পাশ কাটানো (যানবাহন)
সড়কে একই দিকে ও পথে চলমান দুইটি যানের মধ্যে দ্রুতগামী যানটি তুলনামূলকভাবে ধীরগতির গাড়িকে পাশ দিয়ে অতিক্রম করাকে পাশ কাটানো বলে। একে ইংরেজিতে ওভারটেক করা বলে। অন্য গাড়িকে পাশ কাটানোর ক্ষেত্রে সাধারণত যে লেইনে বা উপপথে গাড়িটি চলমান ঠিক তার পাশের লেইনটি ব্যবহার হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে অবস্থা ভেদে ধীরগতির গাড়ির বাম এবং ডান উভয় পাশের লেইন ব্যবহার করেও পাশ কাটানো হয়ে থাকে।
পাশ কাটানোর নিয়ম
[সম্পাদনা ]প্রথমে মনে রাখতে হবে, গাড়ি চালনার কৌশল বা রীতিগত পার্থক্যের কারণে আভ্যন্তরীণ লেইন ও বাহ্যিক লেইন বলতে ব্রিটিশ বা বাঁহাতি ব্যবস্থায় যেটিকে বুঝায় ঠিক তার বিপরীত লেইনকে বুঝায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এ কারণে যুক্তরাজ্যে পাশ কাটানোর সময় যে লেইন ব্যবহার করে করা হয় তাকে বাহ্যিক লেইন বলা হলেও আমেরীকায় বলা হয় আভ্যন্তরীন লেইন। তবে উভয় ক্ষেত্রে পাশ কাটানো হয় সামনের গাড়ির চালকের পেছন হতে পাশের লেইনটি ব্যবহার করে।
একটি মাত্র লেইনে একদিকে চলমান পথ কিংবা অবিভক্ত উভয় দিকে চলমান পথের ক্ষেত্রে সামনের গাড়িটিকে পাশ কাটানোর ক্ষেত্রে পেছনের গাড়িটি সাধরণত একই দিকে ঐ একই লেইন ব্যবহার করে থাকে। এক্ষেত্রে প্রায়শ একটিই অনুরোধ করা যেতে পারে, যেন সামনে দৃশ্যমান যথেষ্ট সোজা রাস্তা পেলে তবেই পাশ কাটানো হয়। কোন কোন আইনগত প্রক্রিয়ায় পাশ কাটানোর অঞ্চল বা উভয় দিক হতে অতিক্রম করাতে পারার মত স্থান সমূহে রাস্তার উপর একটি বিচ্ছিন্ন লাইন দ্বারা নির্দেশ করা থাকে (দেশ ভেদে তা হলুদ বা সাদা রংয়ের হয়) আর যদি কোন নির্দিষ্ট পাশ হতে পাশ কাটানো নিষিদ্ধ হয় তবে সেক্ষেত্রে ঐ দিকে একটি ভরাট লাইন চিত্রিত করে দেয়া হয়, যাতে বুঝানো হয় যে, যে পাশে ভরাট লাইনটি দেয়া আছে সে দিকে পাশ কাটানো নিষেধ। যুক্তরাজ্যে এরুপ মধ্যে আঁকা লাইন দ্বারা পাশ কাটানোর স্থান বোঝানো হয় না বরং এ দ্বারা কোথায় লাইনটি অতিক্রম করা যাবে বা যাবে না, তা নির্দেশ করা হয়ে থাকে।
পাশ কাটানোর জন্য আরও বেশি স্থান সংকুলানের স্বার্থে আয়ারল্যান্ডে ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বহু জাতীয় পর্যায়ের প্রধান সড়ককে যুগপদ দ্বৈত চলাচল যোগ্য ব্যাপক ব্যসবিশিষ্ট (পাশ হতে কষ্টে অতিক্রম্য রাস্তার বদলে, দুই লেইনের রাস্তা, যাতে প্রতি লেইনেরই রয়েছে তিনটি করে উপ-লেইন) সড়কে উন্নীত করেছে (বিংশ শতকে যে কতিপায় রাষ্ট্র সমূহে চলাচলের দ্বৈত ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল তন্মধ্যে এটি একটি নিতান্ত সাধারণ চলাচলরীতি)।