বিষয়বস্তুতে চলুন
উইকিপিডিয়া একটি মুক্ত বিশ্বকোষ

পাণ্ডু রাজার ঢিবি

পাণ্ডু রাজার ঢিপি
পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান
অবস্থানপশ্চিমবঙ্গ, ভারত
স্থানাঙ্ক২৩°৩৪′১৯′′ উত্তর ৮৭°৩৮′৫৯′′ পূর্ব / ২৩.৫৭১৯৪° উত্তর ৮৭.৬৪৯৭২° পূর্ব / 23.57194; 87.64972
ধরনপ্রত্নস্থল
ইতিহাস
প্রতিষ্ঠিত১৬০০ থেকে ৭৫০ খ্রিস্ট পূর্বে
সময়কালতাম্র-প্রস্তর যুগ
সংস্কৃতিপাণ্ডু সংস্কৃতি, উত্তর-ভারতীয় কৃষ্ণ চিক্কণ মৃৎপাত্র

পাণ্ডু রাজার ঢিবি হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমান জেলার সদর উত্তর মহকুমার অন্তর্গত আউসগ্রাম ব্লকের একটি প্রত্নক্ষেত্র। এটিই পশ্চিমবঙ্গে আবিষ্কৃত প্রথম তাম্রযুগীয় প্রত্নক্ষেত্র। পাণ্ডু রাজার ঢিবির প্রধান ধ্বংসস্তুপটির সঙ্গে মহাভারত -এর রাজা পাণ্ডুর নামের যোগসূত্র পাওয়া যায়।[] [] পান্ডু কথাটি হড় বা সাঁওতালি শব্দ থেকে এসেছে। পান্ডু কথাটি প্রাচীন হড় বা সাঁওতালি ভাষায় সাদা বা ধূসর রঙের চুল থাকা বয়স্ক ব্যক্তিকে বোঝানো হয়। পান্ডুক মানে হড় বা সাঁওতালি ভাষায় কারও মাথার চুল সাদা বা ধূসর রঙ হওয়ার দিকে আছে বা এই ধরনের রঙে পরিণত হওয়ার অর্থ বোঝানো হয়। এই অনার্য হড় বা সাঁওতাল জাতি গোষ্ঠির বাসবাস আর্য জাতি আগমনের বহু আগে তাদের বসবাস এই এলাকায় ছিল। সেই কারণেও এই স্থানটির নাম পান্ডু বা পান্ডুক হতে পারে। এই প্রত্নক্ষেত্রটি অজয় নদের দক্ষিণ তীরে অবস্থিত। পাণ্ডু রাজার ঢিবি-সংলগ্ন রাজপোতডাঙা ও পাণ্ডুক গ্রামে খননকাজ চালানো হয়েছে।[] []

অবস্থান

[সম্পাদনা ]

পাণ্ডুরাজার ঢিবিটি অজয় নদের দক্ষিণ তীরস্থ পাণ্ডুক গ্রামে অবস্থিত, যা পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান সদর উত্তর মহকুমার অন্তর্গত আউসগ্রাম থানার রামনগর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। এটি মধ্যপ্রস্তর যুগীয় প্রত্নস্থল বীরভনপুরের প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। পূর্ব রেলের সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনে ভেদিয়া রেলস্টেশন থেকে গ্রামটির দূরত্ব ১১ কিলোমিটার। ভৌগলিক মানচিত্রে ঢিবিটির অবস্থান ২৩.২৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৭.৩৯ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। প্রত্নস্থলের ঢিবিটি স্থানীয় ভূমি থেকে পাঁচ মিটার উঁচু।[]

আবিষ্কার ও খননকার্যের ইতিহাস

[সম্পাদনা ]

