ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
নীতিবাক্য | প্রযুক্তিই প্রগতি |
---|---|
ধরন | সরকারি |
স্থাপিত | ১৯৫৫ ' ইস্ট পাকিস্তান পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট (ইপিপিআই)'; ১৯৭১ 'ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট (ডিপিআই)' |
অধ্যক্ষ | ইঞ্জিনিয়ার কাজী জাকির হোসেন |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ১৩০ |
শিক্ষার্থী | ১০,৮০০ |
স্নাতক | ৮০০০ |
অবস্থান | তেজগাঁও শিল্প এলাকা , , ২৩°৪৫′৩২′′ উত্তর ৯০°২৩′৫৯′′ পূর্ব / ২৩.৭৫৮৮৯° উত্তর ৯০.৩৯৯৭২° পূর্ব / 23.75889; 90.39972 |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে , ২৭.৬৩ একর (0.১১ কিমি2) |
পোশাকের রঙ | সাদা কালো |
ওয়েবসাইট | dpi |
মানচিত্র |
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।[১] [২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা ]১৯৪৯ এর ফেব্রুয়ারিতে Council of Technical Education in Pakistan এর রিপোর্ট মোতাবেক ১৯৫৫ সালে করাচী ও ঢাকায় দু’টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপিত হয়। তৎকালীন সি. এল. আই. ডিপার্টমেন্টের অধীনে আমেরিকার ফোর্ড ফাউন্ডেশন-এর অর্থানুকুল্যে ১৯৫৫ সালের ৫ই জানুয়ারি স্থাপিত হয় বর্তমানের ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, তখন যার নাম ছিল ইস্ট বেঙ্গল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
1955 সালে এর মে মাসে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
এর প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয় ১৯৫৩ সালে এবং শেষ হয় ১৯৫৫ সালে। প্রথম ব্যাচ ভর্তি করা হয় ১৯৫৬ সালে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৮৩ সালে Dacca থেকে Dhaka নামে পরিবর্তিত হয়ে বর্তমান Dhaka polytecnic institute নামে নাম করণ হয়. আমেরিকার ওকলাহামা স্টেট ইউনিভার্সিটির কারিকুলাম অনুসরনে পরিচালিত তিন বৎসর মেয়াদি চারটি প্রযুক্তিতে (সিভিল, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল ও পাওয়ার) ১২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে পরিচালিত ডিপ্লোমা স্তরের কোর্সটি Associate in Engineering নামে প্রত্যয়ন হতো। বর্তমানে অত্র প্রতিষ্ঠানে চার বছর মেয়াদী এই কোর্সে ১২টি টেকনোলোজি চলমান রয়েছে।যদিও এইটি সবচেয়ে পুরাতন পলিটেকনিক নয়, তবে এইটির প্রস্তাবনা গ্লাস এন্ড সিরামিকস এর আগেই দেওয়া হয়েছে বিধায় একে সবচেয়ে পুরাতন পলিটেকনিক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
অবস্থান
[সম্পাদনা ]ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট তেজগাঁও শিল্প এলাকায় অবস্থিত। এর উত্তরে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণে কারিগরি শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় এবং পশ্চিমে ঢাকা-টংগী মহাসড়ক।[৩] এবং তার পেছন দিকে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন হাতিরঝিল।
ক্যাম্পাস
[সম্পাদনা ]মূল ক্যাম্পাসে রয়েছে চারতলা বিশিষ্ট একটি ভবন, অফিস, লাইব্রেরী, আধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ তিনটি বড় ওয়ার্কশপ ভবন, জিমনেশিয়াম ও ল্যবরেটরী এবং একটি ৫০০ জন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন অডিটোরিয়াম। মূল ভবনের দক্ষিণ পাশে রয়েছে মসজিদ ও শহীদ মিনার। উত্তর পাশে সোনালি ব্যাংক ঢাকা পলিটেকনিক শাখা, পুর্বে পোষ্ট আফিস আছে। ঢাকা পলিটেকনিক ফিল্ড ক্যাম্পাস হতে একটু দুরে অবস্থিত।
প্রযুক্তি
[সম্পাদনা ]একাডেমিক প্রযুক্তি সমূহের মধ্যে রয়েছে
- আর্কিটেকচার প্রযুক্তি
- অটোমোবাইল প্রযুক্তি
- কেমিক্যাল প্রযুক্তি
- সিভিল প্রযুক্তি
- কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যা
- ইলেকট্রিক্যাল প্রযুক্তি
- ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তি
- এনভায়রনমেন্টাল প্রযুক্তি
- ফুড প্রযুক্তি
- মেকানিক্যাল প্রযুক্তি
- পাওয়ার প্রযুক্তি
- রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং প্রযুক্তি (আর.এ.সি)
সংগঠন
[সম্পাদনা ]রাজনৈতিক
[সম্পাদনা ]- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
- বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন
- ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন
- বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির
অন্যান্য
[সম্পাদনা ]- বাংলাদেশ কারিগরি ছাত্র পরিষদ
- বাংলাদেশ পলিটেকনিক স্টুডেন্ট ফোরাম-বিপিএসএফ
- এলমনাই এসোসিয়েশন।
- টিম কারিগর - একটি উদ্ভাবক দল যারা প্রযুক্তি উদ্ভাবনে কাজ করে
- বেসিস স্টুডেন্টস ফোরাম - ডিপিআই চ্যাপ্টার
ছাত্রাবাস
[সম্পাদনা ]পূর্বে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ছাত্রদের জন্য ৫টি এবং ছাত্রীদের জন্য ২টি আবাসিক হল থাকলেও বর্তমানে ছাত্রদের জন্য ৩টি এবং ছাত্রীদের জন্য ২টি আবাসিক হল রয়েছে।
- লতিফ ছাত্রাবাস, এটি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ছাত্রাবাস
- কাজী মোতাহার হোসেন ছাত্রাবাস
- জহির রায়হান ছাত্রাবাস
- মনিরুজ্জামান ছাত্রাবাস (এখন সংরক্ষিত শিক্ষক দের জন্য)
- কাজী নজরুল ইসলাম ছাত্রাবাস (এখন পওনী থাকে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্লাস এন্ড সিরামিকস)
- আজিজ ছাত্রাবাস (এখন পাওনী থাকে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়)
- মহিলা ছাত্রাবাস(দূইটি ভবন বিশিষ্ট)
আরও দেখুন
[সম্পাদনা ]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা ]- ↑ "Dhaka Polytechnic Institute – Home"। dpi.gov.bd। ২০১৯-০৭-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২৮।
- ↑ হোসেন, আকবর (২০১৭-০১-০৬)। "বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষা:শিক্ষার্থীরা কতটা আগ্রহী হচ্ছে?" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২৮।
- ↑ "পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়তে হলে"। www.prothom-alo.com। ২০১৩-০৭-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২৮।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা ]- অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে