অস্ট্রিয়া
- Аԥсшәа
- Acèh
- Адыгабзэ
- Afrikaans
- Alemannisch
- አማርኛ
- Pangcah
- Aragonés
- Ænglisc
- अंगिका
- العربية
- ܐܪܡܝܐ
- الدارجة
- مصرى
- অসমীয়া
- Asturianu
- Авар
- Kotava
- अवधी
- Aymar aru
- Azərbaycanca
- تۆرکجه
- Башҡортса
- Basa Bali
- Boarisch
- Žemaitėška
- Bikol Central
- Беларуская
- Беларуская (тарашкевіца)
- Betawi
- Български
- भोजपुरी
- Bislama
- བོད་ཡིག
- বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী
- Brezhoneg
- Bosanski
- Batak Mandailing
- Basa Ugi
- Буряад
- Català
- Chavacano de Zamboanga
- 閩東語 / Mìng-dĕ̤ng-ngṳ̄
- Нохчийн
- Cebuano
- Chamoru
- ᏣᎳᎩ
- Tsetsêhestâhese
- کوردی
- Corsu
- Qırımtatarca
- Čeština
- Kaszëbsczi
- Словѣньскъ / ⰔⰎⰑⰂⰡⰐⰠⰔⰍⰟ
- Чӑвашла
- Cymraeg
- Dansk
- Dagbanli
- Deutsch
- Zazaki
- Dolnoserbski
- डोटेली
- ދިވެހިބަސް
- ཇོང་ཁ
- Eʋegbe
- Ελληνικά
- Emiliàn e rumagnòl
- English
- Esperanto
- Español
- Eesti
- Euskara
- Estremeñu
- فارسی
- Fulfulde
- Suomi
- Võro
- Na Vosa Vakaviti
- Føroyskt
- Français
- Arpetan
- Nordfriisk
- Furlan
- Frysk
- Gaeilge
- Gagauz
- Kriyòl gwiyannen
- Gàidhlig
- Galego
- Avañe'ẽ
- गोंयची कोंकणी / Gõychi Konknni
- 𐌲𐌿𐍄𐌹𐍃𐌺
- ગુજરાતી
- Gaelg
- Hausa
- 客家語 / Hak-kâ-ngî
- Hawaiʻi
- עברית
- हिन्दी
- Fiji Hindi
- Hrvatski
- Hornjoserbsce
- Kreyòl ayisyen
- Magyar
- Հայերեն
- Արեւմտահայերէն
- Interlingua
- Bahasa Indonesia
- Interlingue
- Igbo
- Ilokano
- ГӀалгӀай
- Ido
- Íslenska
- Italiano
- 日本語
- Patois
- La .lojban.
- Jawa
- ქართული
- Qaraqalpaqsha
- Taqbaylit
- Адыгэбзэ
- Kabɩyɛ
- Kongo
- Gĩkũyũ
- Қазақша
- ភាសាខ្មែរ
- ಕನ್ನಡ
- 한국어
- Перем коми
- Къарачай-малкъар
- Ripoarisch
- Kurdî
- Коми
- Kernowek
- Кыргызча
- Latina
- Ladino
- Lëtzebuergesch
- Лакку
- Лезги
- Lingua Franca Nova
- Limburgs
- Ligure
- Ladin
- Lombard
- Lingála
- ລາວ
- Lietuvių
- Latgaļu
- Latviešu
- Madhurâ
- मैथिली
- Basa Banyumasan
- Мокшень
- Malagasy
- Олык марий
- Māori
- Minangkabau
- Македонски
- മലയാളം
- Монгол
- ꯃꯤꯇꯩ ꯂꯣꯟ
- मराठी
- Кырык мары
- Bahasa Melayu
- Malti
- Mirandés
- မြန်မာဘာသာ
- Эрзянь
- مازِرونی
- Napulitano
- Plattdüütsch
- Nedersaksies
- नेपाली
- नेपाल भाषा
- Nederlands
- Norsk nynorsk
- Norsk bokmål
- Novial
- Nouormand
- Sesotho sa Leboa
- Diné bizaad
- Occitan
- Livvinkarjala
- Oromoo
- ଓଡ଼ିଆ
- Ирон
- ਪੰਜਾਬੀ
- Pangasinan
- Kapampangan
- Papiamentu
- Picard
- Deitsch
- Pälzisch
- पालि
- Norfuk / Pitkern
- Polski
- Piemontèis
- پنجابی
- Ποντιακά
- پښتو