প্রত্নতত্ববিদ জবাসী লাল কর্তৃক ১৯৫৪-৫৭ সালের মধ্যে উৎখনন পরিচালিত হয়। এরপর পশ্চিমবঙ্গের পুরাতত্ত্ব বিভাগ অজয় উপত্যকার এই স্থানটিতে খনন কার্য চালানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। রাজ্য পুরাতত্ত্ব বিভাগের অধ্যক্ষ দেবকুমার চক্রবর্তী ও ড. শ্যামচাঁদ মুখোপাধ্যায় ১৯৬১ সালে পাণ্ডু রাজার ঢিবি পরিভ্রমন করেন, এবং কিছু পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন সংগ্রহ করে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুরাতাত্ত্বিক বিভাগের পরিচালক পরেশচন্দ্র দাশগুপ্তের দপ্তরে প্রেরন করেন। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৫ সালের মধ্যে চার বার চারটি স্তরে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুরাতাত্ত্বিক বিভাগের পরিচালক পরেশচন্দ্র দাশগুপ্ত মহাশয়ের তত্বাবধানে এই ঢিবিটির খননকার্য করা হয়। খননকার্যের সময় উপস্থিত বিশিষ্ট পুরাতত্ত্ববিদ হাসমুখ ধীরাজলাল সাঙ্কালিয়া, ব্রজবাসী লাল, ওয়াই.ডি. শর্মা, ও পরেশচন্দ্র দাশগুপ্ত ঢিবিটির নাম রাখেন ‘পাণ্ডু রাজার ঢিবি’। পাণ্ডু রাজার ঢিবিতে ১৯৬২-৮৫ সালের মধ্যে পাঁচবার (১৯৬২, ১৯৬৩,১৯৬৪,১৯৬৫ ও ১৯৮৫) ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ প্রত্নতাত্বিক খননকার্য পরিচালিত হয়। চার মিটার থেকে দশ মিটার গভীরতা বিশিষ্ট বিভিন্ন আকারের মোট ৫৩টি গর্ত খোঁড়া হয়েছিল। রাজ্য পুরাতাত্ত্বিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এস.সি. মুখার্জীর নেতৃত্বে ১৯৮৫ সালে কয়েকদফা খননকার্য চলার পরে ছয়টি স্তরের সন্ধান মেলে ও বাংলার প্রাগৈতিহাসিক যুগের সাংস্কৃতিক পর্যায় জনসমক্ষে উন্মোচিত হয়।

এখানে প্রাপ্ত ধ্বংসাবশেষ মূলত দুই সময়পর্বের – তাম্রযুগীয় (খ্রিস্টপূর্ব ১৬০০ – ৭৫০ অব্দ) এবং লৌহযুগীয়[]

সংস্কৃতি

[সম্পাদনা ]

কৃষি ও পশুপালন

[সম্পাদনা ]

সেই যুগের মানুষের প্রধান জীবিকা ছিল কৃষিকার্য ও শিকার। প্রধান কৃষি ফসল ছিল ধান। তারা হাড়নির্মিত বিভিন্ন অস্ত্রসস্ত্রের মাধ্যমে পশু বা মৎস্য শিকারের সাথে যুক্ত ছিল। অঞ্চলের মানুষ তাদের কৃষিকার্য কাজের পাশাপাশি জীবিকার জন্য ব্যাপক আকারে পশুপালন করত; গৃহপালিত পশুগুলি ছিল মহিষ, কুঁজওয়ালা গবাদি পশু, ছাগল ইত্যাদি।

খাদ্যাভ্যাস

[সম্পাদনা ]
পান্ডু রাজার ঢিবিতে একটি গর্তের (পিট) অংশ।
চতুর্থ স্তর থেকে প্রাপ্ত উনুনের অবশেষ, যা লৌহ যুগের।

পাণ্ডু রাজার ঢিবিতে বসবাসকারী প্রাগৈতিহাসিক যুগের মানুষের খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে আধুনিক বাংলার বাসিন্দা ও বাঙালির সঙ্গে আকর্ষণীয় মিল ধরে রেখেছে। প্রধান খাদ্য সশ্য শস্য ছিল ধান, পাশাপাশি মাংস ও মাছ খাদ্য তালিকাতে ছিল। মাংস ও মাছ সাধারণত আগুনে পুড়িয়ে খাওয়া হত; পোড়া হাড়, চকমকি ও উনুন বা অ্যাশপিট-এর উপস্থিতি আগুনের ব্যবহার এবং সেই সাথে মাংস পোড়ানোর সত্যতার প্রমাণ দেয়।

শিল্পকলা

[সম্পাদনা ]

পাণ্ডু রাজার ঢিবিতে ধাতু বিহীন ও ধাতু যুগের বিভিন্ন নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে। প্রত্নস্থলটিতে মৃৎপাত্র নির্মাণ ও ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ধাতু বিহীন যুগে হস্তনির্মিত ধূসর ও ফ্যাকাশে লাল রঙের মৃৎপাত্রের মৃৎপাত্র-খণ্ড উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও সাদা-কালো-লাল, ধূসর, এবং মসৃণ-লাল রঙের ব্যবহার্য জিনিসপত্র তৈরি করা হত। পাথরের ক্ষুদ্র ছুরিকা বা ফলক তৈরির কৌশল রপ্ত করেছিল।

