বিষয়বস্তুতে চলুন
উইকিপিডিয়া একটি মুক্ত বিশ্বকোষ

আলাপ:বাংলা ভাষা

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
আলোচনা যোগ করুন
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সাম্প্রতিক মন্তব্য: Ehhjj কর্তৃক ৩ মাস আগে "বাংলা ভাষা এবং অসমীয়া ভাষা সৃষ্টির ঐতিহাসিক পটভূমি:" অনুচ্ছেদে
এই পাতাটি বাংলা ভাষা নিবন্ধের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনার জন্য আলাপ পাতা
নিবন্ধ সম্পাদনার নীতিমালা
আবশ্যকীয় নিবন্ধ বাংলা ভাষা সমাজ এবং সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ে একটি ৩য় স্তরের আবশ্যকীয় নিবন্ধ হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়েছে। যদি আপনি এটিকে আরও উন্নত করতে পারেন, দয়া করে করুন। এই নিবন্ধটি সর্বোচ্চ-শ্রেণীর নিবন্ধ হিসাবে মূল্যায়িত হয়েছে।
ভালো নিবন্ধ বাংলা ভাষা ভাষা এবং সাহিত্যবিষয়ক ভালো নিবন্ধের মানদণ্ড অনুসারে একটি ভালো নিবন্ধ হিসেবে চিহ্নিত। আপনি যদি নিবন্ধটির আরো উন্নয়ন করতে সমর্থ হন, তবে অনুগ্রহপূর্বক তা করুন। আপনি যদি মনে করেন যে নিবন্ধটিতে মানদণ্ড অনুসৃত হয়নি তাহলে এটির পুনঃপর্যালোচনা আহবান করতে পারেন।
উইকিপ্রকল্প বাংলাদেশ (মূল্যায়ন - মান ভালো, গুরুত্ব উচ্চ) বাংলাদেশউইকিপিডিয়া:উইকিপ্রকল্প বাংলাদেশটেমপ্লেট:উইকিপ্রকল্প মূল্যায়নউইকিপ্রকল্প বাংলাদেশ নিবন্ধ
এই নিবন্ধটি উইকিপ্রকল্প বাংলাদেশের অংশ, যা উইকিপিডিয়ায় বাংলাদেশ সম্পর্কিত বিষয়ের উন্নতির একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা। আপনি যদি প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে চান, তাহলে প্রকল্প পৃষ্ঠায় যান, যেখানে আপনি প্রকল্পের আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবং করণীয় কাজসমূহের একটি তালিকা দেখতে পাবেন।
ভালো এই নিবন্ধটি প্রকল্পের মানের মাপনী অনুযায়ী ভালো-শ্রেণী হিসাবে মূল্যায়িত হয়েছে।
উচ্চ এই নিবন্ধটি গুরুত্বের মাপনী অনুযায়ী উচ্চ-গুরুত্ব হিসাবে মূল্যায়িত হয়েছে।
উইকিপ্রকল্প ভাষা (মূল্যায়ন - মান ভালো, গুরুত্ব উচ্চ) ভাষাউইকিপিডিয়া:উইকিপ্রকল্প ভাষাটেমপ্লেট:উইকিপ্রকল্প মূল্যায়নউইকিপ্রকল্প ভাষা নিবন্ধ
এই নিবন্ধটি উইকিপ্রকল্প ভাষার অংশ, যা উইকিপিডিয়ায় ভাষা সম্পর্কিত বিষয়ের উন্নতির একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা। আপনি যদি প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে চান, তাহলে প্রকল্প পৃষ্ঠায় যান, যেখানে আপনি প্রকল্পের আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবং করণীয় কাজসমূহের একটি তালিকা দেখতে পাবেন।
ভালো এই নিবন্ধটি প্রকল্পের মানের মাপনী অনুযায়ী ভালো-শ্রেণী হিসাবে মূল্যায়িত হয়েছে।
উচ্চ এই নিবন্ধটি গুরুত্বের মাপনী অনুযায়ী উচ্চ-গুরুত্ব হিসাবে মূল্যায়িত হয়েছে।

[সম্পাদনা ]
সর্বশেষ মন্তব্য: ১৬ বছর পূর্বে ১টি মন্তব্য১ জন ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন

--59.93.243.230 ০৭:০২, ২৭ জুন ২০০৮ (ইউটিসি) উত্তর দিন

বাঙালীর সংখ্যা

[সম্পাদনা ]

Number of Bengali speakers = 230 million as written in text, but 270 million according to table?! Is it really the 4th largest? some references would be good. -Saptarshi

include ipa of bangla in infobox?

[সম্পাদনা ]
সর্বশেষ মন্তব্য: ১৭ বছর পূর্বে ১টি মন্তব্য১ জন ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন

Should we?--অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৫:৩৩, ৪ নভেম্বর ২০০৬ (ইউটিসি) উত্তর দিন

Bangla as a language developed in last century due to some world renowned works by both Indian Bengalis and Bangladeshis. But why not neo generation writers from Bengali mother tounge is writing in Bangla! I think this needs thought provoking study. Is it because the language is not being "paid" well!! Manas Datta

Bengali help

[সম্পাদনা ]
সর্বশেষ মন্তব্য: ১৪ বছর পূর্বে ৪টি মন্তব্য২ জন ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন

I am trying to copy the first three words from http://web.archive.org/web/20060930072857/http://www.detroit.k12.mi.us/dressCode_Bengali.pdf

The first two are ডেট্রয়েট পাবলিক - but how do I type the third word? The first Bengali letter of the third word is the equivalent of स्क in Devanagri... - The name is "Detroit Public Schools" in Bengali. Thanks WhisperToMe (আলাপ) ২১:৩১, ২৯ জুন ২০১০ (ইউটিসি) উত্তর দিন

ডেট্রয়েট পাবলিক স্কুল --রাগিব (আলাপ | অবদান) ২১:৩৭, ২৯ জুন ২০১০ (ইউটিসি) উত্তর দিন
The plural form, i.e. Detroit Public Schools = ডেট্রয়েট পাবলিক স্কুল্‌স --রাগিব (আলাপ | অবদান) ২১:৪১, ২৯ জুন ২০১০ (ইউটিসি) উত্তর দিন
Thank you very much :) WhisperToMe (আলাপ) ২১:৪৭, ২৯ জুন ২০১০ (ইউটিসি) উত্তর দিন

ami ata chai ne

Bengali English Dictionaries

[সম্পাদনা ]
সর্বশেষ মন্তব্য: ১১ বছর পূর্বে ১টি মন্তব্য১ জন ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন

http://books.google.com/books?id=xqcIAAAAQAAJ&printsec=frontcover&source=gbs_ge_summary_r&cad=0#v=onepage&q&f=false

http://books.google.com/books?id=zGdAAAAAYAAJ&printsec=frontcover&source=gbs_ge_summary_r&cad=0#v=onepage&q&f=false

http://books.google.com/books?id=ERwYAAAAYAAJ&printsec=frontcover&source=gbs_ge_summary_r&cad=0#v=onepage&q&f=false

http://books.google.com/books?id=4acIAAAAQAAJ&printsec=frontcover&source=gbs_ge_summary_r&cad=0#v=onepage&q&f=false

Rajmaan (আলাপ) ২২:২৬, ৯ মার্চ ২০১৩ (ইউটিসি) উত্তর দিন

প্রধান পাতার সূচনাংশ

[সম্পাদনা ]

বাংলা ভাষা একটি ইন্দো-আর্য ভাষা, যা দক্ষিণ এশিয়ার বাঙালি জাতির প্রধান কথ্য ও লেখ্য ভাষা। মাতৃভাষীর সংখ্যায় বাংলা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের চতুর্থ ও বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম ভাষা। মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনুসারে বাংলা বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম ভাষা। বাংলা সার্বভৌম ভাষাভিত্তিক জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা তথা সরকারি ভাষা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসামের বরাক উপত্যকার সরকারি ভাষা। বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের প্রধান কথ্য ভাষা বাংলা। এছাড়া ভারতের ঝাড়খণ্ড, বিহার, মেঘালয়, মিজোরাম, উড়িষ্যা রাজ্যগুলোতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাংলাভাষী জনগণ রয়েছে। ভারতে হিন্দির পরেই সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা বাংলা। এছাড়াও মধ্য প্রাচ্য, আমেরিকা ও ইউরোপে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাংলাভাষী অভিবাসী রয়েছে। সারা বিশ্বে সব মিলিয়ে ২৬ কোটির অধিক লোক দৈনন্দিন জীবনে বাংলা ব্যবহার করে। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত এবং ভারতের জাতীয় সঙ্গীতস্তোত্র বাংলাতে রচিত। (বাকি অংশ পড়ুন...)

সম্পাদনা বাতিল প্রসঙ্গে

[সম্পাদনা ]
সর্বশেষ মন্তব্য: ২ বছর পূর্বে ২টি মন্তব্য২ জন ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন

@Md Minhaz Uddin Majumder: ভাই, সিয়েরা লিওনের বিষয়টি নিয়ে রিয়াজ ভাইয়ের আলাপ পাতায় এবং আলোচনাসভায় (উইকিপিডিয়া:আলোচনাসভা/সংগ্রহশালা/২০২০/১-৪#মতামত) আলোচনা হয়েছিল। সেখানে, সিয়েরা লিওনের কোনো সরকারি ওয়েবসাইটে এ ধরনের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে এটি না রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। —গোলা মুকি(আলাপ) ১২:৪৭, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ (ইউটিসি) উত্তর দিন

ধন্যবাদ!আমি দেশী গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখে সিয়েরা লিওনের ইংরেজি উইকিপাতায় বাংলা দেখেই যুক্ত করেছিলাম জানতাম না যে ভুল সংবাদ। মিনহাজ উদ্দিন ২১:২৩, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ (ইউটিসি) উত্তর দিন

মুসলিম শাসকদের অবদান।

[সম্পাদনা ]
সর্বশেষ মন্তব্য: ২ বছর পূর্বে ১টি মন্তব্য১ জন ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন

রায় বাহাদুর শাস্ত্রী এব্যাপারে কিছু আলোচনা করেছেন। A one man Amir (আলাপ) ০০:৪৪, ২ মার্চ ২০২২ (ইউটিসি) উত্তর দিন

টেমপ্লেট সাহায্য আবেদন

[সম্পাদনা ]
সর্বশেষ মন্তব্য: ২ বছর পূর্বে ২টি মন্তব্য১ জন ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন
টিক-চিহ্ন
এই সাহায্যের আবেদনটির উত্তর প্রদান করা হয়েছে। আপনার যদি আরও সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তবে আপনি আপনার আলাপ পাতায় আরেকটি প্রশ্ন করতে পারেন , অথবা আপনি সাহায্যকারী ব্যবহারকারীর আলাপ পাতায় সরাসরি প্রশ্ন করতে পারেন।

ভাষা টেমপ্লেটের আইএসও-৩ এর data অংশটি লাল সংযোগ প্রদান করছে। অথচ ইংরেজি উইকিতে যথাযথ ওয়েবসাইটের সংযোগ প্রদান করছে। যেমন: এটির পাতায় ben সংযোগটি প্রদান করছে। এমনিভাবে প্রত্যেক ভাষার পাতায় এই সংযোগ প্রদান করছে। টেমপ্লেটটি সামান্য জটিল হওয়ায় আমি ঠিক করতে পারছিনা। কেউ ঠিক করে দিন। ~ খাত্তাব , , ... ০৫:১৪, ২৫ মার্চ ২০২২ (ইউটিসি) উত্তর দিন

ঝুঁকি নিয়ে নিজেই ঠিক করে ফেললাম। ~ খাত্তাব , , ... ০৬:০৭, ২৫ মার্চ ২০২২ (ইউটিসি) উত্তর দিন

বাংলা ভাষা এবং অসমীয়া ভাষা সৃষ্টির ঐতিহাসিক পটভূমি:

[সম্পাদনা ]
সর্বশেষ মন্তব্য: ৩ মাস আগে ১টি মন্তব্য১ জন ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন

পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার পশ্চিমবঙ্গ প্রাচীনকালের ইতিহাস। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ঐতিহাসিক উল্লেখ রয়েছে মৌর্য, গুপ্ত ও মুঘল যুগের ইতিহাস এবং পুন্ড্র,পাল ও সেন রাজবংশের ইতিহাস পাওয়া যায়।পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসের প্রথম অংশগুলি বৈদিক যুগের অন্তর্গত বলে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে যখন রাজ্যটি বিভিন্ন বংশোদ্ভূত এবং জাতিসত্তার অগণিত লোকের দ্বারা অধ্যুষিত ছিল। মহাকাব্য মহাভারত যুগে রাজ্যটি বেশ কয়েকটি সর্দার দ্বারা শাসিত হয়েছিল এবং পরবর্তী বৈদিক যুগে আর্যদের দ্বারা শাসিত হয়েছিল।

খ্রিস্টপূর্বাব্দ 551 এ মহাজনপদ বঙ্গ, মহাভারতে অঙ্গ, বঙ্গ ও কলিঙ্গ রাজ্য তিনটাকে ভারতবর্ষ বা প্রাচীন ভারতের নিকটবর্তী রাজ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।বৃহত্তর বঙ্গদেশে সভ্যতার সূচনা ঘটে আজ থেকে 4,000 বছর আগে। এই সময় দ্রাবিড়, তিব্বতি-বর্মি ও অস্ত্রো-এশীয় জাতিগোষ্ঠী এই অঞ্চলে এসে বসতি স্থাপন করেছিল। বঙ্গ বা বাংলা শব্দের প্রকৃত উৎস অজ্ঞাত। তবে মনে করা হয়, 1000 খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ যে দ্রাবিড়-ভাষী বং জাতিগোষ্ঠী এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল তারই নামানুসারে এই অঞ্চলের নামকরণ হয় বঙ্গ। গ্রিক সূত্র থেকে খ্রিষ্টপূর্ব 100 অব্দ নাগাদ গঙ্গারিডাই নামক একটি অঞ্চলের অস্তিত্বের কথা জানা যায়। সম্ভবত এটি বৈদেশিক সাহিত্যে বাংলার প্রাচীনতম উল্লেখগুলির অন্যতম। মনে করা হয় এই গঙ্গারিডাই শব্দটি গঙ্গাহৃদ (অর্থাৎ, গঙ্গা যে অঞ্চলের হৃদয়ে প্রবাহিত) শব্দের অপভ্রংশ। খ্রিষ্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীতে বাংলা ও বিহার অঞ্চল নিয়ে গড়ে ওঠে মগধ রাজ্য। একাধিক মহাজনপদের সমষ্টি এই মগধ রাজ্য ছিল মহাবীর ও গৌতম বুদ্ধের সমসাময়িক ভারতের চারটি প্রধান রাজ্যের অন্যতম। মৌর্য রাজবংশের রাজত্বকালে প্রায় সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া মগধ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে এই সাম্রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ নরপতি মহামতি অশোকের রাজত্বকালে আফগানিস্তান ও পারস্যের কিছু অংশও এই সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়।

জাভা, সুমাত্রা ও শ্যামদেশের (অধুনা থাইল্যান্ড) সঙ্গে বাংলার বৈদেশিক বাণিজ্য সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ মহাবংশ অনুসারে, বিজয় সিংহ নামে বঙ্গ রাজ্যের এক রাজপুত্র লঙ্কা (অধুনা শ্রীলঙ্কা) জয় করেন এবং সেই দেশের নতুন নাম রাখেন সিংহল। প্রাচীন বাংলার অধিবাসীরা মালয় দ্বীপপুঞ্জ ও শ্যামদেশে গিয়ে সেখানে নিজেদের উপনিবেশ স্থাপন করেছিলেন।

গৌড়েশ্বর মহারাজাধিরাজ শশাঙ্কদেব ছিলেন প্রাচীন বাঙ্গালার গৌড় সাম্রাজ্যের সার্বভৌম নৃপতি ও বাংলা অঞ্চলে একীভূত রাষ্ট্রের প্রথম স্বাধীন রাজা। তিনি বাংলার বিভিন্ন ক্ষুদ্র রাজ্যকে একত্র করে গৌড় জনপদ গড়ে তোলেন। খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে তিনি রাজত্ব করেছেন বলে ধারণা করা হয়। ঐতিহাসিকদের মতে তিনি ৫৯৩ থেকে ৬৩৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে রাজত্ব করেন। তাঁর সিংহাসনে আরোহনের দিন থেকেই গণনা শুরু হয় বাঙ্গলা বর্ষপঞ্জি বা বঙ্গাব্দ । তাঁর রাজধানীর নাম ছিল কর্ণসুবর্ণ বা কানসোনা।

বাংলার ইতিহাসে তিনি বিশিষ্ট স্থান দখল করে আছেন। শশাঙ্ক প্রথম বাঙালি সম্রাট ও প্রথম স্বাধীন বাঙালি নৃপতি। তিনি মোটামুটি ভাবে ৫৯০ থেকে ৬২৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে রাজত্ব করেন বলে ধারণা করা হয়। তাঁর ৮ম ও ১০ম রাজ্যাংকে প্রকাশিত দুটি লিপি পাওয়া গেছে মেদিনীপুর থেকে এবং তারিখবিহীন অপর একটি লিপি খড়গপুরের নিকট এগ্রা হতে আবিষ্কৃত হয়েছে। এছাড়া শশাঙ্কের অধীনস্থ গঞ্জামের রাজা মাধববর্মার তাম্রশাসন (৬১৯ খ্রিষ্টাব্দের), হর্ষবর্ধনের বাঁশখেরা ও মধুবন তাম্রশাসন এবং কামরূপের রাজা ভাস্কর বর্মনের নিধানপুর তাম্রশাসন থেকে তাঁর সম্পর্কে জানা যায়। শশাঙ্কের উৎকীর্ণ স্বর্ণ ও রৌপ্যমুদ্রাও পাওয়া গেছে। গুপ্তদের পতন ও শশাঙ্কের উত্থানের মধ্যবর্তী সময়ে বাংলায় বেশ কিছু স্বাধীন শাসকের উদ্ভব ঘটে। এঁদের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানা যায় অল্প কিছু লিপি এবং স্বর্ণ মুদ্রার ভিত্তিতে। রোহতাসগড়ে প্রাপ্ত সিলের ছাঁচে লিখিত ‘শ্রী মহাসামন্ত শশাঙ্ক’, বাণভট্টের সমসাময়িক সাহিত্য উপকরণ, চৈনিক তীর্থযাত্রী হিউয়েন-সাং এর বিবরণ এবং বৌদ্ধ গ্রন্থ আর্যমঞ্জুশ্রীমূলকল্প শশাঙ্কের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ উৎস।সিংহাসনে আরোহণ করে তিনি বঙ্গাব্দ চালু করেন।বাংলা ক্যালেন্ডার তৈরির কৃতিত্ব শশাঙ্কের। বঙ্গাব্দ শব্দটি আকবর যুগের থেকে বহু শতাব্দী পুরনো দুটি শিব মন্দিরেও পাওয়া যায়, যা থেকে জানা যায় যে আকবরের সময়ের অনেক আগে থেকেই বাংলা ক্যালেন্ডার বিদ্যমান ছিলো।

শশাঙ্ক বা শশাঙ্কদেব নামটি সংস্কৃত থেকে এসেছে,যা চাঁদের আরেকটি নাম। শশাঙ্ক-দেব নামটি তাই চন্দ্র দেবতাকে প্রকাশ করে। হিন্দু দেবতা শিবও 'শশাঙ্ক শেখর' নামে পরিচিত কারণ তিনি তার মাথায় চাঁদ ধারণ করে থাকেন।

চীনা সন্ন্যাসী জুয়ানজাং -এর লেখায় তাকে শে-শাং-কিয়া বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাকে শশাঙ্ক নরেন্দ্রগুপ্তও বলা হয়, যা প্রাথমিকভাবে দাবি করে যে তিনি পরবর্তী গুপ্তদের বংশধর ছিলেন। মগধের সিনহার রাজবংশীয় ইতিহাসে, 'শশাঙ্ক' এবং 'সোম' নামগুলি পরস্পর পরিবর্তন যোগ্য ভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। শশাঙ্কের প্রাথমিক জীবন সম্পর্কে অতি অল্প তথ্য জানা যায়। কথিত আছে তিনি একজন শৈব ব্রাহ্মণ ছিলেন। নগেন্দ্রনাথ বসু যুক্তি দেখিয়েছেন যে শশাঙ্ক ছিলেন রাজা কর্ণদেবের পুত্র/বংশ, যিনি কর্ণসুবর্ণ শহর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

467 খ্রিস্টাব্দে স্কন্দগুপ্তের মৃত্যুর পর গুপ্ত সাম্রাজ্য বেশ কয়েকটি দুর্বল রাজা দেখেছিল। অন্য দিকে, প্রায় 480 খ্রিস্টাব্দে আলচন হুন সেনারা পতনশীল সাম্রাজ্যকে একাধিক দিক থেকে আক্রমণ করতে শুরু করে। বিশাল সাম্রাজ্যের প্রতিরক্ষা রাজকীয় কোষাগারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল। যদিও প্রাথমিকভাবে হুনদের বিতাড়িত করা হয়েছিল, দীর্ঘস্থায়ী আক্রমণগুলি গুপ্ত রাজাদের পতনকে ত্বরান্বিত করেছিল। উল্লেখ্য যে ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক শঙ্কর শর্মা যুক্তি দিয়েছেন যে ষষ্ঠ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে একটি বিশাল বন্যার ফলে সাম্রাজ্যের অবসান ঘটেছিল।

ষষ্ঠ শতাব্দীর শেষের দিকে, সাম্রাজ্যটি পরবর্তী গুপ্ত রাজবংশের একজন দুর্বল শাসক , মহাসেনগুপ্ত (আরসি 562-601 সিই) দ্বারা শাসিত হয়েছিল। গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের ফলে সাম্রাজ্য বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে। যশোধর্মনের মতো অসংখ্য স্থানীয় রাজা ও শাসক আবির্ভূত হন এবং প্রাক্তন সাম্রাজ্যের অনেক অংশ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু করেন। শশাঙ্ক এই স্থানীয় শাসকদের মধ্যে একজন হিসেবে আবির্ভূত হন, যার লক্ষ্য ছিল গৌড় এবং এর আশেপাশের অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ করা।

শশাঙ্কের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় মগধ রাজ্যের রোহতাস নামক ছোট্ট শহর রোহতাসগড়ে ৭ম শতকের পাহাড়ি দুর্গে। সীলমোহরে একটি শিলালিপি ছিল, "মহাসামন্ত শশাঙ্কদেব।" ধারণা করা হয় যে, শশাঙ্ক রোহতাসগড়ের মহাসামন্ত হিসেবে কর্ণসুবর্ণের গৌড় রাজার অধীনে রাজ্য শাসন করেন। কর্ণসুবর্ণের গৌড় রাজা ছিলেন সম্ভবত মৌখরী বংশের প্রতিনিধি। কর্ণসুবর্ণের অপর একজন রাজা জয়নাগ শশাঙ্কের সমসাময়িক বলে প্রতীয়মান হয়। বস্তুত কর্ণসুবর্ণ ছিল শশাঙ্কের রাজধানী এবং এ বিখ্যাত নগরী অবস্থিত ছিল বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় রাজবাড়িডাঙ্গার (রক্তমৃত্তিকা মহাবিহারের প্রত্নস্থল অথবা আধুনিক রাঙ্গামাটি) সন্নিকটে চিরুটি রেল স্টেশনের কাছে।

লিপিমালা এবং সাহিত্যিক সূত্রে শশাঙ্ক গৌড়ের শাসক হিসেবে বর্ণিত হয়েছেন। সংকীর্ণ অর্থে পদ্মা ও ভাগীরথী নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলই গৌড়। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে এক বিস্তৃত এলাকা এর অন্তর্ভুক্ত হয়। শক্তিসঙ্গম তন্ত্র গ্রন্থের ৭ম পটল ‘সটপঞ্চষদ্দেশবিভাগ’-এ বলা হয়েছে যে, গৌড়ের সীমানা বঙ্গদেশ হতে ভুবনেশ (উড়িষ্যার ভুবনেশ্বর) পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল। এটি অসম্ভব নয় যে, লেখক শশাঙ্কের রাজ্যসীমা, যা উড়িষ্যার একটি অংশকেও অন্তর্ভুক্ত করেছিল, চিন্তা করেই গৌড় দেশের বিস্তৃতির বর্ণনা দিয়েছেন।প্রত্যন্ত অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির সঙ্গে গুপ্ত সাম্রাজ্যের ধ্বংস ও পতন আকস্মিক যুগপৎ সংঘটন। অনেক অপরিচিত এলাকা, যেগুলি সম্ভবত গোত্র প্রধানগণ শাসন করতেন এবং যেখানে জনবসতি ছিল হালকা, ঐতিহাসিক খ্যাতি অর্জন করে। এ এলাকাগুলির মধ্যে ছিল পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর উড়িষ্যা এবং মধ্যপ্রদেশ সংলগ্ন এলাকার লালমাটি অঞ্চল, যেখানে চাষাবাদ ও বসবাস করা বেশ কষ্টসাধ্য।এই পরিপ্রেক্ষিতে শশাঙ্ক ভারতের বিভিন্ন অংশে তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তাঁর প্রথম কাজ ছিল মৌখরীদের দৃঢ় নিয়ন্ত্রণ থেকে মগধ মুক্ত করা। শশাঙ্ক তাঁর মিত্র মালবের রাজা দেবগুপ্তকে সঙ্গে নিয়ে পুষ্যভূতি রাজ প্রভাকরবর্ধনের জামাতা মৌখরী রাজ গ্রহবর্মার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হন। গ্রহবর্মা দেবগুপ্তের হাতে নিহত হন। এরপর প্রভাকরবর্ধনের জ্যেষ্ঠ পুত্র বৌদ্ধ ধর্মমতাবলম্বী থানেশ্বর রাজ রাজ্যবর্ধন দেবগুপ্তের বিরুদ্ধে অগ্রসর হন এবং দেবগুপ্তকে পরাজিত ও নিহত করেন। কিন্তু দেবগুপ্তের মিত্র শশাঙ্কের সঙ্গে এক সংঘর্ষে রাজ্যবর্ধন নিহত হন।

শশাঙ্ক প্রথমে গৌড়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং মগধে চোখ রাখেন। সেই সময়ে মগধ মৌখরি শাসনের অধীনে ছিল এবং শশাঙ্ক আবার এটিকে মুক্ত করার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। অধিকাংশ পণ্ডিত গৌড়ের রাজা শশাঙ্কের সঙ্গে রাজ্যবর্ধনের সাক্ষাতের বিষয়টি সত্য বলে ধরে নিলেও শশাঙ্ক রাজ্যবর্ধনের মৃত্যুর অভিযোগ এড়িয়ে যান। বাণভট্টের মতে, রাজ্যবর্ধন খুব সহজেই মালবের সৈন্যবাহিনীকে সম্পূর্ণভাবে পরাজিত করেন এবং তিনি ‘গৌড়ের রাজার মিথ্যা উপচারে আশ্বস্ত হয়ে নিরস্ত্র ও একাকী অবস্থায় শত্রু শিবিরে নিহত হন’। চৈনিক তীর্থযাত্রী হিউয়েন-সাং একই ধরনের বর্ণনা দেন। শশাঙ্কের শত্রুর মৃত্যুর প্রকৃত পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যের অভাব রয়েছে। তাই রাজ্যবর্ধনের প্রতি শশাঙ্কের আচরণ বিশ্লেষণ করা অসম্ভব। নিজের পৃষ্ঠপোষকের ভাইয়ের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত বাণভট্ট এবং বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি বিশেষ অনুরাগী ও হর্ষবর্ধনের প্রতি ব্যক্তিগতভাবে কৃতজ্ঞ হিউয়েন-সাং উভয়েই তাদের মনোভাবের জন্য সুপরিচিত। সম্ভবত এ কারণেই রাজ্যবর্ধনের মৃত্যু সম্পর্কিত বিবরণ দানে আবেগ প্রশমিত করতে তাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন।

কোন কোন পণ্ডিত মনে করেন রাজ্যবর্ধন খুব সম্ভব শশাঙ্কের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় প্রস্তুত ছিলেন এবং এই কারণেই তিনি শত্রু শিবিরে আগমন করেন। হর্ষরচিতের চতুর্দশ শতাব্দীর ব্যাখ্যাকার শঙ্কর উল্লেখ করেন যে, গৌড়ের রাজা শশাঙ্ক রাজ্যবর্ধনকে আমন্ত্রণ জানান রাজ্যবর্ধনের সঙ্গে নিজ কন্যার বিবাহ সংক্রান্ত আলোচনার জন্য। বিষয়টি কতটুকু সত্য তা নিশ্চিত করে বলা বেশ কঠিন, কেননা শঙ্করের প্রদত্ত এ তথ্যের উৎস সম্পর্কে কিছু বলা হয় নি। হর্ষবর্ধনের লিপি উৎস বাঁশখেরা তাম্রশাসনে উৎকীর্ণ রাজ্যবর্ধনের মৃত্যু সম্পর্কিত তথ্য পর্যাপ্ত নয়। কিন্তু বাণভট্ট ও হিউয়েন সাং-এর বিবরণের মাধ্যমে সৃষ্ট পরিস্থিতি উপশমিত হয় যখন বাঁশখেরা তাম্রশাসনে এই তথ্য পাওয়া যায় যে, হর্ষবর্ধনের ভাই রাজ্যবর্ধন ‘সত্যানুরোধে’ শত্রুর বাসভবনে প্রাণ ত্যাগ করেন। অবশ্য এখানেও শত্রুর নাম প্রকাশ করা হয় নি। এ থেকে মনে হয় যে, অসমাপ্ত শান্তি আলোচনার জের ধরেই রাজ্যবর্ধনের মৃত্যু ঘটে। কিন্তু এই দুর্ঘটনার জন্য শশাঙ্কের ব্যক্তিগত দায়িত্ব নিশ্চিতভাবে নির্ধারণ করা যায় না।

এই ঘটনার পর রাজ্যবর্ধনের কনিষ্ঠ ভ্রাতা থানেশ্বরের সিংহাসনে আরোহণকারী হর্ষবর্ধন বিপুল সৈন্যবাহিনী নিয়ে শশাঙ্ককে শাস্তি দিতে অগ্রসর হন এবং শশাঙ্কের পূর্ব সীমান্তের প্রতিবেশী কামরূপ রাজ ভাস্করবর্মনের (বাণভট্ট উল্লিখিত কুমার) সঙ্গে মৈত্রী জোট গড়ে তোলেন। বাণভট্ট সূত্রে জানা যায়, হর্ষবর্ধন ভাণ্ডির ওপর সেনাবাহিনীর দায়িত্ব অর্পণ করে নিজে বিন্ধ্য পর্বতের জঙ্গলে তাঁর বোন রাজ্যশ্রীকে উদ্ধার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। বোনকে উদ্ধারের পর তিনি নিজ সৈন্যদলের সঙ্গে মিলিত হন। এরপর হর্ষবর্ধন বোন রাজ্যশ্রীর অনুমতি নিয়ে কান্যকুঞ্জর (কণৌজ) সিংহাসনে আরোহণ করেন। ভাণ্ডির সৈন্যবাহিনীর অগ্রগতি সম্পর্কে আর কিছু জানা যায় না। কিন্তু এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই যে, শশাঙ্ক শৌর্য-বীর্যের সঙ্গেই তাঁর রাজ্য শাসন অব্যাহত রাখেন। শশাঙ্ক উত্তর উড়িষ্যা এবং বাংলা ব-দ্বীপাঞ্চলের দক্ষিণাংশও তাঁর সাম্রাজ্যভুক্ত করেন। হর্ষবর্ধন তাঁর শাসনের শেষ দিকে ৬৪০-৪৩ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ-পূর্ব বিহার ও উড়িষ্যায় প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করেন এবং একই সময়ে ভাস্করবর্মন রাজধানী নগর কর্ণসুবর্ণ অধিকার করেন বলেও মনে হয়। এই সকল ঘটনা সম্ভবত শশাঙ্কের মৃত্যুর পরই ঘটেছিল, কেননা ততদিনে গৌড়ের শক্তির পতন হয়েছে এবং শশাঙ্ক সম্পর্কেও তেমন কিছু শোনা যাচ্ছিল না। কিন্তু বৌদ্ধ গ্রন্থ আর্যমঞ্জুশ্রীমূলকল্প-এ পুণ্ড্রবর্ধনের যুদ্ধে হর্ষের হাতে শশাঙ্কের পরাজয়ের কাহিনী এবং শশাঙ্কের ১৭ বছরের রাজত্বকাল সম্পর্কে যা বলা হয়েছে, তা সমসাময়িক অপর কোন উৎস দ্বারা সমর্থিত নয়। বরং অতি সম্প্রতি দক্ষিণ মেদিনীপুর হতে আবিষ্পৃত শশাঙ্কের শিলালিপিতে দণ্ডভুক্তি জনপদের অস্তিত্বের উল্লেখ রয়েছে, যা মেদিনীপুর ও উড়িষ্যার অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত ছিল। হর্ষবর্ধন প্রথমদিকে শৈব ধর্মের অনুসারী ছিলেন, কিন্তু ধীরে ধীরে তিনি বৌদ্ধ ধর্মের একজন মহান পৃষ্ঠপোষকে পরিণত হন। বৌদ্ধ ধর্মের একজন একান্ত অনুরাগী হিসেবে তিনি মহাযান মতবাদ প্রচারে কণৌজে এক বিশাল সংগীতি আহ্বান করেন। হর্ষবর্ধন ব্রাহ্মণদের বিদ্রোহ অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে দমন করেছিলেন বলে কথিত আছে। কণৌজের পর তিনি প্রয়াগেও অনুরূপ বিশাল বৌদ্ধ সংগীতির আয়োজন করেন। কণৌজ ও প্রয়াগের বৌদ্ধ সমাবেশে হিউয়েন-সাং এবং সীমান্তবর্তী সকল রাজ্যের রাজা, মন্ত্রী, অভিজাত প্রমুখ অংশ নেন। বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি বিরূপ মনোভাবাপন্ন শশাঙ্ককে শায়েস্তা করার জন্যই বোধিস্বত্বের নির্দেশে হর্ষের জন্ম হয়েছে বলে হিউয়েন-সাং বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। তিনি শশাঙ্কের কয়েকটি বৌদ্ধ ধর্মবিরোধী কাজকর্মের উদাহরণও তুলে ধরেন।

কিন্তু নালন্দায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় নালন্দা মহাবিহার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি, যেখানে হিউয়েন-সাং নিজেও বেশ কিছুদিন লেখাপড়া করেছিলেন, এবং শশাঙ্কের রাজধানী শহর কর্ণসুবর্ণের উপকণ্ঠে রক্তমৃত্তিকা মহাবিহারসহ বেশ কিছু সংখ্যক বৌদ্ধ মঠের অস্তিত্ব থেকে হিউয়েন-সাং প্রদত্ত তথ্য সঠিক নয় বলে মনে হয়। অন্যদিকে হর্ষবর্ধনের পৃষ্ঠপোষকতা লাভকারী চৈনিক তীর্থযাত্রী হিউয়েন-সাং তাঁর পৃষ্ঠপোষকের শত্রু শশাঙ্ক সম্পর্কে বলতে গিয়ে হর্ষের প্রতি গভীর পক্ষপাতিত্ব করেছেন বলে মনে হয়। গৌড়াধিপের (শশাঙ্কের নাম উল্লিখিত হয় নি; শশাঙ্ক অর্থ ‘শিব’, আর সম্ভবত বাণভট্ট নিজেও শৈব মতাবলম্বী ছিলেন) বিরুদ্ধে হর্ষবর্ধনের সভাকবি বাণভট্ট কটূক্তিপূর্ণ ভাষা যেমন ‘গৌড়ভুজঙ্গ’ বা ‘গৌড়াধম’ ইত্যাদি ব্যবহার করে শশাঙ্কের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেন। এটি সত্য যে, শশাঙ্ক ছিলেন ব্রাহ্মণ্য ধর্মের একজন শক্তিশালী পৃষ্ঠপোষক এবং শৈব ধর্মের প্রতি একান্ত অনুরাগী। ধনী বণিক শ্রেণী এবং তাঁর জাতশত্রু হর্ষবর্ধনের পৃষ্ঠপোষকতা লাভকারী বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি তাঁর কোন সহানুভূতি ছিল না। অসম্ভব নয় যে, তৎকালীন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অনুভূতি এতে আহত হয়েছিল।

অপরপক্ষে বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি হর্ষবর্ধনের অনুরাগ এবং ব্রাহ্মণ্যবাদের প্রতি বিদ্বিষ্ট মনোভাব (এই প্রসঙ্গে কণৌজ সমাবেশের সময় বিপুল সংখ্যক ব্রাহ্মণকে নৃশংসভাবে দমন করার ঘটনা উল্লেখ করা যেতে পারে) হিন্দুধর্মের অনুসারিগণকে হতাশ করে এবং তারা বিপুল সংখ্যায় পূর্ব ভারতের দিকে অভিবাসন করে। হিউয়েন-সাং কামরূপে বেশ কিছু শিক্ষিত ব্রাহ্মণের চলে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। বেশ কিছু ব্রাহ্মণ কামরূপে বসবাসের জন্য ভাস্করবর্মনের কাছ থেকে ভূমিদান লাভ করেন। কুলজি গ্রন্থে কণৌজের বেশ কিছু ব্রাহ্মণের বাংলায় অভিবাসনের উল্লেখ রয়েছে।কামরূপের রাজা ভাস্কর বর্মনের নিধানপুর তাম্রশাসন থেকেও এই সম্পর্কে জানা যায়। সরযূ তীরবর্তী অঞ্চল থেকে বাংলার দিকে গ্রহবিপ্রগণের অভিবাসনের গল্প, সম্ভবত শশাঙ্কের আমন্ত্রণে, এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যেতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে বাংলা ও কামরূপে সাদরে গৃহীত হলেও এই বিপুল অভিবাসন শেষ পর্যন্ত এই দুদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার ওপর বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে।

বাংলা ভাষার উৎপত্তি নিয়ে বহু বছর ধরে গবেষণা চলছে বত'মানে আধুনিক পদ্ধতিতে গবেষণার মাধ্যমে যে বিষয়টি উঠে এসেছে সেটা হোলো Banga-Kamrupi থেকে সরাসরি দুটি ভাষার সৃষ্টি হয়েছেঃ ১)বাংলা, ২)অসমীয়া। কিন্তু এই Banga-Kamrupi ভাষাটি এলো কোথা থেকে, সেটা জানা উচিৎ।

এখানে একটি জরুরী বিষয় উল্লেখ করা খুবই প্রয়োজন, সেটা হোলো - "Pundrabardhan" কোন এলাকা, আমরা সকলেই জানি প্রাচীণ ভারতে Pundrabardhan নামে খুবই সমৃদ্ধশালী একটি রাজ্য ছিলো। সেই রাজ্যের কিছু অংশ পরবর্তী সময়ে বারেন্দ্রভুমি নামে এবং তারও পরে গৌড় নামে পরিচিত হয়েছে। ইতিহাস থেকে আমরা সকলেই জানি প্রাচীণ সমৃদ্ধশালী Pundrabardhan এর শাসক গন ছিলেন - Poundra Kshatriya. এই Poundra Kshatriya গন খৃষ্টপূব' চতুথ' শতকের মগধ রাজ মহাপদ্মনন্দের নিকট পরাজিত হয়ে পশ্চিম কামরূপ, নেপাল, উড়িষ্যায় আশ্রয় নেয়। এর ফলে সেই সকল স্থানে Poundra Kshatriya গনের ভাষা (Gouri Prakrit or Magadhi Prakrit)(300-200BC)সেই ভাষা ছরিয়ে পরে এবং সেই সকল স্থানের ভাষার সাথে মিশ্রন ঘটিয়ে নতুন ভাষার সৃষ্টি করে। এই Poundra গনের ভাষা বিভিন্ন ভাষার সাথে মিশ্রনের ফলে সৃষ্টি হয়েছে Pundra Apabhramsa (Gouri Apabhramsa or Magadhi Apabhrasa) (400–600AD) ভাষার।)[অধিকাংশ গবেষকগন বলেছেন - Gouri Prakrit (Pundra Prakrit) থেকে সৃষ্টি হয়েছে Gouri Apabhramasa (Pundra Apabhramsa ভাষা] । এর পরে এই Apabhramsa ভাষা থেকে সৃষ্টি হয়েছে ১)Bihari ( Maithili), 2) Old Oriya, 3)Banga-Kamrupi/Banga-Assomiya (Western Kamrupi / Rajbanshi / Kamtapuri) (500AD)। ব্রাহ্মণদের গৌড়ে অভিবাসনের ফলে, উত্তরভারতের ভাষা, মৈথীলি ভাষা এবং মগধের ভাষার সাথে গৌড়ের স্থানীয় ভাষার (পুন্ড্র গনের ভাষার)সাথে সংমিশ্রণ ঘটে বাংলা ভাষার সৃষ্টি হয়।এখানে উল্লেখ্য - ভাস্কর বমা' গৌড় দখল করে সেখানেই অধিক সংখ্যায় ব্রাহ্মণগনকে ভূমি দান করেন।কিছু পরিমান শিক্ষিত মৈথীলি ব্রাহ্মণকে কামরূপে ভূমি দান করেন। পরবর্তী সময়ে এই সকল ব্রাহ্মণগনের বিরাট অংশ পূর্ববঙ্গে এবং রারবঙ্গে চলে যান।

এর পরে Banga-Kamrupi(Gour-Kamrupi) এর সাথে Maithili and North Indian ভাষার মিশ্রনের ফলে সৃষ্টি হয়েছে - "বাংলা ভাষার" এবং Banga-Kamrupi(Gour-Kamrupi) + Maithili + Eastern Kamrupi + Bhotchinyo ভাষার মিশ্রনের ফলে সৃষ্টি হয়েছে অসমীয়া ভাষার।

বাংলা ভাষার ভাষাবিদ গনের মধ্যে কিছু ভাষাবিদ কামরূপী ভাষাকে এবং বরেন্দ্রী ভাষাকে বাংলা ভাষার উপভাষা হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। সেটাই এযাবতকাল মেনে চলা হয়েছে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আধুনিক দেশি ও বিদেশি ভাষাবিদগন, আধুনিক গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণ করতে সফল হয়েছেন যে, কামরূপী ভাষা এবং বরেন্দ্রী ভাষা বাংলা ভাষার উপভাষা নয়। আধুনিক ভাষাবিদগন প্রমাণ করতে সফল হয়েছেন শুধু নয়, ওনারা এটাও প্রমাণ করেছেন যে কামরূপী এবং বরেন্দ্রী একই ভাষা।

পূর্বে ভাষাবিদগন বঙ্গ-কামরূপী / বঙ্গ-অসমীয়া বলে যে ভাষাকে চিহ্নত করেছিলেন, আধুনিক ভাষাবিদগন সেই ভাষাকেই রাজবংশী / কামতাপুরী ভাষা হিসাবে চিহ্নত করেছেন। পূবে' ভাষাবিদ গনের মত অনুযায়ী বঙ্গ-কামরূপী / বঙ্গ-অসমীয়া ভাষা থেকে সরাসরি দুটি ভাষার সৃষ্টি হয়েছে। ১) বাংলা ভাষা এবং ২) অসমীয়া ভাষা। এদিকে আধুনিক ভাষাবিদ গন প্রমাণ করেছেন বঙ্গ-কামরূপী / বঙ্গ-অসমীয়া ভাষা হোলো রাজবংশী / কামতাপুরী ভাষা।

সুতরাং আধুনিক ভাষাবিদ গনের প্রমাণিত তথ্যের ওপরে, ভিত্তি করে এটা মেনে নিতে হবে যে, কামরূপী ভাষা এবং বরেন্দ্রী ভাষা বাংলা ভাষার উপভাষা নয়। এখানে মনে রাখা দরকার কামরূপী ভাষাটিই হোলো রাজবংশী / কামতাপুরী ভাষা এবং বরেন্দ্রী ভাষা হোলো পুণ্ড্রবধ'নের ভাষা। পুণ্ড্রক্ষত্রিয় গনই হলেন বত'মান সময়ের রাজবংশী ক্ষত্রিয় জাতি। এই রাজবংশী ক্ষত্রিয় জাতির ইতিহাস আমরা মেটামুটি ভাবে সকলেই জানি।কিন্তু ধর্ম পরিবর্তনের ফলে রাজবংশী জাতি এখন হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বিভিন্ন সম্প্রদায়ে বিভক্ত। কিন্তু ভাষা একই। যদি এটাই হয়ে থাকে, তাহলে প্রমাণিত হয় যে, রাজবংশী/কামতাপুরী/বরেন্দ্রী ভাষা - বাংলা ভাষা এবং আসমীয়া ভাষার জননী।

এখানে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হোলো Western Kamrupi (Rajbanshi) ভাষা যদি আপনার জানা থাকে তাহোলে আপনি অতীসহজেই - বাংলা, ওড়িয়া, মৈথিলী, হিন্দী, নেপালী, অসমীয়া ভাষা বুঝতে পারবেন এবং একটু চেষ্টা করলে বলতেও পারবেন।

কিন্তু এই বাংলা ভাষা সৃষ্টির পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান যে দুটি ভাষার রয়েছে, সেই দুটি ভাষা হোলো ১)মৈথিলী ভাষা এবং ২)পশ্চিম কামরূপী (রাজবংশী) ভাষা।কিন্তু এই সুমধুর বাংলা ভাষার সৃষ্টিই হোতনা, যদিনা সপ্তম শতকে কামরূপের মহারাজা ভাস্কর বমা' দৃর রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত না নিতেন। ওনার সেই সিদ্ধান্তের জন্য মৈথিলী এবং পুণ্ড্র গনের ভাষা সংমিশ্রণের সুযোগ পেয়েছিল। তা নাহলে আজকে আমরা বাংলা ভাষায় কথাই বলতে পরতাম না।

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পাল রাজাদের শাসনকালে বিভিন্ন শ্রেণীর মধ্যে মেলামেশা, আচার-আচরণ ও রীতি-নীতির ক্ষেত্রে সামাজিক বাধা তেমন একটা ছিল না, কিন্তু ব্রাহ্মণ্যবাদের গোড়া সমর্থক সেন রাজাদের সময় প্রবলভাবে এসকল বাধা বিদ্যমান ছিল। এর ফলে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের মধ্যে দূরত্ব বৃদ্ধি পায়। সমাজে নিম্ন ও অন্ত্যজ শ্রেণীর উত্থান ক্রমশ প্রকট হয়ে ওঠে।

এরপর ভারতে ইসলামের আবির্ভাব ঘটলে বঙ্গ অঞ্চলেও ইসলাম ধর্মে প্রসার ঘটে।বকতিয়ার খলজি নামে দিল্লি সুলতানির দাস রাজবংশের এক তুর্কি সেনানায়ক সর্বশেষ সেন রাজা লক্ষ্মণসেনকে পরাস্ত করে বঙ্গের একটি বিরাট অঞ্চল অধিকার করে নেন। এরপর কয়েক শতাব্দী এই অঞ্চল দিল্লি সুলতানির অধীনস্থ সুলতান রাজবংশ অথবা সামন্ত প্রভুদের দ্বারা শাসিত হয়। ষোড়শ শতাব্দীতে মুঘল সেনানায়ক ইসলাম খাঁ বঙ্গ অধিকার করেন। যদিও মুঘল সাম্রাজ্যের রাজদরবার সুবা বাংলার শাসকদের শাসনকার্যের ব্যাপারে আধা-স্বাধীনতা প্রদান করেছিলেন। এই অঞ্চলের শাসনভার ন্যস্ত হয়েছিল মুর্শিদাবাদের নবাবদের হাতে।নবাবেরাও দিল্লির মুঘল সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন।

Kamrupa – Kamtapur – Ahom – Coochbehar Kingdom and Language: The Kamarupa also called Pragjyotisha or Pragjyotisha-Kamarupa an early state during the Classical period on the Indian subcontinent, was the first historical kingdom of North Eastern India.

Though Kamarupa prevailed from 350 to 1228, Davaka was absorbed by Kamarupa in the 5th century CE. Ruled by three dynasties from their capitals in present-day Guwahati, North Guwahati and Tezpur, Kamarupa at its height covered the entire Brahmaputra Valley, North Bengal, Bhutan and northern part of Bangladesh, and at times portions of what is now West Bengal, Bihar and Sylhet.

Though the historical kingdom disappeared by the 12th century to be replaced by smaller political entities, the notion of Kamarupa persisted and ancient and medieval chroniclers continued to call a part of this kingdom Kamrup. In the 16th century the Ahom kingdom came into prominence and assumed for them selves the legacy of the ancient Kamarupa kingdom and aspired to extend their kingdom to the Karatoya River.

The Kamata Kingdom emerged in western Kamarupa probably when Sandhya Roy, son of Maharaja Pithu Roy a ruler of Kamarupanagara, moved his capital west to Kamatapur sometime after 1228 CE. Since it originated in the old seat of the Kamarupa kingdom, and since it covered most of the western parts of it, the kingdom is also sometimes called as Kamarupa-Kamata. It covered a region corresponding to present-day undivided districts of Kamrup, Goalpara, North Bengal in India and North Bengal in Bangladesh and northern parts of Mymensingh in Bangladesh. The rise of the Kamata kingdom marked the end of the ancient period in the history of Assam and the beginning of the medieval period. The last rulers were the Khens, who were later displaced in 1498 by Alauddin Hussain Shah, the ruler of the Bengal Sultanate. Though Hussain Shah developed extensive administrative structures, he lost political control to a confederation of Baro-Bhuyan within a few years.

The Ahom dynasty (1228–1826) ruled the Ahom Kingdom in present-day Assam, India for nearly 598 years. The dynasty was established by Sukaphaa, a Shan prince of Mong Mao (present-day Yunnan, China) who came to Assam after crossing the Patkai mountains. The rule of this dynasty ended with the Burmese invasion of Assam and the subsequent annexation by the British East India Company following the Treaty of Yandabo in 1826.

In external medieval chronicles the kings of this dynasty were called Asam Raja, whereas the subjects of the kingdom called them Chaopha, or Swargadeo (in Assamese).

The Coochbehar Kingdom (1510–1949) ruled parts of eastern Indian subcontinent in present-day Assam and Bengal. Chandan established power in the erstwhile Kamata Kingdom which had emerged from the decaying Kamarupa Kingdom. The dynasty came to power by removing the Baro-Bhuyans, who had earlier removed the short-lived rule established by Alauddin Hussain Shah. The dynasty split into three among the descendants of Biswa Singha's three sons; two antagonistic branches Koch Bihar and Koch Hajo and a third branch at Khaspur. Koch Bihar aligned with the Mughals and the Koch Hajo branch broke up into various sub-branches under the Ahom kingdom. Koch Bihar became a princely state during British rule and was absorbed after Indian independence. The third branch at Khaspur disappeared into the Kachari kingdom. Raikat is a collateral branch of the Koch dynasty that claim descent from the Sisya Singha, the brother of Biswa Singha.

সুতরাং উপরোক্ত বিবরণ থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, সপ্তম শতক থেকে চতুরদশ শতক অব্দি উত্তর-পূর্ব ভারতে বাংলার কোনো শাসন কাজ পরিচালিত হোতো না এবং সেখানে বাংলা ভাষিও ছিলেন না। এখন যে সীমানাঃ উত্তর বাংলা, পূর্ব বিহার, পূর্ব নেপাল, উত্তর বাংলাদেশ এবং উত্তর-পূর্ব ভারত। তাহোলে চযা'পদের ভাষা কি ভাবে বাংলা ভাষার প্রচীন রূপ হয়? এখন প্রচলিত বাংলা ভাষার সাথে চযা'পদের ভাষার ভাষার সে রকম মিল নেই, কিন্তূ এখনও প্রচলিত রাজবংশী ভাষার সাথে চযা'পদের ভাষার সরাসরি মিল রয়েছে , হাজার বছরের অধিক সময় পার করেও।

উদাহরণঃ "টালত মোর ঘড়, নাহি পরবেশি। হাড়িত ভাত নাই, নিতি আবেশি"। আপনারাই বলুন এটা কোন ভাষা? ** আমার মতে এই বিষয়ে, বিশেষ গবেষণা খুবই প্রয়োজন।