- Português
- Runa Simi
- Rumantsch
- Romani čhib
- Română
- Armãneashti
- Tarandíne
- Русский
- Русиньскый
- Ikinyarwanda
- संस्कृतम्
- Саха тыла
- ᱥᱟᱱᱛᱟᱲᱤ
- Sardu
- Sicilianu
- Scots
- سنڌي
- Davvisámegiella
- Srpskohrvatski / српскохрватски
- Taclḥit
- ၽႃႇသႃႇတႆး
- සිංහල
- Simple English
- Slovenčina
- سرائیکی
- Slovenščina
- Gagana Samoa
- Anarâškielâ
- ChiShona
- Soomaaliga
- Shqip
- Српски / srpski
- Sranantongo
- SiSwati
- Sesotho
- Seeltersk
- Sunda
- Svenska
- Kiswahili
- Ślůnski
- Sakizaya
- தமிழ்
- Tayal
- తెలుగు
- Tetun
- Тоҷикӣ
- ไทย
- Türkmençe
- Tagalog
- Tolışi
- Lea faka-Tonga
- Tok Pisin
- Türkçe
- Seediq
- Xitsonga
- Татарча / tatarça
- ChiTumbuka
- Twi
- Тыва дыл
- Удмурт
- ئۇيغۇرچە / Uyghurche
- Українська
- اردو
- Oʻzbekcha / ўзбекча
- Vèneto
- Vepsän kel’
- Tiếng Việt
- West-Vlams
- Volapük
- Walon
- Winaray
- Wolof
- 吴语
- Хальмг
- მარგალური
- ייִדיש
- Yorùbá
- Vahcuengh
- Zeêuws
- ⵜⴰⵎⴰⵣⵉⵖⵜ ⵜⴰⵏⴰⵡⴰⵢⵜ
- 中文
- 文言
- 閩南語 / Bân-lâm-gú
- 粵語
- IsiZulu
অস্ট্রিয়া প্রজাতন্ত্র Republik Österreich | |
---|---|
জাতীয় মর্যাদাবাহী নকশা
| |
জাতীয় সঙ্গীত:
| |
অস্ট্রিয়া-এর অবস্থান (গাঢ় সবুজ) – ইউরোপে (সবুজ & গাঢ় ধূসর) – ইউরোপীয় ইউনিয়নে (সবুজ) – [ব্যাখ্যা] অস্ট্রিয়া-এর অবস্থান (গাঢ় সবুজ) – ইউরোপে (সবুজ & গাঢ় ধূসর) | |
রাজধানী ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি | ভিয়েনা |
সরকারি ভাষা | জার্মান |
আঞ্চলিক ভাষাসমূহ [১] |
|
নৃগোষ্ঠী (২০১১) | |
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ | অস্ট্রিয়ান |
সরকার | ফেডারেল সংসদীয় প্রজাতন্ত্র |
আলেক্সান্ডার ভ্যান ডার | |
সেবাস্তিয়ান কুরয | |
বারবারা প্রাম্মের (এসপিও) | |
আইন-সভা | সংসদ |
• উচ্চকক্ষ | ফেডারেল পরিষদ |
জাতীয় পরিষদ | |
স্বাধীনতা | |
• ডিউক | ১১৫৬ |
১৮০৪ | |
১৯১৮–১৯৩৪ | |
১৯৩৪–১৯৩৮ | |
১৯৩৮–১৯৪৫ | |
১৯৪৫ থেকে | |
• কার্যকরী রাজ্য চুক্তি | ২৭শে জুলাই, ১৯৫৫ |
আয়তন | |
• মোট | ৮৩,৮৫৫ কিমি২ (৩২,৩৭৭ মা২) (১১৩তম) |
• পানি (%) | ১.৭ |
জনসংখ্যা | |
• ২০১৮ আনুমানিক | 8,823,054[৪] (৯৬তম) |
• এপ্রিল ২০১৬ আদমশুমারি | ৮,৭২৫,৯৩১[৪] |
• ঘনত্ব | ১০৪/কিমি২ (২৬৯.৪/বর্গমাইল) (১০৬তম) |
জিডিপি (পিপিপি) | ২০১২ আনুমানিক |
• মোট | 358ドル.916 billion[৫] |
• মাথাপিছু | $৪২,৪৭৭[৫] |
জিডিপি (মনোনীত) | ২০১২ আনুমানিক |
• মোট | $৩৯১.৪৬৯ বিলিয়ন[৫] |
• মাথাপিছু | $৪৬,৩৩০[৫] |
জিনি (২০০৭) | ২৬[৬] নিম্ন |
মানব উন্নয়ন সূচক (২০১১) | বৃদ্ধি ০.৮৮৫[৭] অতি উচ্চ · ১৯তম |
মুদ্রা | ইউরো (€)d (EUR) |
সময় অঞ্চল | ইউটিসি+০১ (সিইটি) |
• গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি) | ইউটিসি+০২ (সিইডিটি) |
গাড়ী চালনার দিক | ডানদিক |
কলিং কোড | +৪৩ |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | AT |
ইন্টারনেট টিএলডি | .at e |
|
অস্ট্রিয়া (জার্মান: Österreich ও্যস্টারাইশ্, ক্রোয়েশীয় ভাষায়: Austrija আউস্ত্রিয়া, হাঙ্গেরীয় ভাষায়: Ausztria অউস্ত্রিয়, স্লোভেনীয় ভাষায: Avstrija আভ্স্ত্রিয়া) পশ্চিম ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। স্থলবেষ্টিত এই দেশের উত্তরে জার্মানি ও চেক প্রজাতন্ত্র, পূর্বে স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরি, দক্ষিণে স্লোভেনিয়া ও ইতালি, এবং পশ্চিমে সুইজারল্যান্ড ও লিশ্টেন্ষ্টাইন। অস্ট্রিয়া মূলত আল্পস পর্বতমালার উপরে অবস্থিত। দেশটির তিন-চতুর্থাংশ এলাকাই পর্বতময়।
অস্ট্রিয়া একটি সংসদীয় গণতন্ত্র। এখানে ৯টি ফেডারেল রাজ্য রয়েছে। এটি ইউরোপের ৬টি রাষ্ট্রের অন্যতম যারা স্থায়ীভাবে নিরপেক্ষতা ঘোষণা করেছে। অস্ট্রিয়া ১৯৫৫ থেকে জাতিসংঘের এবং ১৯৯৫ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য।
অস্ট্রিয়া অতীতে হাবসবুর্গ রাজাদের অধীনস্থ একটি বিস্তৃত শক্তিশালী সাম্রাজ্যের প্রাণকেন্দ্র ছিল। ভিয়েনা ছিল সেই সাম্রাজ্যের রাজকীয় রাজধানী। ভিয়েনা এখনও বিশ্বের অন্যতম প্রধান শহর হিসেবে আদৃত। এর রাজকীয় রূপ, অসাধারণ বারোক স্থাপত্য, সঙ্গীত ও নাট্যকলা জগদ্বিখ্যাত। ভিয়েনা বর্তমানে অস্ট্রিয়ার বৃহত্তম শহর ও রাজধানী।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের (১৯১৪-১৯১৮) শেষে অস্ট্রিয়ার অধীনস্থ বহুজাতিক সাম্রাজ্যটি ভেঙে যায় এবং তার স্থানে একাধিক জাতিরাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটে। অস্ট্রিয়া নিজে একটি ক্ষুদ্র স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্রে পরিণত হয়। নতুন রাষ্ট্রগুলি বাণিজ্য বাধার সৃষ্টি করলে অস্ট্রিয়া তার প্রাক্তন বৈদেশিক বাজার এবং জ্বালানির উৎস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দেশটির অর্থনীতি বৈদেশিক সাহায্যের পর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। অস্ট্রিয়াতে রক্ষণশীল শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ১৯৩০-এর দশকের অর্থনৈতিক মন্দা দেশটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দেয়। যে সমাজতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তি ভিয়েনাকে সামাজিক গণতন্ত্রের মডেল হিসেবে গড়ে তুলেছিল, ১৯৩৪ সালে তাদের পতন ঘটে এবং ডানপন্থী স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৩৯ সালে নাৎসি জার্মানি অস্ট্রিয়াকে নিজেদের সাথে সংযুক্ত করে নেয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে (১৯৩৯-১৯৪৫) জার্মানির পরাজয়ের পর মিত্রশক্তি অস্ট্রিয়া দখল করে। এসময় মার্কিন ও সোভিয়েত সেনারা এখানে অবস্থান করছিল। ১৯৫৫ সালে অস্ট্রিয়া আবার স্বাধীন হয় এবং তারপর থেকে দেশটির অভাবনীয় অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে। বর্তমানে দেশটি একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য। রপ্তানি ও পর্যটন শিল্প দেশটির আয়ের বড় উৎস। ভিয়েনার সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং অস্ট্রিয়ার অসাধারণ সৌন্দর্যময় পার্বত্য ভূদৃশ্যাবলীর টানে এখানে বহু পর্যটক বেড়াতে আসেন।
ইতিহাস
[সম্পাদনা ]অস্ট্রিয়ার ইতিহাস ৯৭৬ সালে শুরু হয়। ঐ বছর লেওপোল্ড ফন বাবেনবের্গ বর্তমান অস্ট্রীয় এলাকার বেশির ভাগ অংশের শাসকে পরিণত হন। ১২৭৬ সালে রাজা প্রথম রুডলফ হাব্স্বুর্গ বংশের প্রথম রাজা হিসেবে অস্ট্রিয়ার শাসক হন।
হাব্স্বুর্গ রাজবংশের রাজারা প্রায় ৭৫০ বছর অস্ট্রিয়া শাসন করেন। রাজনৈতিক বিবাহ সম্পাদনের মাধ্যমে হাব্স্বুর্গেরা মধ্য ইউরোপের এক বিরাট এলাকা দখলে সক্ষম হন। তাদের ভূসম্পত্তি এমনকি আইবেরীয় উপদ্বীপ (বর্তমান স্পেন) পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। ১৬শ ও ১৭শ শতকে উসমানীয় সাম্রাজ্যের আক্রমণের ফলে অস্ট্রীয় এলাকাটি ধীরে ধীরে দানিউব নদীর অববাহিকার কেন্দ্রীয় ইউরোপীয় অংশটিতে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে।
১৮৪৮ সালে প্রথম ফ্রান্ৎস ইয়োজেফ সিংহাসনে আরোহণ করেনে এবং ১৯১৬ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। তার আমলে অস্ট্রীয় ইতিহাসের বহু গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটে। ১৮৬৭ সালে অস্ট্রীয় সাম্রাজ্যের ভেতরে হাঙ্গেরি আগের চেয়ে বেশি রাজনৈতিক স্বাধীনতা পায়, ফলে অস্ট্রো-হাঙ্গেরীয় দ্বৈত রাজ্যব্যবস্থার আবির্ভাব ঘটে। ২০শ শতকে এসে রাজনৈতিক টানাপোড়েন বৃদ্ধি পায় এবং ১ম বিশযুদ্ধ শেষে সাম্রাজ্যের অবসান ঘটে। ঐ সময় অস্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র স্বাধীনতা ঘোষণা করে, যার সীমানা ও বর্তমান অস্ট্রিয়ার সীমানা মোটামুটি একই রকম। ১৯১৯ সালে সাঁ জেরমাঁ-র চুক্তির ফলে হাব্স্বুর্গ রাজবংশ সরকারিভাবে বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং অস্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯১৮ থেকে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত অস্ট্রিয়াতে রাজনৈতিক সংঘাত বৃদ্ধি পায়। ১৯২০-এর দশকের শেষে এবং ১৯৩০-এর দশকের শুরুতে আধা-সামরিক রাজনৈতিক সংগঠনগুলি হরতাল ও সহিংস সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। বেকারত্বের হার বেড়ে ২৫% হয়ে যায়। ১৯৩৪ সালে একটি কর্পোরেশনবাদী স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতায় আসে। ১৯৩৪ সালের জুলাই মাসে অস্ট্রীয় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক (নাৎসি) দল