চন্দ্রকলা
- Afrikaans
- Aragonés
- العربية
- Asturianu
- Azərbaycanca
- Беларуская
- Беларуская (тарашкевіца)
- Български
- भोजपुरी
- Català
- Čeština
- Kaszëbsczi
- Cymraeg
- Dansk
- Deutsch
- Ελληνικά
- English
- Esperanto
- Español
- Eesti
- Euskara
- فارسی
- Suomi
- Français
- Galego
- Hawaiʻi
- עברית
- हिन्दी
- Hrvatski
- Հայերեն
- Bahasa Indonesia
- Íslenska
- Italiano
- 日本語
- ქართული
- Қазақша
- ಕನ್ನಡ
- 한국어
- Latina
- Lëtzebuergesch
- Lietuvių
- Latviešu
- Македонски
- മലയാളം
- मराठी
- Bahasa Melayu
- Malti
- Plattdüütsch
- Nedersaksies
- Nederlands
- Norsk nynorsk
- Norsk bokmål
- Occitan
- Polski
- Português
- Runa Simi
- Română
- Русский
- Srpskohrvatski / српскохрватски
- සිංහල
- Simple English
- Slovenčina
- Slovenščina
- Српски / srpski
- Seeltersk
- Svenska
- தமிழ்
- ไทย
- Türkçe
- Українська
- Oʻzbekcha / ўзбекча
- Vepsän kel’
- Tiếng Việt
- 吴语
- 中文
- 閩南語 / Bân-lâm-gú
- 粵語
চন্দ্রকলা বলতে বোঝায় পৃথিবী হতে দৃশ্যমান চাঁদের ক্ষয় এবং বৃদ্ধি। সূর্যের চারপাশে পৃথিবী এবং পৃথিবীর চারপাশে চাঁদের অবস্থানের সাপেক্ষে চন্দ্রকলার আকৃতি পরিবর্তন ঘটে। প্রতিবার এতে সময় লাগে প্রায় ২৯.৫৩ দিন এবং এ সময়কালকে চান্দ্রমাস বলে।
চাঁদ পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের টাইডাল লকিং দ্বারা আবদ্ধ হয়ে এর চারপাশে প্রদক্ষিণ করে, যার ফলে পৃথিবী থেকে সব সময় চাঁদের একটি পার্শ্বই দেখা যায়। চাঁদের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে এর দৃশ্যমান পাশ বিভিন্নভাবে সূর্য দ্বারা আলোকিত হয়। এই আলোকিত অংশের পরিমাণ ০% (অমাবস্যা) থেকে ১০০% (পূর্ণিমা) পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়।
ভারতীয় জ্যোতির্বিদ্যামতে
[সম্পাদনা ]চন্দ্র ১২টি রাশি ও ২৭টি নক্ষত্রকে অতিক্রম করতে সময় নেয় মোট ২৭ দিন। এই সময়কে বলা হয় চান্দ্রমাস। অন্য বিচারে একটি পূর্ণিমা থেকে অপর পূর্ণিমার পূর্বদিন পর্যন্ত ১ চান্দ্র মাস বিবেচনা করা হয়। প্রতিটি চান্দ্রমাসকে ৩০টি ভাগে ভাগ করা হয়। এই ৩০টি ভাগের প্রত্যেকটিকে বলা হয় তিথি। এর ভিতরে অমাবস্যার পরবর্তী তিথি থেকে পূর্ণিমা পর্যন্ত ১৫টি তিথি নিয়ে গঠিত ভাগটি শুক্লপক্ষ বলা হয়। পক্ষান্তরে পূর্ণিমার পরবর্তী তিথি থেকে অমাবস্যা পর্যন্ত ১৫টি তিথি নিয়ে গঠিত ভাগটির নাম কৃষ্ণপক্ষ নামে অভিহিত হয়ে থাকে। তিথিগুলো সৌরদিনের চেয়ে কিছুটা ছোটো। তাই চান্দ্রমাস সৌরমাসের চেয়ে কিছুটা ছোট হয়ে থাকে। প্রায় সাড়ে ২৯ সৌরদিনে দিনে এক চান্দ্রমাস হয়। এই রূপ ১২টি চান্দ্রমাস নিয়ে তৈরি হয় ১টি চান্দ্র-বৎসর।
সৌর বৎসরকে সাধারণভাবে গণনা করা হয় ৩৬৫ দিনে। পক্ষান্তরে চান্দ্র বৎসর হয় ৩৫৫ দিনে। ফলে প্রতি চান্দ্র বৎসরের সাথে সৌরবৎসরের ১০ দিনের পার্থক্য হয়। তিন বৎসরে এই পার্থক্যের পরিমাণ হয় ৩০ দিন। এই কারণে ভারতের বৈদিকযুগে প্রতি তিন বৎসর অন্তর অতিরিক্ত একটি বাড়তি মাস যুক্ত করে চান্দ্র বৎসরের সাথে সৌর বৎসরের সমন্বয় করা হতো। এই বাড়তি মাসকে বলা হয়েছে মলিম্লুচ বা মলমাস।
অমাবস্যার পর থেকে চাঁদের এই আলোকিত অংশ বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং পূর্ণিমাতে পরিপূর্ণতা লাভ করে। আবার পূর্ণিমা থেকে চাঁদের আলোকিত অংশ হ্রাস পেতে পেতে অমাবস্যায় পৌঁছায়। চাঁদের এই আলোকিত অংশের হ্রাস- বৃদ্ধির এক একটি অধ্যায়কে কলা বা চন্দ্রকলা বলা হয়।
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে
[সম্পাদনা ]পুরাণমতে চন্দ্রকলাকে ষোড়শ ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। চন্দ্রের বিভিন্ন আলোকিত অংশ বিভিন্ন সময়ে দেখা যায়। শুক্লপক্ষে চাঁদ প্রতিদিন একটু একটু করে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে তার ষোড়শকলা সম্পূর্ণ করে। চন্দ্রের এই ষোড়শবিধ কলা হল অমৃতা, মানদা, পূষা, তুষ্টি, পুষ্টি, রতি, ধৃতি, শশিনী, চন্দ্রিকা, কান্তি, জ্যোৎস্না, শ্রী, প্রীতি, অক্ষদা, পূর্ণা এবং পূর্ণামৃতা।
বিভিন্ন কলা বিভিন্ন দেবতারা পান করে থাকেন। নিচে এই কলাগুলোর নাম ও তার পানকর্তা দেবতাদের নামের তালিকা দেওয়া হলো। উল্লেখ্য অমৃতা নামক কলা পানিতে প্রবেশ করে বলে অমাবস্যার উদ্ভব হয়। এই কলা ঔষধিতে পরিণত হওয়ার পর গাভী খায়। ফলে দুধ ও ঘি উৎপন্ন হয়। সেই দুধ-ঘি দিয়ে ব্রাহ্মণেরা যজ্ঞ সম্পন্ন করে বলে- অমৃতের উৎপত্তি হয় এবং সেই অমৃতে চন্দ্রকলা পুনরায় পূর্ণ হয়।
শুক্লপক্ষীয় কলা
[সম্পাদনা ]
কৃষ্ণপক্ষীয় কলা
[সম্পাদনা ]