বিষয়বস্তুতে চলুন
উইকিপিডিয়া একটি মুক্ত বিশ্বকোষ

এএফসি প্রেসিডেন্টস কাপ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এএফসি প্রেসিডেন্টস কাপ
প্রতিষ্ঠিত২০০৫
বিলুপ্ত২০১৫
অঞ্চলএশিয়া (এএফসি)
দলের সংখ্যা১২
সম্পর্কিত
প্রতিযোগিতা
এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ
সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নতুর্কমেনিস্তান এইচটিটিইউ আসগাবাত
সবচেয়ে সফল দলতাজিকিস্তান রেগার তাদায
(৩ বার)
এএফসি প্রেসিডেন্টস কাপ ২০১৪

এএফসি প্রেসিডেন্টস কাপ হল এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন(এএফসি) কর্তৃক পরিচালিত ঘরোয়া ক্লাবসমূহের অংশগ্রহণে একটি আন্তর্জাতিক অ্যাসোসিয়েশন ফুটবল প্রতিযগিতা।

প্রতিযোগিতার ধরন

[সম্পাদনা ]

২০০৫ সালে এই টুর্নামেন্টের সূচনা থেকে, অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা প্রথম ৮ টি থেকে বাড়িয়ে ১১ টি করা হয় এবং পরবর্তীতে ১২ টি করা।

২০০৫ থেকে ২০০৭ সালের টুর্নামেন্টগুলোতে ৮ টি দল ২ টি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলত। দুইটি গ্রুপ-ই একটি আয়োজক রাষ্ট্রে খেলত।

এই দুইটি গ্রুপের মধ্য থেকে, প্রতিটি গ্রুপের বিজয়ী এবং রানার্স আপ দল সেমি ফাইনালে উত্তীর্ণ হত এবং আয়োজক দেশে তারা খেলত।

২০০৮ সালে, টুর্নামেন্টকে ১১ টি ক্লাবে বাড়ানো হয়। এই জন্য, বাছাইপর্বের সূচনা করা হয়। ১১ টি ক্লাবকে ৩ টি গ্রুপে ভাগ করা হত। দুইটি গ্রুপে ৪ টি করে ক্লাব এবং একটিতে ৩ টি ক্লাব খেলত।

প্রতিটি গ্রুপ ভিন্ন ভিন্ন দেশে খেলত। গ্রুপের ক্লাবগুলোর যেকোনো একটি দেশ স্বাগতিক হত সেই গ্রুপের জন্য।

প্রতিটি গ্রুপের বিজয়ী এবং রানার্স আপ চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা খেলত, যা পরবর্তীতে অন্য কোন দেশে খেলা হত।

২০১১ সালে, টুর্নামেন্টকে আরও বাড়িয়ে ১২ টি ক্লাবের করা হয়। এই জন্য ৪ টি ক্লাব করে মোট ৩ টি বাছাই পর্বের গ্রুপে ভাগ করা হয়। অতঃপর গ্রুপ বিজয়ী এবং রানার্স আপ চূড়ান্ত পর্বে খেলার জন্য নির্বাচিত হয়। এরপর, ৬ টি ক্লাবকে ২ টি গ্রুপে ভাগ করা হয়। এদের মাঝে সেরা ২ ক্লাব ফাইনাল খেলে। এর মানে এই পর্বে নকআউট পদ্ধতি চালু নেই।[]

২০০৫ থেকে, ৬ টি দেশের ৮ টি ক্লাব অংশ নেয়, নেপাল নেপাল, চীনা তাইপেই তাইওয়ান (চাইনীজ তাইপে), ভুটান ভুটান, শ্রীলঙ্কা শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান পাকিস্তান and কম্বোডিয়া কম্বোডিয়া.

২০০৮ থেকে, বাংলাদেশ বাংলাদেশ এবং তুর্কমেনিস্তান তুর্কমেনিস্তানের ক্লাবগুলোকে ডাক দেওয়া হয়।

২০১১ থেকে ২০১৩, ফিলিস্তিনী জাতীয় কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনের ক্লাব আসলেও, ২০১৪ থেকে তারা এএফসি কাপে খেলে।

২০১২ থেকে, মঙ্গোলিয়া মঙ্গোলিয়ারক্লাব আসছে।

২০০৮ থেকে ২০১১, মিয়ানমার মায়ানমারের ক্লাব আসলেও, ২০১২ থেকে তারা এএফসি কাপে খেলে।

২০১৩ থেকে, ফিলিপাইন ফিলিপাইনের ক্লাব আসছে।

২০০৫ থেকে ২০১২, তাজিকিস্তান তাজিকিস্তানের ক্লাব আসলেও ২০১৩ থেকে তারা এএফসি কাপে চলে যায়।

২০১৪ থেকে, উত্তর কোরিয়া উত্তর কোরিয়ার ক্লাব আসছে।

২০১৫ থেকে, লাওস লাওসের ক্লাব আসবে।

২০০৫ থেকে ২০১৩, কিরগিজস্তান কিরগিজস্থানের ক্লাব আসলেও ২০১৪ থেকে তারা এএফসি কাপে চলে যায়।