কু-এর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। ১৯৩৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জার্মানির সামরিক আগ্রাসনের হুমকির মুখে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কুর্ট শুশনিগ অস্ট্রীয় নাৎসিদের সরকারে নিতে বাধ্য হন। ১৯৩৮ সালের ১২ই মার্চ জার্মানি অস্ট্রিয়াতে সৈন্য পাঠায় এবং দেশটিকে জার্মানির অংশভুক্ত করে নেয়। এই ঘটনাটির ঐতিহাসিক নাম দেয়া হয়েছে আন্শ্লুস (জার্মান ভাষায় Anschluss)। সেসময় বেশির ভাগ অস্ট্রীয় এই আনশ্লুস সমর্থন করেছিল।
১৯৩৮ সালের মার্চ থেকে ১৯৪৫ সালের এপ্রিলের মধ্যে অস্ট্রিয়ার অধিকাংশ ইহুদীকে হয় হত্যা করা হয় অথবা নির্বাসনে যেতে বাধ্য করা হয়। সিন্তি, জিপসি, সমকামী এবং অন্যান্য রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্ব্বীদেরও একই পরিণাম ঘটে। ১৯৩৮ সালের আগে অস্ট্রিয়াতে ২ লক্ষ ইহুদী বাস করত। ১৯৩৮ থেকে ১৯৪০ সালের মধ্যে এদের অর্ধেকের বেশি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। জার্মানরা ইহুদীদের ব্যবসা ও দোকানপাটে লুটতরাজ চালায়। প্রায় ৩৫ হাজার ইহুদীকে পূর্ব ইউরোপে গেটো বা বস্তিতে পাঠানো হয়। প্রায় ৬৭ হাজার ইহুদীকে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়; যুদ্ধশেষে এদের মাত্র ২ হাজার বেঁচে ছিল।
১৯৪৫ সালে জার্মানির পরাজয়ের পর মিত্রশক্তিরা অস্ট্রিয়াকে চারভাগে ভাগ করে। ১৯৫৫ সালের ২৫শে অক্টোবর নাগাদ এরা সবাই অস্ট্রিয়া ত্যাগ করে এবং অস্ট্রিয়া পূর্ণ স্বাধীনতা পায়।
রাজনীতি
[সম্পাদনা ]অস্ট্রিয়ার রাজনীতি-র ভিত্তি একটি কেন্দ্রীয় সংসদীয় প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রী প্রজাতন্ত্র ব্যবস্থা, যেখানে চ্যান্সেলর হলেন সরকারপ্রধান। এটি একটি বহুদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা। সরকার নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী। আইন প্রণয়ন ক্ষমতা দ্বি-কাক্ষিক সংসদ (জাতীয় কাউন্সিল ও কেন্দ্রীয় কাউন্সিল) ও সরকার, উভয়ের হাতে ন্যস্ত। ১৯৪৯ সাল থেকে রক্ষণশীল দল Austrian People's party ও সমাজবাদী গণতান্ত্রিক দল Social Democratic Party of Austria দেশটির রাজনৈতিক ব্যবস্থায় প্রাধান্য বিস্তার করে আসছে।
ভূগোল
[সম্পাদনা ]অস্ট্রিয়াকে তিনটি অসম ভৌগোলিক অঞ্চলে ভাগ করা যায়। এদের মধ্যে বৃহত্তম অংশটি (৬২%) হল আল্পস পর্বতমালার অপেক্ষাকৃত নবীন পাহাড়গুলি। এদের পূর্বে আছে পানোনীয় সমভূমি, এবং দানিউব নদীর উত্তরে আছে বোহেমীয় অরণ্য নামের একটি পুরানো কিন্তু অপেক্ষাকৃত নিচু গ্রানাইট পাথরে নির্মিত পার্বত্য অঞ্চল।
দানিউব নদী
[সম্পাদনা ]দানিউব নদী দক্ষিণ-পশ্চিম জার্মানির ডোনাএশিঙেনের কাছ থেকে উৎপত্তি লাভ করে অস্ট্রিয়ার ভেতর দিয়ে পূর্বমুখে প্রবাহিত হয়ে কৃষ্ণসাগরে পতিত হয়েছে। আল্পসের উত্তরের ইন নদী, ৎসালজাখ নদী ও এন্স নদী দানিউবের উপনদী। অন্যদিকে আল্পসের দক্ষিণের অর্থাৎ মধ্য ও পূর্ব অস্ট্রিয়ার গাইল নদী, ড্রাভা নদী, ম্যুর্ৎস নদী ও মুরা নদী সার্বিয়াতে গিয়ে দানিউবে পতিত হয়েছে।
