স্পিকার (রাজনীতি)
- Afrikaans
- Azərbaycanca
- Беларуская
- Беларуская (тарашкевіца)
- Deutsch
- English
- Esperanto
- Eesti
- Suomi
- Bahasa Indonesia
- Italiano
- 日本語
- Қазақша
- ಕನ್ನಡ
- 한국어
- മലയാളം
- Bahasa Melayu
- Malti
- नेपाली
- Norsk bokmål
- Română
- Русский
- Simple English
- Svenska
- Kiswahili
- தமிழ்
- Türkçe
- Twi
- Українська
- Tiếng Việt
- 中文
- 閩南語 / Bân-lâm-gú
- 粵語
- IsiZulu
সভাধ্যক্ষ বা স্পিকার (ইংরেজি: Speaker) একটি রাজনৈতিক পরিভাষা ও পদবি বিশেষ। প্রায়শঃই তত্ত্বাবধানকারী কর্মকর্তা হিসেবে আইনসভায় তিনি সভাপতির আসন অলঙ্কৃত করে যথোচিত সিদ্ধান্ত প্রদান করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি বিতর্কের মধ্যস্থতা, সিদ্ধান্ত প্রদান, ভোটের ফলাফলসহ প্রয়োজনীয় কার্যাবলী সম্পাদন করেন। সভায় কে কথা বলতে পারবেন তা তিনি নির্ধারণ করেন এবং নিয়ম-বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের জন্য সিদ্ধান্ত প্রদান করেন। এছাড়াও তিনি ব্যক্তি হিসেবে সভায় প্রতিনিধিত্ব করেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য পরিস্থিতিতে প্রধান মুখপত্র হিসেবে কাজ করেন। ১৩৭৭ সালে সর্বপ্রথম এ পদবি ধারণের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ইংল্যান্ডের কমন্স সভায় স্যার থমাস ডি হাঙ্গারফোর্ড স্পিকার হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন।[১] [২] সাধারণতঃ সংসদে তিনি মিস্টার স্পিকার এবং নারী হিসেবে ম্যাডাম স্পিকার নামে তাঁকে সম্বোধন করা হয়। বিশ্বের অধিকাংশ দেশের সংস্কৃতিতে ইংরেজি ভাষার সমান্তরালে চেয়ারম্যান কিংবা প্রেসিডেন্ট হিসেবে আখ্যায়িত হন। কানাডার ফরাসীভাষী কমন্স সভা কিংবা আইনসভায় তাকে প্রেসিডেন্টরূপে সম্ভাষণ করা হয়।
অনেক আইনসভায় প্রো টেম্পোর বা ডেপুটি স্পিকারের পদ রয়েছে। তিনি মূলতঃ স্পিকারের অনুপস্থিতিজনিত কারণে শূন্যস্থান পূরণ করে সভার কার্যাবলী পরিচালনা করে থাকেন।
বৈশ্বিক ব্যবহার
[সম্পাদনা ]যুক্তরাজ্যের ওয়েস্টমিনিস্টার পদ্ধতিতে চেম্বারে স্পিকারের ভোট প্রদানের কোন ক্ষমতা নেই। যদি উভয়পক্ষের মধ্যেকার ফলাফল সমান হয়, তখন তিনি ভোট প্রদান করে থাকেন। আয়ারল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যের রাজনীতি থেকে নিরপেক্ষতা রাখার স্বার্থে একজন স্পিকার নিজ দল থেকে পদত্যাগ করে থাকেন। তবে সরকারের পতন থেকে রক্ষার স্বার্থে ভোট প্রয়োগ করেন। আইনসভার সদস্যদের মধ্য থেকে তিনি নির্বাচিত হন। তবে হুইপগণকে এভাবে মনোনীত করা হয় না। যুক্তরাজ্যে একজন স্পিকার সাধারণতঃ দু’টি প্রধান বৃহৎ দলের একটি থেকে মনোনীত হন।
কানাডায় বৃহৎ দলগুলো স্পিকার পদের জন্য প্রার্থী মনোনীত করে ও ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করে। তবে, ১৯৬৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর দলগুলো মতৈক্যের মাধ্যমে প্রার্থী দাঁড় করায়নি। অস্ট্রেলিয়ায় স্পিকারত্ব একটি দলীয় পদ এবং যুক্তরাজ্যে তা রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ পদ হিসেবে বিবেচিত।
ওয়েস্টমিনিস্টার পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষে সংসদ লর্ডস সভার মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন ধরনের কার্যাবলী সম্পন্ন করেন। দপ্তরের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাকে স্পিকার নামে আখ্যায়িত করা হয়। তবে ২০০৬ সাল থেকে কমন্স সভায় ভিন্ন পদবিতেও বিবৃত করা হয়। অস্ট্রেলিয়ার সিনেটে তিনি প্রেসিডেন্ট নামে পরিচিতি পান।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি সভা, রাজ্য সভা এবং স্থানীয় সরকার পরিষদে স্পিকার সাধারণতঃ সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের সদস্যদের মাঝখান থেকে নির্বাচিত হন এবং দলের প্রধান হিসেবে কার্যাবলী সম্পাদন করেন। তাসত্ত্বেও তিনি স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গীর পরিচয় দেন, নিজ দলের কার্যসূচীতে বাঁধাও দিতে পারেন। আনুষ্ঠানিকভাবে স্পিকার সম্পূর্ণ কক্ষের প্রতিনিধিত্ব করেন; কিন্তু রাজনৈতিকভাবে তিনি দলীয় শক্তিমত্তার অধিকারী।
প্রতিনিধি সভার স্পিকার প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির মর্যাদা পেতে পারেন। কোন কারণে মার্কিন রাষ্ট্রপতি কিংবা উপ-রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করলে তিনি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন। কিছুসংখ্যক বুদ্ধিজীবী অবশ্য উত্তরাধিকার নির্বাচনের এ পদ্ধতিকে অসাংবিধানিকরূপে আখ্যায়িত করেছেন।[৩] মার্কিন সংবিধানে স্পিকার পদের জন্য কংগ্রেসের নির্বাচিত সদস্য হতে হবে এমন কোন বাধ্য-বাধকতা নেই। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সদস্যবিহীন কোন ব্যক্তি স্পিকাররূপে মনোনীত হননি।
বর্তমান স্পিকার
[সম্পাদনা ]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা ]- ↑ "Journal of the House of Commons: January 1559"। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০১৩।
- ↑ Lee Vol 28, pp. 257,258.
- ↑ See Akhil Reed Amar & Vikram Amar, Is The Presidential Succession Law Constitutional?, 48 Stan. L. Rev. 113 (1995).
- ↑ "Shirin to become first woman Speaker"। bdnews24.com। ২৯ এপ্রিল ২০১৩। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ "01 September confirmed as date for Vanuatu Presidential Election"। Islands Business । ২০০৯-০৯-০২। ২০১২-০২-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-২০।
পাদটীকা
[সম্পাদনা ]- Bergougnous, Georges. Presiding Officers of National Parliamentary Assemblies: A World Comparative Study. Trans. Jennifer Lorenzi. Geneva: Inter-Parliamentary Union, 1997. আইএসবিএন ৯২-৯১৪২-০২৮-X.