অংশুমান গায়কোয়াড়

অংশুমান দত্তজিরাও গায়কোয়াড় (মারাঠি: अंशुमन दत्ताजीराव गायकवाड; ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৫২ - ৩১ জুলাই ২০২৪) মহারাষ্ট্রের বোম্বেতে (বর্তমানে - মুম্বই) জন্মগ্রহণকারী সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ভারত ক্রিকেট দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ছিলেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শিতা দেখান ‘গ্রেট ওয়াল’ ডাকনামে পরিচিত অংশুমান গায়কোয়াড়।

ঘরোয়া ক্রিকেটে বরোদার প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গনে আধিপত্যবিস্তারকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান পেস বোলারদের বিপক্ষে রুখে দাঁড়াতে তিনি গভীর মনঃসংযোগ সহকারে রক্ষণাত্মক ভূমিকা পালন করতেন। অবসর পরবর্তীকালে ১৯৯০-এর দশকে দুই মেয়াদে ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেন।^[১]

সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক দত্ত গায়কোয়াড়ের সন্তান অংশুমানের ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৭৪ তারিখে কলকাতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে। একই মাঠে ১৯৮৪-এর শেষ দিনে ৩১ ডিসেম্বর তারিখে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি সর্বশেষ টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৪০ টেস্টে ৩০.০৭ গড়ে ২ শতক ও ১০ অর্ধ-শতক সহযোগে ১,৯৮৫ রান করেন। ১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে জামাইকায় আধুনিককালের বডিলাইন সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাইকেল হোল্ডিংয়ের বলের বিপক্ষে মোকাবেলা করে ৮১ তোলেন। ঐ সময়ে হেলমেটের প্রচলন ছিল না ও বাউন্সারের সীমাবদ্ধতা না থাকায় তার ডান কান ক্ষত-বিক্ষত হয়।^[২] এরপর তাকে ৪৮ ঘণ্টা হাসপাতালের নিবীড় পরিচর্যা কেন্দ্রে অবস্থান করতে হয় ও দুইবার সেলাই করতে হয়। অদ্যাবধি তিনি কানের সমস্যায় ভুগছেন।^[৩]

১৯৮২-৮৩ মৌসুমে জলন্ধরে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজস্ব সর্বোচ্চ ২০১ রান তোলেন। এ ইনিংসে তিনি ৬৭১ মিনিট ব্যয় করেন যা তার অসম্ভব ধৈর্যশীলতা ও গভীর মনোযোগের প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও ১৫ ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছেন তিনি। ৪ জুন, ১৯৭৫ তারিখে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআই অভিষেক ঘটে তার। ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।

ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পর গায়কোয়াড় ভাদোদারার জিএসএফসি’র পক্ষে কাজ করেন। এরপর ২০০০ সালের প্রথমদিকে ক্রিকেট জীবন থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। অক্টোবর, ১৯৯৭ সালে মদন লালের পরিবর্তে ভারত দলে প্রথমবারের মতো কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন।^[৪] ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর সেপ্টেম্বর, ১৯৯৯ সালে কপিল দেব তার স্থলাভিষিক্ত হন। পরবর্তীকালে আগস্ট, ২০০০ সাল থেকে অক্টোবর, ২০০০ সাল পর্যন্ত পুনরায় জাতীয় দলের কোচ ছিলেন। এবারও তার স্থলে এ দায়িত্বে আসেন কপিল দেব।

গায়কোয়াড় ক্যান্সারে ভুগছিলেন। তিনি লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কপিল দেবের আবেদনের পরে বিসিসিআই এবং তার সতীর্থরা মিলে গায়কোয়াড়ের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।^[৫]

২০২৪ সালের ৩১ জুলাই গায়কওয়াড ভারতের গুজরাতের বড়োদরায় মারা যান।^{[৬] [৭]}

• রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়
• শ্রীনিবাসরাঘবন ভেঙ্কটরাঘবন
• ১৯৭৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপ দলসমূহ
• ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে কপিল দেব
• আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণকারী পরিবারের তালিকা

• ইএসপিএনক্রিকইনফোতে অংশুমান গায়কোয়াড় উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন (ইংরেজি)

• ক্রিকেটআর্কাইভে অংশুমান গায়কোয়াড় উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)

• ১৯৫২-এ জন্ম
• ২০২৪-এ মৃত্যু
• ১৯৭৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার
• ১৯৭৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার
• ইন্ডিয়ান ইউনিভার্সিটিজের ক্রিকেটার
• পশ্চিম অঞ্চলের ক্রিকেটার
• বরোদার ক্রিকেটার
• ভারতীয় ক্রিকেটার
• ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসক
• ভারতীয় ক্রিকেট কোচ
• ভারতের টেস্ট ক্রিকেটার
• ভারতের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার
• ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ
• ভারত জাতীয় ক্রিকেট দল নির্বাচক
• মুম্বই থেকে আগত ক্রিকেটার

• উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে
• মারাঠি ভাষার লেখা থাকা নিবন্ধ
• ইংরেজি ভাষার বহিঃসংযোগ থাকা নিবন্ধ
• সদস্যতা-শুধুমাত্র বিষয়বস্তুতে সংযোগ ধারণকারী পাতা