আল্পস পর্বতমালা
[সম্পাদনা ]আল্পসের তিনটি প্রধান শাখা, উত্তর চুনাপাথরীয় আল্পস, কেন্দ্রীয় আল্পস, ও দক্ষিণ চুনাপাথরীয় আল্পস অস্ট্রিয়ার পশ্চিম থেকে পূর্ব জুড়ে বিস্তৃত। ৩৭৯৭ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট গ্রোস্গ্লকনার অস্ট্রিয়ার সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। অস্ট্রিয়ার মাত্র ২৮% অঞ্চল সমতল বা অপেক্ষাকৃত কম পাহাড়ি।
বোহেমীয় অরণ্য
[সম্পাদনা ]দানিউব উপত্যকার উত্তরে অস্ট্রিয়ার প্রায় ১০% এলাকা জুড়ে অবস্থিত একটি গ্রানাইট মালভূমি এলাকা।
অর্থনীতি
[সম্পাদনা ]অস্ট্রিয়ার অর্থনীতি ব্যবস্থাকে একটি সামাজিক বাজার অর্থনীতি হিসেবে গণ্য করা হয়। এর গঠন প্রতিবেশী জার্মানির অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মতন।
২০০৪ সালের তথ্য অনুযায়ী অস্ট্রিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৪র্থ ধনী দেশ। এখানকার মাথাপিছু স্থুল জাতীয় উৎপাদন প্রায় ২৭,৬৬৬ ইউরো। কেবন লুক্সেমবুর্গ, আয়ারল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ড্স এই দিক থেকে অস্ট্রিয়ার চেয়ে এগিয়ে। [৮]
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, ২০০২-২০০৬ সময়সীমাতে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ১ থেকে ৩.৩%-এর মধ্যে স্থিতিশীল ছিল।[৯] মধ্য ইউরোপে অবস্থিত বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন সদস্যরাষ্ট্রগুলির (যেগুলি বেশির ভাগই পূর্ব ইউরোপে অবস্থিত) প্রবেশদ্বার হিসেবে অস্ট্রিয়া গুরুত্ব লাভ করেছে।
জনসংখ্যা
[সম্পাদনা ]অস্ট্রিয়ার জনসংখ্যা বর্তমানে ৮,৭২৫,৯৩১ জন।[৪]
ধর্মবিশ্বাস
[সম্পাদনা ]অস্ট্রিয়াতে প্রচলিত ধর্মবিশ্বাসের মধ্যে রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্টধর্ম প্রধান। ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ৭৩.৬% লোক এই ধর্মে বিশ্বাসী। [১০] প্রায় ১১.৫% লোক প্রতি রোববারে গির্জায় যান। তবে গির্জায় যাওয়ার পরিমাণ ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। লুথেরান খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা ২০০৬ সালে জনসংখ্যার ৪.৭% গঠন করেছে; এরা বেশির ভাগই দক্ষিণ অস্ট্রিয়ার কের্নটেন অঙ্গরাজ্যে বাস করে। অস্ট্রিয়াতে মুসলিম ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, বর্তমানে এরা জনসংখ্যার ৪.২%। এছাড়াও অস্ট্রিয়াতে স্বল্পসংখ্যক হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ ও ইহুদী বাস করেন। [১১] [১২]
ভাষা
