চতুর্দশপদী
- Afrikaans
- العربية
- অসমীয়া
- Asturianu
- Azərbaycanca
- Башҡортса
- Беларуская
- Беларуская (тарашкевіца)
- Български
- Brezhoneg
- Bosanski
- Català
- Čeština
- Чӑвашла
- Cymraeg
- Dansk
- Deutsch
- Dolnoserbski
- Ελληνικά
- English
- Esperanto
- Español
- Eesti
- Euskara
- فارسی
- Suomi
- Français
- Frysk
- Gaeilge
- 贛語
- Galego
- Hausa
- עברית
- Hrvatski
- Magyar
- Հայերեն
- Bahasa Indonesia
- Ido
- Íslenska
- Italiano
- 日本語
- Patois
- ქართული
- Қазақша
- ಕನ್ನಡ
- 한국어
- Kurdî
- Кыргызча
- Latina
- Limburgs
- Lietuvių
- Latviešu
- Македонски
- മലയാളം
- मराठी
- Bahasa Melayu
- Nederlands
- Norsk nynorsk
- Norsk bokmål
- Nouormand
- Occitan
- Ирон
- Polski
- Português
- Română
- Русский
- Sicilianu
- سنڌي
- Srpskohrvatski / српскохрватски
- Simple English
- Slovenčina
- Slovenščina
- Српски / srpski
- Sunda
- Svenska
- தமிழ்
- ไทย
- Tagalog
- Türkçe
- Українська
- اردو
- Oʻzbekcha / ўзбекча
- Tiếng Việt
- Walon
- 吴语
- მარგალური
- 中文
- 粵語
চতুর্দশপদী(Sonnet) হল এক ধরনের কবিতা যার প্রথম উদ্ভব হয় মধ্যযুগে ইতালিতে। এর বৈশিষ্ট্য হল যে এই কবিতাগুলো ১৪টি চরণে সংগঠিত এবং প্রতিটি চরণে সাধারণভাবে মোট ১৪টি করে অক্ষর থাকবে। এর প্রথম আট চরণের স্তবককে অষ্টক এবং পরবর্তী ছয় চরণের স্তবককে ষটক বলে। অষ্টকে মূলত ভাবের প্রবর্তনা এবং ষটকে ভাবের পরিণতি থাকে, যাকে বলা হয় ভোল্টা।
ইংরেজি চতুর্দশপদী
[সম্পাদনা ]ইংরেজিতে চতুর্দশপদী কবিতাকে সনেট (sonnet) বলা হয়। ইংরেজি চতুর্দশপদী প্রথম পরিচিতি পেয়েছিল খ্রিষ্টীয় ১৬শ (ষোড়শ) শতাব্দীতে 'টমাস ওয়াট' এর প্রয়োগের মাধ্যমে। কিন্তু এর প্রচলন প্রবল হয়ে ওঠে স্যার ফিলিপ সিডনি এর Astrophel and Stella (১৫৯১) প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে। তার পরের দুই শতক উইলিয়াম শেকসপিয়র, এডমন্ড স্পেন্সার, মাইকেল ড্রায়টন ইত্যাদি ব্যক্তিত্ত্বরা চতুর্দশপদী কবিতাকে নতুন নতুন ধাপে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। এরুপ কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল নারীর প্রতি ভালবাসা।
বাংলা চতুর্দশপদী
[সম্পাদনা ]বাংলা ভাষায় প্রথম সনেট রচনার কৃতিত্ব মাইকেল মধুসূদন দত্তের, সনেটকে বাংলায় চতুর্দশপদী নাম মহাকবি মাইকেল মধুসূদনই দিয়েছিলেন। বাংলা সনেট (চতুর্দশপদী) এর সার্থক স্রষ্টা কবি মধুসূদন দত্ত ১৮৬৫ খ্রীষ্টাব্দে ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে অবস্থানকালেই ইতালির কবি পেত্রার্কের সনেট থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রথম বাংলা সনেটের দিগন্ত উন্মোচন করেন। ১৮৬৬ খ্রীষ্টাব্দে কবির চতুর্দশপদী কবিতাগুলি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। এই কবিতাগুলিতে কবি চিত্তের ব্যকুলতা, স্বদেশ প্রেম ও আবেগ ধ্বনিত হয়েছে।[১]
মাইকেল মধুসূধন দত্তের একটি চতুর্দশপদী।
"বউ কথা কও"[২]
কি দুখে, হে পাখি, তুমি শাখার উপরে
বসি, বউ কথা কও, কও এ কাননে ?—
মানিনী ভামিনী কি হে, ভামের গুমরে,
পাখা-রূপ ঘোমটায় ঢেকেছে বদনে ?
তেঁই সাধ তারে তুমি মিনতি-বচনে ?
তেঁই হে এ কথাগুলি কহিছ কাতরে ?
বড়ই কৌতুক, পাখি, জনমে এ মনে—
নর-নারী-রঙ্গ কি হে বিহঙ্গিনী করে ?
সত্য যদি, তবে শুন, দিতেছি যুকতি;
(শিখাইব শিখেছি যা ঠেকি এ কু-দায়ে)
পবন বেগে যাও যথায় যুবতী;
"ক্ষম, প্রিয়ে" এই বলি পড় গি
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা ]- ↑ "মাইকেল মধুসূদন দত্ত"। যশোর ইনফো ডট কম। ৩ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ https://ebanglasahitto.com/search/label/Sonnet [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ ]