বিষয়বস্তুতে চলুন
উইকিপিডিয়া একটি মুক্ত বিশ্বকোষ

বৈদ্যুতিক আধান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(Electric charge থেকে পুনর্নির্দেশিত)
এই নিবন্ধটিতে কোনো উৎস বা তথ্যসূত্র উদ্ধৃত করা হয়নি। দয়া করে নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্যসূত্র প্রদান করে এই নিবন্ধটির মানোন্নয়নে সাহায্য করুন। তথ্যসূত্রবিহীন বিষয়বস্তুসমূহ পরিবর্তন করা হতে পারে এবং অপসারণ করাও হতে পারে।উৎস খুঁজুন: "বৈদ্যুতিক আধান" – সংবাদ · সংবাদপত্র · বই · স্কলার · জেস্টোর
বৈদ্যুতিক আধান
ধনাত্মক ও ঋনাত্মক আধানের তড়িৎ ক্ষেত্র
সাধারণ প্রতীক
q
এসআই একক কুলম্ব
অন্যান্য একক
এসআই মৌলিক এককে C = A⋅s
সংকীর্ণ এবং ব্যাপক বৈশিষ্ট্য?হ্যা
সংরক্ষিত?হ্যা
মাত্রা T I {\displaystyle {\mathsf {T}}{\mathsf {I}}} {\displaystyle {\mathsf {T}}{\mathsf {I}}}
তড়িৎচুম্বকত্ব
সম্পর্কিত নিবন্ধ
Solenoid

বৈদ্যুতিক আধান বা তড়িৎ আধান বা সংক্ষেপে আধান বলতে কোনও বস্তুর একটি মৌলিক ধর্মকে বোঝায়, যার মাধ্যমে বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের সাথে বস্তুটির ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার পরিমাপ করা যায়। কাজেই আধান বা চার্জ বলতে পদার্থের সেই মৌলিক ও বৈশিষ্ট্যমূলক ধর্মকে বুঝায় যার দরুন ঐ পদার্থটা আরেক্টা পদার্থের সহিত আকর্ষণ ও বিকর্ষণ অনুভব করে। এটা জগতের প্রতিটি পদার্থের মাঝে নিহিত। এটি হল ইংরেজি শব্দ চার্জ(Charge) এর পরিভাষা। আধান মূলত অতিপারমাণবিক কণার একটি ধর্ম যা ঐ কণার তড়িৎচুম্বক সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করে। এক কথায়, পদার্থ সৃষ্টিকারী মৌলিক কণাসমূহের মৌলিক ও বৈশিষ্ট্যমূলক ধর্মকে আধান বা চার্জ বলে। বৈদ্যুতিক আধান দ্বারা আহিত পদার্থ তড়িচ্চুম্বকীয় ক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত হয় এবং নিজেও তড়িচ্চুম্বকীয় ক্ষেত্র উৎপন্ন করে। কোন আহিত বস্তু এবং একটি তড়িচ্চুম্বকীয় ক্ষেত্রের মধ্যে আপেক্ষিক গতি বা সম্পর্ক তড়িচ্চুম্বকীয় বলের উৎস। অন্যভাবে বলা যায়, আধান হচ্ছে বস্তুর একটি ভৌত গুণ যা কোন তড়িচ্চুম্বকীয় ক্ষেত্রে স্থাপন করলে শক্তি অনুভব করে। বৈদ্যুতিক আধান দুই প্রকার ; যথা ১। ধনাত্নক ও ২। ঋণাত্মক (যথাক্রমে প্রোটন এবং ইলেকট্রন দ্বারা বাহিত)। সমধর্মী আধান পরস্পরকে বিকর্ষণ করে এবং বিপরীতধর্মী চার্জ পরস্পরকে আকর্ষণ করে। কোন বস্তুতে আধানের অনুপস্থিতিতে একটি বস্তুকে নিরপেক্ষ বলা হয়। আবার, বস্তুতে ধনাত্নক ও ঋণাত্মক আধানের সম পরিমাণ উপস্থিতেও বস্তুটিকে নিরপেক্ষ বলা হয়।

বৈদুতিক আধান অতিপারমানবিক ক্ষুদ্র কণা দ্বারা বাহিত হয়।পরমাণুর কেন্দ্রকে নিউক্লিয়াস বলা হয়। প্রোটন, নিউট্রন এবং ইলেকট্রন হচ্ছে তিনটি অতিপারমানবিক ক্ষুদ্র কণা যা পরমাণু গঠন করে।

উৎপত্তি

[সম্পাদনা ]

ঘর্ষণের ফলে এক বস্তু হতে অন্য বস্তুতে ইলেকট্রন স্থানান্তরিত হয়। তখন বস্তুসমূহ তড়িতাহিত হয়। ইলেকট্রনের চার্জধর্মী আচরণের কারণে বস্তু আধানগ্রস্ত হয়। এভাবে আধানের উৎপত্তি হয়। এছাড়াও পরিবহন (conduction), আবেশ (induction) আর মেরুকরণের (polarisation) কারণেও পদার্থের আধানপ্রাপ্তি ঘটে ।

আধানের সংরক্ষণশীলতা

[সম্পাদনা ]

জগতে মোট আধানের পরিমাণ একই। আধানের সৃষ্টি বা ধ্বংস হয় না। কোনো ভৌত প্রক্রিয়ায় আধান এক বস্তু হতে অন্য বস্তুতে স্থানান্তরিত হয়, কিন্তু আধান তৈরি বা ধ্বংস হয় না।

আধানের কোয়ান্টায়ন

[সম্পাদনা ]

চার্জ নিরবিচ্ছিন্ন নয়, একটি ন্যূনতম পূর্ণ সংখ্যার গুণিতক। এ ন্যূনতম চার্জ হলো একটি প্রোটন বা ইলেকট্রনের চার্জ এবং এর মান ×ばつ10^-19 কুলম্ব। এ চার্জকে e দ্বারা প্রকাশ করা হয়। q=±ne যেখানে n পূর্ণ সংখ্যা। অর্থাৎ চার্জ কোয়ান্টায়িত।

AltStyle によって変換されたページ (->オリジナル) /