[সম্পাদনা ]অস্ট্রিয়াতে মূলত জার্মান ভাষার একটি পরিবর্তিত রূপ ব্যবহৃত হয়। এর নাম অস্ট্রীয় জার্মান। জার্মান ভাষায় এর নাম Schönbrunner Deutsch (শ্যোনব্রুনার ডয়চ অর্থাৎ রাজকীয় প্রাসাদের জার্মান)। অস্ট্রীয় জার্মান বর্তমান আদর্শ জার্মান ভাষা থেকে বেশ কিছু দিকে থেকে আলাদা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে যে সমস্ত স্বরধ্বনি আদর্শ জার্মান ভাষায় উচ্চারিত হয়, অস্ট্রীয় জার্মান ভাষায় সেগুলি উচ্চারিত হয় না; কিংবা সামান্য ভিন্নভাবে উচ্চারিত হয়। অস্ট্রীয় জার্মান ভাষায় নিজস্ব প্রত্যয়েরও (suffix) ব্যবহার আছে। এছাড়া বলা হয়ে থাকে যে অস্ট্রীয় জার্মান খানিকটা নাসিক্য স্বরে (nasalized) বলা হয়ে থাকে।
অস্ট্রীয় জার্মান ভাষার উপভাষাগুলিকে আলেমানীয় উপভাষা ও দক্ষিণ বাভারীয় উপভাষা - এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়। আলেমানীয় উপভাষা দেশটির পূর্ব এক-তৃতীয়াংশে প্রচলিত (ফোরার্লবের্গ প্রদেশে)। আর দক্ষিণ বাভারীয় উপভাষাগুলি দেশের বাকি অংশে ব্যবহৃত। আলেমানীয় উপভাষাগুলি সুইজারল্যান্ডের জার্মান ও দক্ষিণ-পূর্ব জার্মানির ভাষাগুলির সাথে তুলনীয়। আর দক্ষিণ বাভারীয় উপভাষাগুলি জার্মানির বাভারিয়ার বা বায়ার্নের ভাষাগুলির সাথে তুলনীয়।
এছাড়াও অস্ট্রিয়ায় অনেকগুলি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিজস্ব ভাষায় কথা বলে থাকে। এগুলির মধ্যে অন্যতম হল ক্রোয়েশীয়, স্লোভেনীয়, হাঙ্গেরীয়, চেক, স্লোভাক এবং জিপসি ভাষাসমূহ।
শহর
[সম্পাদনা ]অস্ট্রিয়ার পাঁচটি প্রধান শহর হল ভিয়েনা, গ্রাৎস, লিনৎস, জালৎস্বুর্গ এবং ইন্সব্রুক।
ভিয়েনা অস্ট্রিয়ার রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। এটি অস্ট্রিয়ার অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রাণকেন্দ্র। শহরটি দানিউব নদীর দুই তীরে অবস্থিত। এর শহরতলীগুলি পশ্চিমে বিখ্যাত ভিয়েনা অরণ্য পর্যন্ত চলে গেছে। ভিয়েনা ইউরোপের সবচেয়ে রাজকীয় শহরগুলির একটি। এখানে অনেক জমকালো বাসভবন, রাজপ্রাসাদ, পার্ক ও গির্জা আছে। শহরের জনসংখ্যা ১৬ লক্ষের বেশি।
গ্রাৎস অস্ট্রিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। এটি ষ্টাইয়ারমার্ক প্রদেশের রাজধানী। শহরটি একটি উর্বত উপত্যকায় মুর নদীর তীরে অবস্থিত। গ্রাৎস একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প, বাণিজ্য ও শিক্ষাকেন্দ্র। এখানে প্রায় আড়াই লক্ষ লোকের বাস।
লিন্ৎস ওবারঅস্টাররাইখ প্রদেশের রাজধানী। এটি দানিউব নদীর তীরে অবস্থিত বন্দর শহর ও শিল্পকেন্দ্র।
জাল্ৎসবুর্গ অস্ট্রিয়ার সবচেয়ে নয়নাভিরাম শহরগুলির একটি। এটি জাল্ৎসাখ নদীর তীরে আল্পস পর্বতমালার পাদদেশে অবস্থিত। শহরটি বিখ্যাত সুরকার ভোলফগাং আমাদেউস মোৎসার্টের জন্মস্থান। এখানকার বাৎসরিক সঙ্গীত উৎসবগুলি সারা বিশ্বে পরিচিত। এখানে অনেক পর্যটক বেড়াতে আসেন।