তাম্রপ্রস্তর যুগে মৃৎপাত্র নির্মাণের অগ্রগতি ঘটেছিল। এই সময়ে মৃৎপাত্রের গায়ে বিভিন্ন নকশা আঁকার দক্ষতা অর্জন করেছিল। লাল মৃৎপাত্র অলংকরণের জন্য ফুটিক বা বিন্দু, এবং ড্যাশ’, বন্ধনী (সমান্তরাল, উল্লম্ব এবং আনুভূমিক), নিরেট ত্রিভুজ, শ্যাভরন, মই, চৌখুপি নকশা ইত্যাদি ব্যবহূত হতো। লাল রঙের পাত্রের আকার ও প্রকারের মধ্যে রয়েছে বাটি (উত্তল এবং অবতল-উত্তল ইত্যাদি), দীর্ঘ ও সরু কাট-স্পাউট এবং স্প্লেড প্রান্ত, থালা-বাসন-স্ট্যান্ড, বাটি-অন-স্ট্যান্ড (প্রায়শই আঁকা) কালো বা সাদা পিগমেন্টে), ফুলের পাত্র (কিছুর আকার 'টিউলিপ' এবং কিছু 'উল্টানো হেলমেট'), টম্বলার, ডিশ, ফুলদানি, লোটা (ছোট জলের পাত্র) এবং স্টোরেজ জার; বাটি, চ্যানেল-স্পুটেড বাটি এবং থালা (প্রায়ই ভিতরে সাদা বা ক্রিম দিয়ে আঁকা)। ধূসর গুদামে স্টোরেজ জারও পাওয়া গেছে।[]

হাতিয়ার তৈরিতে মানুষজন তাম্রপ্রস্তর যুগে অধিক দক্ষতা অর্জন করেছিল, ধাতু বিহীন যুগ অপেক্ষা। মাংস খাওয়ার পরে বর্জ্য হাড় বা কঙ্কাল থেকে বেশিরভাগ সরঞ্জাম তৈরি করা হত। হাড়ের সরঞ্জাম তৈরিতে নির্দিষ্ট হাড়, হোম ও অ্যান্টলারের নির্বাচন হাড়ের হাতিয়ার শিল্পে লোকেদের দক্ষতা নির্দেশ করে এবং অস্টিওলজির উপর তাদের জ্ঞানের প্রমাণ দেয়। স্ক্র্যাপারগুলি (ব্লেড) পাতলা প্যারিটাল, স্ক্যাপুলার এবং পাঁজরের হাড় থেকে তৈরি করা হত, যদিও খুব কমই, শক্ত ও সোজা লম্বা হাড়গুলিও স্ক্র্যাপারগুলিতে হ্যাক করা হয়েছিল। সরঞ্জামগুলি নিয়মিত ধারালো করা হত, এবং ভোঁতা হয়ে যাওয়ার পরে দ্বিতীয়বার পুনর্নবীকরণ করা হত। কিছু ক্ষেত্রে সরঞ্জামগুলিকে তীক্ষ্ণ করার জন্য ধাতব অস্ত্র যুক্ত করা হত। হাতিয়ারের কাঁচামাল হিসাবে হাড়ের উপর নির্ভরতা থেকে বোঝা যায় যে ধাতু মানুষের কাছে বেশি প্রিয় ও স্থায়িত্বের দিক থেকে হাড়গুলি সুবিধাজনক, খোদাই করা সহজ ও সহজলভ্য উপাদান ছিল।

বাসগৃহ

[সম্পাদনা ]

এখানকার অধিবাসীরা কাদার প্রলেপ যুক্ত দেওয়াল বিশিষ্ট কুঁড়েঘরে বাস করত; গোলাকার, বর্গাকার ও আয়তাকার ঘর তৈরিতে সিদ্ধহস্ত ছিলেন। পোড়া মাটির টুকরা এবং চুনের আস্তরণে ঘরগুলোর মেঝে পাকা করার কৌশল তারা আবিষ্কার করেছিলেন। নলখাগড়ার সঙ্গে মাটি মিশিয়ে তারা তৈরি করতেন ঘরের পোক্ত বেড়া বা দেওয়াল। এরূপ দেওয়াল আর খুঁটির ওপর নির্মিত হতো ঘরের ছাদ। ঘরের কোণে উনান ও জ্বালানি রাখার স্থান নির্ধারিত ছিল। পরবর্তী কালে গৃহগুলি উন্নত হয়েছিল।

