যন্ত এই টেমপ্লেটটি সরিয়ে ফেলবেন না। (নভেম্বর ২০২২)
এই নিবন্ধটি যাচাইযোগ্যতার জন্য প্রাথমিক উৎসের উপর প্রবলভাবে নির্ভর করে স্বাধীন দ্বিতীয় বা তৃতীয় কোন উৎস থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে এই নিবন্ধটি উন্নয়ন করুন। (নভেম্বর ২০২২)
এই নিবন্ধের যাচাইযোগ্যতার জন্য অতিরিক্ত তথ্যসূত্র প্রয়োজন অনুগ্রহ করে নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র সংযোজন করে নিবন্ধটির মান উন্নয়নে সহায়তা করুন। তথ্যসূত্রবিহীন বিষয়বস্তুসমূহ পরিবর্তন কিংবা অপসারণ করা হতে পারে।
উৎস খুঁজুন: "তৈয়্যব শাহ" – সংবাদ · সংবাদপত্র · বই · স্কলার · জেস্টোর
(নভেম্বর ২০২২)
(কীভাবে এবং কখন এই বার্তাটি সরাতে হবে তা জানুন)
হাফিজ ক্বারী, আল্লামা

সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ
জন্ম১৩৩৬ হিজরী, ১৯১৬ সাল
মৃত্যু১৫ জিলহজ্ব ১৪১৩ হিজরী
৭ জুন ১৯৯৩ সাল (৭৭ বছর)
সমাধিজামে মসজিদ, শেতালু শরীফ, সিরিকোট, হরিপুর, পাকিস্তান
শিক্ষাদারুল উলুম ইসলামিয়া রহমানিয়া হরিপুর
উল্লেখযোগ্য কর্ম
জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ
সন্তানসৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ ও পীর সাবির শাহ
পিতা-মাতা
আত্মীয়সৈয়দ মুহাম্মদ সালেহ শাহ (ভাই)

সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ একজন আধ্যাত্নিক সুফি সাধক। তিনি ১৩৩৬ হিজরী ১৯১৬ সালে সিরিকোটের শেতালু শরীফে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সৈয়দ মুহাম্মদ আহমদ শাহ এবং তার খলিফাও ছিলেন। তার ছোট সন্তান পীর সাবির শাহ পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

পরিবার

[সম্পাদনা ]

তৈয়্যব শাহ পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের হরিপুরের সিরিকোটের শেতালু শরীফে ১৯১৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সৈয়দ আহমদ শাহ সিরিকোটি একজন বিখ্যাত সুফি সাধক। সৈয়দ মুহাম্মদ গীসুদারাজ প্রথম ও সৈয়দ মুহাম্মদ মাসুদ মাশওয়ানির মাধ্যমে তার বংশ ৪০টি ধারায় ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ (দ.) পর্যন্ত পৌঁছায়।[]

তার সমর্থকদের দ্বারা তার বংশপরিক্রমা নিম্নরূপ বর্ণনা করা হয়:

  1. মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
  2. ফাতিমা
  3. হোসাইন ইবনে আলী
  4. জয়নুল আবেদিন
  5. মুহম্মদ আল-বাকির
  6. জাফর আস-সাদিক
  7. সৈয়্যদ ইসমাইল
  8. সৈয়্যদ জালাল
  9. সৈয়্যদ শাহ ক্বায়েম (কায়েন)
  10. হযর‍ত সৈয়্যদ জাফর (ক্বাব)
  11. সৈয়্যদ ওমর
  12. সৈয়্যদ গাফ্ফার
  13. সৈয়্যদ মুহাম্মদ গীসুদারাজ
  14. সৈয়্যদ মাসুদ মাসওয়ানী
  15. সৈয়্যদ তাগামমুজ শাহ
  16. সৈয়্যদ ছুদুর
  17. সৈয়্যদ মুছা
  18. সৈয়্যদ মাহমুদ
  19. সৈয়্যদ আবদুর রহিম
  20. সৈয়্যদ আবদুল গফুর
  21. সৈয়্যদ আবদুল জালাল
  22. সৈয়্যদ আবদুর রউফ
  23. সৈয়্যদ আবদুল করিম
  24. সৈয়্যদ আবদুল্লাহ
  25. সৈয়্যদ গফুর শাহ (কাপুর শাহ সিরিকোটি নামে পরিচিত)
  26. সৈয়্যদ নফফাস শাহ বা তাফাহহুছ শাহ
  27. সৈয়্যদ আবী শাহ মুরাদ
  28. সৈয়্যদ ইউসুফ শাহ
  29. সৈয়্যদ হোসাইন শাহ
  30. সৈয়্যদ হাজী কাসেম
  31. সৈয়্যদ আবদুল করিম
  32. সৈয়্যদ ঈসা
  33. সৈয়্যদ ইলিয়াছ
  34. সৈয়্যদ খোশহাল
  35. সৈয়্যদ শাহ খান
  36. সৈয়্যদ কাজেম
  37. সৈয়্যদ খানী জামান শাহ
  38. সৈয়্যদ সদর শাহ
  39. সৈয়্যদ আহমদ শাহ সিরিকোটি

শিক্ষা জীবন

[সম্পাদনা ]