ইন্সব্রুক টিরোলিয়ান আল্পস পর্বতমালায় সমুদ্র সমতল থেকে বহু উঁচুতে অবস্থিত একটি শীতকালীন অবকাশ যাপন কেন্দ্র। এটি টিরোল প্রদেশের রাজধানী ও ইন নদীর তীরে অবস্থিত। ইন্সব্রুকের অবস্থান ও সৌন্দর্যের কারণে এখানেও অনেক পর্যটক বেড়াতে আসেন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা ]- ↑ "Regional Languages of Austria"। CIA World Factbook। ২০০১। ৭ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- ↑ "Kommission für Migrations und Integrationsforschung der Österreichischen Akademie der Wissenschaften" (পিডিএফ)। Statistik Austria। ২০১২। পৃষ্ঠা 23। ১৪ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- ↑ Schlechtes Integrationsklima bessert sich diepresse.com (2012年07月09日).
- ↑ ক খ গ "Population by Year-/Quarter-beginning"। ১ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ ক খ গ ঘ "Austria"। International Monetary Fund । সংগ্রহের তারিখ October 2012। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "Distribution of family income – Gini index"। The World Factbook । Central Intelligence Agency। ২৩ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০০৯।
- ↑ "Human Development Report 2011" (PDF)। United Nations। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১১।
- ↑ (ইংরেজি) Regional GDP per inhabitant in the EU27 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৬ মার্চ ২০০৯ তারিখে, provided by Eurostat
- ↑ (ইংরেজি) Real GDP Growth – Expenditure Side, provided by the Austrian National Bank
- ↑ "Religion in Austria on CIA World Factbook"। ৩০ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১০। অজানা প্যারামিটার
|accessyear=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|access-date=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার|accessmonthday=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ "Religion in Austria on CIA World Factbook"। ৩০ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১০। অজানা প্যারামিটার
|accessyear=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|access-date=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার|accessmonthday=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ "Religion in Austria on Sacred Destinations"। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১০। অজানা প্যারামিটার
|accessyear=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|access-date=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার|accessmonthday=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:|আর্কাইভের-তারিখ=
(সাহায্য)