স্ফুটনাঙ্ক
- Afrikaans
- Alemannisch
- Aragonés
- العربية
- Asturianu
- Azərbaycanca
- Bikol Central
- Беларуская
- Беларуская (тарашкевіца)
- Български
- Bosanski
- Català
- Čeština
- Чӑвашла
- Cymraeg
- Dansk
- Deutsch
- Ελληνικά
- English
- Esperanto
- Español
- Eesti
- Euskara
- فارسی
- Suomi
- Français
- Frysk
- Gaeilge
- Galego
- Gaelg
- עברית
- हिन्दी
- Hrvatski
- Kreyòl ayisyen
- Magyar
- Հայերեն
- Interlingua
- Bahasa Indonesia
- Íslenska
- Italiano
- 日本語
- La .lojban.
- ქართული
- Қазақша
- 한국어
- Kurdî
- Кыргызча
- Latina
- Lombard
- Lietuvių
- Latviešu
- Македонски
- മലയാളം
- Монгол
- मराठी
- Bahasa Melayu
- မြန်မာဘာသာ
- Plattdüütsch
- नेपाल भाषा
- Nederlands
- Norsk nynorsk
- Norsk bokmål
- Occitan
- Oromoo
- ਪੰਜਾਬੀ
- Polski
- پنجابی
- پښتو
- Português
- Runa Simi
- Română
- Русский
- Srpskohrvatski / српскохрватски
- සිංහල
- Simple English
- Slovenčina
- Slovenščina
- Shqip
- Српски / srpski
- Sunda
- Svenska
- Kiswahili
- தமிழ்
- తెలుగు
- ไทย
- Türkçe
- Українська
- اردو
- Oʻzbekcha / ўзбекча
- Tiếng Việt
- 吴语
- 中文
- 閩南語 / Bân-lâm-gú
- 粵語
স্ফুটনাঙ্ক হলো একটি তাপমাত্রা যাতে তরল পদার্থ পৌঁছালে বাষ্পে পরিণত হয়। অতঃএব, যে তাপমাত্রায় কোন তরল পদার্থ বাষ্পে পরিণত হতে শুরু করে তাকে উক্ত পদার্থের ‘স্ফুটনাঙ্ক’ বলা হয়। অর্থাৎ যে তাপমাত্রায় কোন তরল পদার্থের বাষ্পীয় চাপ এক বায়ুমণ্ডল (1 atm) চাপের সমান হয় এবং তরলটি বুদবুদসহ ফুটতে থাকে,তাকে সেই তরল পদার্থের স্ফুটনাঙ্ক বলে। তাপ প্রয়োগের মাধ্যমে তরলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে থাকলে এক পর্যায়ে তাপমাত্রা স্থির হয়ে যায়। এর পর আর তাপ প্রয়োগ করলেও তাপমাত্রার কোন পরিবর্তন হয়না। একটি নির্দিষ্ট সময় পর অর্থাৎ যতক্ষণে সম্পূর্ণ তরল বাষ্পে পরিণত হয় ততক্ষণ পর আবার তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এই স্থির তাপমাত্রাটিই হল স্ফুটানাঙ্ক। প্রকৃতপক্ষে এই স্থির তাপমাত্রায় যে তাপ প্রয়োগ করা হয় তা কেবল তরল থেকে পদার্থকে বাষ্পে পরিণত করতে ব্যবহৃত হয়।[১]
বায়শূন্য স্থানে তরলের স্ফুটনাঙ্ক কম থাকে। অধিক বায়ুচাপে স্ফুটনাঙ্ক বেড়ে যায়। এজন্য পাহাড়ের ওপর পানি ফুটতে কম সময় নেয়। যেমনঃ ভূপৃষ্ঠে পানির স্ফুটনাঙ্ক ১০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস, তবে হিমালয়ের পর্বতের ওপরে এই স্ফুটনাঙ্ক মাত্র ৭১ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
পাহাড় বা পর্বতের উপর বায়ূর চাপ কম থাকায় পানির স্ফুটনাংক কমে যায় অর্থাৎ কম তাপমাত্রায় পানি ফুটতে পারে। কিন্তু মাংস, মাছ,ডিম প্রভূতি দ্রুত সিদ্ধ হয় না। এগুলো সুসিদ্ধ হওয়ার জন্য যে তাপের প্রয়োজন হয় পানি তার চেয়ে কম তাপমত্রায় ফুটে বাস্পীভূত হওয়ার জন্য মাছ, মাংস সেই পর্যাপ্ত তাপ পায় না। ফলে সুউচ্চ পাহাড় বা পর্বতের চূড়ায় রান্না করা কষ্টকর হয়ে পড়ে।
স্ফুটনাঙ্ক বলার সময় যদি চাপের উল্লেখ না থাকে তাহলে সেই লেখাটি ভুল । জল এর স্ফুটনাঙ্ক 100°c - কথাটি সম্পূর্ণ অর্থহীন । সে ক্ষেত্রে বলতে হবে যে - প্রমান বায়ুমণ্ডলিয় চাপ এ জলের স্ফুটনাঙ্ক 100°c। কারণ চাপ বাড়লে বা কমলে কোনো তরল এর স্ফুটনাঙ্ক
ও বাড়বে বা কমবে। স্ফুটন তরল পদার্থের প্রকৃতি ও এর উপর উপরস্থ চাপ দাড়া প্রভাবিত হয়।