অন্যান্য দেশ, যাদের একটি করে ক্লাব অংশ নিতে পারবে কিন্তু এখনো নেয়নি, তারা হলঃ ব্রুনাই ব্রুনেই দারুসসালাম, পূর্ব তিমুর টিমর লেস্তে, গুয়াম গুয়াম, মাকাও মাকাও এবং আফগানিস্তান আফগানিস্তান

২০১২ সালের মার্চে, এএফসি ঘোষণা করে যে, উত্তর মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জ এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ এবং এএফসি প্রেসিডেন্টস কাপ খেলতে পারবে যদি তারা নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পুরণ করে।[]

২০১৩ সালের নভেম্বরে, এএফসি ঘোষণা করে যে, এএফসি প্রেসিডেন্টস কাপ ২০১৪ হবে এই টুর্নামেন্টের শেষ আসর।[]

ফলাফল

[সম্পাদনা ]
বছর আয়োজক ফাইনাল সেমি-ফাইনালে পরাজিত দল
বিজয়ী ফলাফল রানার্স-আপ
২০০৫    নেপাল তাজিকিস্তান
রেগার-তাদায
৩–০ কিরগিজস্তান
দোরদোই-ডিনামো
শ্রীলঙ্কা ব্লু স্টার এসসি
নেপাল থ্রি স্টার ক্লাব
২০০৬  মালয়েশিয়া কিরগিজস্তান
দোরদোই-ডিনামো
২–১
(অ.স.প.)
তাজিকিস্তান
বখশ
কম্বোডিয়া খেমারা
চীনা তাইপেই তাতুং
২০০৭  পাকিস্তান কিরগিজস্তান
দোরদোই-ডিনামো
২–১ নেপাল
মহেন্দ্র পুলিশ ক্লাব
শ্রীলঙ্কা রত্নম স্পোর্টস ক্লাব
তাজিকিস্তান রেগার-তাদায
২০০৮  কিরগিজিস্তান তাজিকিস্তান
রেগার-তাদায
১–১ (অ.স.প.)
৪–৩ (পে.)
কিরগিজস্তান
দোরদোই-ডিনামো
তুর্কমেনিস্তান এফসি আসগাবাত
নেপাল মহেন্দ্র পুলিশ ক্লাব
২০০৯  তাজিকিস্তান তাজিকিস্তান
রেগার-তাদায
২–০ কিরগিজস্তান
দোরদোই-ডিনামো
তুর্কমেনিস্তান এফসি আসগাবাত
পাকিস্তান ওয়াপদা
২০১০ মিয়ানমার
মায়ানমার
মিয়ানমার
ইয়াদানারবন
১–০
(অ.স.প.)
কিরগিজস্তান
দোরদোই-ডিনামো
তুর্কমেনিস্তান এইচটিটিইউ আসগাবাত
তাজিকিস্তান বখশ কুরঘোনটেপ্পা
২০১১  তাইওয়ান চীনা তাইপেই
তাইওয়ান পাওয়ার কোম্পানি
৩–২ কম্বোডিয়া
নম পেন ক্রাউন
২০১২  তাজিকিস্তান তাজিকিস্তান
ইস্তিকলোল
২–১ ফিলিস্তিন
মার্কাজ শাবাব আল-আম'আরি
২০১৩  মালয়েশিয়া তুর্কমেনিস্তান
নেবিৎচি ফুটবল দল
১–০ পাকিস্তান
খান ল্যাব
২০১৪  শ্রীলঙ্কা তুর্কমেনিস্তান
এইচটিটিইউ আসগাবাত
২–১ উত্তর কোরিয়া
রিমইয়ংসু
এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ দেখুন

দেশগত পারফরম্যান্স

[সম্পাদনা ]
# দেশ বিজয়ী রানার্স আপ
 তাজিকিস্তান
 কিরগিজিস্তান
 তুর্কমেনিস্তান
 মিয়ানমার
 চীনা তাইপেই
 কম্বোডিয়া
   নেপাল
 পাকিস্তান
 ফিলিস্তিন
 উত্তর কোরিয়া

ক্লাবগত পারফরম্যান্স

[সম্পাদনা ]
ক্লাব বিজয়ী রানার্স আপ বিজয়ী সাল পরাজিত সাল
তাজিকিস্তান রেগার তাদায (২০০৫, ২০০৮, ২০০৯)
কিরগিজস্তান দরদই ডাইনামো (২০০৬, ২০০৭) (২০০৫, ২০০৮, ২০০৯, ২০১০)
মিয়ানমার যাদানারবন 0 (২০১০)
চীনা তাইপেই তাইওয়ান পাওয়ার কোম্পানি (২০১১)
তাজিকিস্তান এস্তেঘলাল দুশানবে (২০১২)
তুর্কমেনিস্তান বাল্কান (২০১৩)
তাজিকিস্তান ভাখশ (২০০৬)
নেপাল মহেন্দ্র পুলিশ ক্লাব (২০০৭)
কম্বোডিয়া ফেনম পেনহ ক্রাউন (২০১১)
ফিলিস্তিন মারকায শাবাব আল-আমারি (২০১২)
পাকিস্তান কেআরএল এফসি (২০১৩)

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা ]
  1. "AFC Competitions Committee meeting"। ১৮ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০১৪ 
  2. "Competitions Committee takes key decisions"। The-afc.com। ২০১২-০৩-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৮-১৩ 
  3. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৬ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৯ 

AltStyle によって変換されたページ (->オリジナル) /