কামরূপীর/রাজবংশী ভাষার নিমিত্তাথ'ক অনুসগ' 'বাদে' (তোর বাদে = তোর জন্য) সাধু বা চলিত বাংলায় অপ্রচলিত। কিন্তু এই ধরনের উপসগ' মাগধী-প্রাকৃতজাত অন্যান্য পূর্বী ভাষায় সমান্তরালভাবে প্রচলিত (তুলনীয়: ভোজপুরী নিমিত্তাথ'ক অনুসগ' 'বদে')এই অনুসগ'টি হয়ত অন্যান্য মগধীয় ভাষাগোষ্ঠীর সাথে বাংলার আত্মীয়তাবন্ধনের স্মৃতি। শ্রীকৃষ্ণকীত'নের একটি বিখ্যাত শ্লোক 'বন পোড়ে আগ বড়ায়ি জগজনে জানী/মোর মন পোড়ে যেহ্ন কুম্ভারের পনী।।' উত্তরবঙের পল্লীরমণীর মুখে নিম্নরূপভাবে প্রতিধনিত হতে শোনা যায়: "বন পোড়া যায সোগ্গায় দেখে/মন পোড়া যায় কাহয় না জানে।"একটিমাত্র দৃষ্টন্ত থেকেই অনুমান করা যায় যে, সন্ধান করলে প্রাচীন ও মধ্যবাংলার অনেক প্রবচন ও ইডিয়মই উত্তরবঙের লোকোক্তির মধ্যে খুঁজে পাওয়া যাবে।

এখানে প্রশ্ন উঠবে, এই সব মধ্যযুগীয় ভাষালখ্যণ একালের কামরূপীতে/রাজবংশীতে/কামতাপুরীতে রক্ষিত হল কি ভাবে?এর উত্তর পাওয়া যাবে ইতিহাসের পাতায়। উত্তরপূব' ভারতের প্রায় সব'ত্র বাংলা ভাষার বিস্তার থাকলেও উত্তর ও উত্তর-পূব'ঙের সাথে নিম্ন ও অন্য বঙ্গের রাজনৈতিক বিচ্ছেদ শুরু হয়েছিল মধ্যযুগে।ঐ সময় বাংলার অন্যত্র যখন একে একে পাঠান-মোগল ও সামন্ত রাজাদের আধিপত্য, এই স্থানে তখন অখণ্ড কামতারাজ্য। এই রাজনৈতিক অনৈক্যের সূত্র ধরে ভাষার বিকাশ ও অগ্রগতির ব্যাপারেও উভয় বঙ্গের মধ্যে ক্রমশ বৈষম্য সূচিত হয়েছিল।

বঙ-কামরূপী/বঙ-অসমীয়া/রাজবংশী ভাষার পূর্বতম অংশের সঙ্গে ভোটচীনীয় ও মৈথীলি ভাষার মিশ্রণে সতন্ত্র অসমীয়া ভাষার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু মধ্য যুগেও রাজবংশী/কামতাপুরী/কামরূপী ভাষা কামতা রাজ্যের রাজভাষারূপে প্রতিষ্ঠিত ছিল। এমনকি কোচবিহার রাজ্য ভারতভুক্তির আগে পয'ন্ত। ১৫৫৫ খ্রীস্টাব্দে কামরূপী/রাজবংশী/কামতাপুরী ভাষায় যে চিঠি কোচবিহারে মহারাজা নরনারায়ণ, অহোমরাজ সগ'দেব চুকাম্ফাকে যে চিঠি লিখেছিলেন, সেই চিঠিকেই বাংলা সাহিত্যের ঐতিহাসিক/ভাষাবিদগন বাংলা গদ্যের প্রাচীনতম নিদশ'ন বলে উল্লেখ করে থাকেন। বলা বাহুল্য শুধু এই চিঠিটাই নয়, কামতারাজ্যের ও কোচবিহার রাজ্যের অন্যান্য রাজকীয় চিঠিপত্রও এই রাজবংশী/কামতাপুর/কামরূপী ভাষায় লেখা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য বিষয়, এই রাজবংশী ভাষায় শুধু যে ব্যবহারিক চিঠপত্রই লেখা হয়েছে তা নয়, কামরূপ/কামতাপুর/কোচবিহারে এই ভাষায় রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণের পদ্যানুবাদ করেছেন, বংশাবলী লিখেছেন, নাটকগীত ও পদাবলী রচনা করেছেন।

কিন্তু আধুনিক যুগে এই প্রাচীণ সমৃদ্ধশালী কামরূপী ভাষাকে অপাংন্তেও করে দেওয়া হয়েছিল, এটা বড় বেদনার। এই প্রাচীন ভাষাকে বাংলা ভাষার উপভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, সেটা আরও বেদনার। কিন্তু কথায় আছে না, "ইতিহাস কোনো ভাবেই চাপা থাকে না। এক দিন না এক দিন প্রকাশিত হবেই।" এমনকি আরও অবাক করা বিষয়, কামরূপী ভাষার সমৃদ্ধ সাহিত্য গুলো নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন বাংলা ভাষা এবং অসমীয়া ভাষার ভাষাবিদ গন। ঠিক যেমন পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকারী গনের মধ্যে ভাগাভাগি হয়। কিন্তু সেটা সাধারণত হয়ে থাকে পিতা-মাতা যখন তার উত্তরাধিকারী গনকে চিরকালের মত ত্যাগ করে চলে যান। কিন্তু কামরূপী / রাজবংশী ভাষার সাথে যেটা হয়েছে, সেটাতো জীবিত পিতা-মাতাকে সম্পত্তির লোভে পিটিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার মতো ঘটনা। এই তুলনাটা ভাষার সাথে করাটা কতটা ঠিক হোলো, আমি বলতে পারব না কিন্তু তুলনাটি তুলতে একপ্রকার বাধ্য হয়েছি।

কথায় আছে, "ইতিহাস কথা বলে"। বত'মানে আধুনিক গবেষণার মাধ্যমেই সবকিছু প্রমানিত যে, কামরূপী / কামতাপুরী /রাজবংশী / গোয়ালপাড়ীয়া / রংপুরী / তাজপুরী / সূর্যাপুরী / বারেন্দ্রী / বঙ-কামরূপী / বঙ-অসমীয়া ভাষা, একই ভাষা এবং স্থান ভেদে বিভিন্ন নামে পরিচিত।

এমনকি আন্তজা'তীক ভাষাবিজ্ঞানী গন এটাও প্রমাণ করেছেন যে, "বাংলা ভাষা এবং অসমীয়া ভাষা" - বঙ্গ-কামরূপী / বঙ্গ-অসমীয়া / রাজবংশী / কামতাপুরী ভাষা থেকে সৃষ্টি হয়েছে"। অথা'ৎ বাংলা ভাষা এবং আসমীয়া ভাষার জননী।

বত'মানে রাজবংশী / কামতাপুরী ভাষা West Bengal and Nepalএ সরকারি ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। অথা'ৎ রাজবংশী ভাষা বত'মানে আন্তজা'তীক ভাষা। সত্যি,"ইতিহাসের কি পরিহাস।"

কিন্তু বত'মান সময়ে যে আধুনিক বাংলা ভাষা আমরা ব্যবহার করে থাকি, সেটার সাথে যুক্ত রয়েছে দেশি-বিদশী বহু ভাষা। সুতরাং পৃথিবীর সবচেয়ে সুমিস্ট ভাষা বাংলার আধুনিক রূপের পেছনে রয়েছে সারা পৃথিবীর বহু ভাষা। সুতরাং সেদিক থেকে বলতে গেলে বলা চলে বাংলা শুধু বাংলার নয় সকলের ভাষা। Ehhjj (আলাপ) ০৮:৩৪, ২৫ জুন ২০২৪ (ইউটিসি) উত্তর দিন

AltStyle によって変換されたページ (->オリジナル) /