তিনি তার পিতার তত্ত্বাবধানে ১১ বছর বয়সে কোরআন হিফজ করেন এবং তাফসীর, ফিক্বহ, নাহু, উসুল, সারুফ, মানতিক, আক্বাইদ, মা'রিফাত, হিকমাত, ত্বরিকতের শিক্ষা তার পিতা থেকে নেন। তিনি হরিপুরের দারুল উলুম ইসলামিয়া রহমানিয়াতে পড়াশুনা করেন। তিনি তাফসীর ও হাদিসের বিশেষ শিক্ষা নেন সরদার আহমেদ লাইলপুরী এবং আব্দুর রহমান ও আব্দুল হামিদ থেকে শিক্ষা নেন।[]

তরিকত প্রচার

[সম্পাদনা ]

১৯৪২ সালে ২৬ বছর বয়সে তরিকত প্রচারে তৈয়্যব শাহ বাংলাদেশে আসেন।

ধর্মীয় অবদান

[সম্পাদনা ]

তৈয়্যব শাহ সুন্নিয়তের অগ্রগতিতে বাংলাদেশের শহর এবং দূরস্থিত অঞ্চলগুলোতে অবদান রাখেন। তিনি সুন্নিয়ত এবং ত্বরিকা-এ-আলিয়া কাদেরিয়ার বিস্তার করেন মধ্যপ্রাচ্যে, বার্মার (বর্তমান মায়ানমার) রেঙ্গুনে। তিনি বার্মার (বর্তমান মায়ানমার) রেঙ্গুনে, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ এ অনেক মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। যেমন- বাংলাদেশে মোহাম্মদপুর কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া আলিয়া (মোহাম্মদপুর, ঢাকা), মাদ্রাসা-এ- তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া (হালিশহর, চট্টগ্রাম), মাদ্রাসা-এ- তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া সুন্নিয়া ও মসজিদ কমপ্লেক্স (কালুরঘাট, চট্টগ্রাম), মাদ্রাসা-এ-তৈয়্যবিয়া অদুদিয়া সুন্নিয়া (চন্দ্রঘোনা, চট্টগ্রাম) ইত্যাদি, পাকিস্তানের করাচির আওরঙ্গী টাউনে মাদ্রাসা-এ- তৈয়্যবিয়া ও মায়ানমারে মাদ্রাসা-এ- আহলে সুন্নাত।

এছাড়াও তিনি নবী মুহাম্মদ (দ.)'র শুভাগমনের দিন উপলক্ষে বাংলাদেশে আয়োজিত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা "জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী"র পথিকৃৎ।

সাংগঠনিক অবদান

[সম্পাদনা ]

তৈয়্যব শাহ ১৯৮৬ সালে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন এবং আরো মজলিশে গাউসিয়া সিরিকোটিয়া পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করেন।[] তিনি সুন্নি রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা'র এবং আরো অনেক ধর্মীয় সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। []

প্রকাশনায় অবদান

[সম্পাদনা ]

১৯৭৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর তারিখে তিনি বাংলা ভাষায় সুন্নিয়ত ভিত্তিক সাহিত্য প্রকাশনার উপর গুরুত্বারোপ করে মাসিক তরজুমান-এ-আহলে সুন্নাত প্রকাশের নির্দেশ দেন এবং জানুয়ারি ১৯৭৭ সাল থেকে আনজুমান থেকে এ প্রকাশনার যাত্রা শুরু হয় এবং পরবর্তীতে নিবন্ধন লাভের পর অদ্যাবধি সুন্নিয়তের শীর্ষস্থানীয় মাসিক প্রকাশনার ক্ষেত্রে এখনো প্রধান এবং প্রাচীনতম এই মাসিক তরজুমান।[]

রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড

[সম্পাদনা ]

তিনি পাকিস্তান আন্দোলনের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি নিপীড়নের বিরোধিতা করেছিলেন।[]

তার খলিফাগণ

[সম্পাদনা ]

মৃত্যু

[সম্পাদনা ]

তৈয়্যব শাহ ১৪১৩ হিজরীর ১৫ ই জ্বিলহজ্জ, ১৯৯৩ সালের ৭ ই জুন সোমবার সকাল ৯.০০ টার দিকে শেতালু শরীফে মৃত্যুবরণ করেন।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা ]
  1. Ameer Shah Geelani, Maulana Syed Muhammad। Tazkira Ulama-o-Mashaikh Sarhad। Khyber-Pakhtunkhwa, Pakistan: Pishawar Azeem Publication House। পৃষ্ঠা 290। 
  2. "Anjuman Rahmaniya Document titled Syed Muhammad Tayyab Shah" (পিডিএফ) [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ ]
  3. Qadri, Mehmood Ahmad। Tazkira Ullama E Ahle Sunnat। পৃষ্ঠা 48। 
  4. "শতাব্দির মহান সংস্কারক গাউসে জমান, মুর্শিদে বরহক্ব, আল্লামা, হাফেজ, ক্বারী, সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ 'র কৃতিত্ব" । সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৯ 
  5. মোহাম্মদ আবদুল অদুদ (১৯৯৪)। আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ্ (রা.) – জীবন ও কর্ম। তৈয়্যবিয়া সোসাইটি, বাংলাদেশ। পৃষ্ঠা ৩৯।  |সংগ্রহের-তারিখ= এর |ইউআরএল= প্রয়োজন (সাহায্য)
  6. "Welcome To Anjuman-E- Rahmania Ahmadia Sunnia Trust" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-০৪ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা ]

AltStyle によって変換されたページ (->オリジナル) /