সমাধি

[সম্পাদনা ]

গুরুত্ব

[সম্পাদনা ]

পাণ্ডু রাজার ঢিবিতে খননকার্য চালিয়ে হড় বা সাঁওতাল অনার্য উৎস সম্পর্কে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। পূর্ব ভারতের তাম্রযুগীয় সভ্যতার সঙ্গে মধ্য ভারত ও রাজস্থান অঞ্চলের অনুরূপ সভ্যতার মিল পাওয়া গিয়েছে। সেযুগের লোকজন সুপরিকল্পিত শহর নির্মাণ করতে পারত। তারা শহরের পথে ফুটপাথ রাখত। তাদের অর্থনীতির ভিত্তি ছিল কৃষি ও বাণিজ্য। পাণ্ডু রাজার ঢিবিকে একটি বাণিজ্য নগরীর ধ্বংসাবশেষ মনে করা হয়। এখানকার মানুষের সঙ্গে যে শুধু ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল, তাই নয়; এরা ক্রিট ও ম্যাসিডোনিয়ান দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখত। এরা ছিল মূলত সমুদ্রচারী বণিক জাতি।[]

২৯ শে নভেম্বর ১৯৬৩ সাল শুক্রবার দিন প্রকাশ্যে আসা গোলাকার পাথরের শিলটি মনে করা হচ্ছে কোল, সাঁওতাল অর্থাৎ হড় ভাষা দিয়ে তার বিভিন্ন মানে উদ্ধার করা সম্ভব। কারণ ভারতবর্ষের প্রাচীনতম ভাষা এবং সমাজ ব্যবস্থার উপরে ভিত্তি করে এই পান্ডু রাজার ঢিবির খৃষ্টপূর্বাব্দের অনেক অজানা তথ্য ও সমাজ সংস্কৃতির পরিচয় জানা যাবে। ধরে নেওয়া যেতে পারে বৈদিক সাহিত্য রচনাকালের বহু আগের পুরনো সভ্যতা ছিল যা বর্তমান আর্য ভাষা দিয়ে পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

বাংলার তাম্র-প্রস্তর যুগীয় সংস্কৃতির শিল্পীদের সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায় না। সম্ভবত তারা ছিল প্রটো- অস্ট্রোলয়েড অথবা ভেড্ডেডীয়। ১৪ জন পুরুষ, মহিলা ও শিশুর অস্থিপঞ্জর বা কঙ্কালের উপর পরিচালিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে মনে হয় যে, তারা ছিল লম্বা মাথা বিশিষ্ট এবং উচ্চতায় তারা ছিল মাঝারি গড়ন থেকে লম্বাটে ধরনের। সাঁওতাল অথবা শবরদের সঙ্গে এদের যথেষ্ট মিল রয়েছে।[]

পাদটীকা

[সম্পাদনা ]
  1. Chattopadhyay, Akkori, Bardhaman Jelar Itihas O Lok Sanskriti (History and Folklore of Bardhaman District.), (বাংলা), Vol I, pp. 125-130, Radical Impression. আইএসবিএন ৮১-৮৫৪৫৯-৩৬-৩
  2. Mukherjee, Shyam Chand। "Pandu Rajar Dhibi"Banglapedia। Asiatic Society of Bangladesh। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-০৪ 
  3. "৪ হাজার বছর প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থলে চড়ছে গরু-ছাগল, অবহেলিত পাণ্ডু রাজার ঢিবি"sangbadpratidin (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  4. "প্রায় চার হাজার বছর পূর্বের সভ্যতার নিদর্শন বর্ধমানের 'পাণ্ডু রাজার ঢিবি '"Eisamay। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬ 
  5. Majumdar, R.C., History of Ancient Bengal, 2005 edition, pp. 20-22
  6. Parimal Chandra Mitra (১৯৮৮)। Santhali : The Base of World Language। Firma KLM Private Limited। পৃষ্ঠা 40 to 46। 
পশ্চিমবঙ্গ
বাংলাদেশ
পশ্চিমবঙ্গের প্রত্নস্থল ও পুরাকীর্তি
উত্তর চব্বিশ পরগনা
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা
পশ্চিমপূর্ব মেদিনীপুর
পুরুলিয়া
পশ্চিমপূর্ব বর্ধমান
বাঁকুড়া
মালদহ
মুর্শিদাবাদ
হুগলি

AltStyle によって変換されたページ (->オリジナル) /