উশি

উশি (চীনা: 無錫 ; ফিনিন: Wúxī ) পূর্ব চীনের চিয়াংসু প্রদেশের দক্ষিণভাগে অবস্থিত একটি নগরী। এটি সাংহাই নগরী থেকে ১৩৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে, ছাংচৌ ও সুচৌ নগরীগুলির মধ্যবর্তী অবস্থানে অবস্থিত।^[২] ভৌগোলিকভাবে এটি ইয়াংৎসি নদীর দক্ষিণ অববাহিকাতে, থাই হ্রদের তীরে অবস্থিত। ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী এখানে প্রায় ৫০ লক্ষ লোকের বাস ছিল।

উশি চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক নগরী। প্রাচীনকাল থেকেই এটি একটি সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক কেন্দ্র। এখানে চাল, রেশম ও বস্ত্র উৎপাদন ও রপ্তানি করা হত। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে এসে এটি বৈদ্যুতিক মোটর, সফটওয়্যার, সৌরশক্তি প্রযুক্তি ও বাইসাইকেলের যন্ত্রাংশের উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ একটি কেন্দ্রে পরিণত হয়।

থাই হ্রদের ৪৮টি অণুদ্বীপগুলি পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়। অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে আছে লিহু নগর উদ্যান, লিংশান পর্বত মহাবুদ্ধ দৃষ্টিনন্দন এলাকা ও সেটিতে অবস্থিত ৮৮ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট লিংশানের মহাবুদ্ধমূর্তি, শিহুয়েই উদ্যান, উশি চিড়িয়াখানা ও থাইহু হ্রদ বিনোদন উদ্যান এবং উশি জাদুঘর।

নগরীটিতে ২০০৪ সালে সুনান শুওফাং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও ২০১৪ সালে উশি পাতালরেল ব্যবস্থা চালু করা হয়। এছাড়া এটি সাংহাই-নানচিং আন্তঃনগর দ্রুতগামী রেলপথের মাধ্যমে সাংহাই নগরীর সাথে সংযুক্ত।

নেচার সূচক অনুযায়ী উশি বিশ্বের সেরা ৫০০ বিজ্ঞান গবেষণা উৎপাদক নগরীগুলির একটি।^[৩] নগরীর চিয়াংনান বিশ্ববিদ্যালয়টি চীনের একটি মর্যাদাবাহী প্রধান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

• চীনের শহর

• স্ক্রিপ্ট ত্রুটিসহ পাতা
• উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে
• সরলীকৃত চীনা ভাষার লেখা থাকা নিবন্ধ
• উইকিউপাত্তে স্থানাঙ্ক আছে
• ঐতিহ্যবাহী চীনা ভাষার লেখা থাকা নিবন্ধ
• চীনা ভাষার লেখা থাকা নিবন্ধ
• কার্টোগ্রাফার এক্সটেনশন ব্যবহার করা পাতা