অত্যাতঙ্ক আক্রমণ
- العربية
- Asturianu
- Azərbaycanca
- Беларуская
- Беларуская (тарашкевіца)
- Български
- Català
- Cymraeg
- Deutsch
- ދިވެހިބަސް
- Ελληνικά
- English
- Esperanto
- Español
- Eesti
- Euskara
- فارسی
- Suomi
- Français
- עברית
- हिन्दी
- Magyar
- Հայերեն
- Bahasa Indonesia
- Íslenska
- Italiano
- 日本語
- 한국어
- Kurdî
- Latviešu
- Македонски
- Bahasa Melayu
- مازِرونی
- नेपाली
- Nederlands
- ଓଡ଼ିଆ
- Polski
- Português
- Română
- Русский
- Саха тыла
- Simple English
- Shqip
- Tagalog
- Türkçe
- Українська
- اردو
- Tiếng Việt
- ייִדיש
- 中文
অত্যাতঙ্ক আক্রমণ হলো এমন একটি মানসিক রোগ যার কারণে একজন মানুষ হঠাত্ অতিরিক্ত উত্তেজিত হয়ে যায় এবং ভয় অনুভব করে। এসময় একজনের হৃৎপিণ্ড থমকে যায় বলে মনে হয় এবং শ্বাস নিতে পারেনা। এমনটা মনে হয় যেন সে পাগল হয়ে যাচ্ছে অথবা মারা যাচ্ছে। একে ইংরেজি ভাষায় "প্যানিক অ্যাটাক" (Panic attack) বলা হয়। অত্যাতঙ্ক আক্রমণের যথাযথ চিকিৎসা করা না হলে এটি প্যানিক ডিসর্ডারের দিকে ধাবিত করে এবং অন্যান্য জটিলতাও সৃষ্টি করতে পারে। এর কারণে এমনকি একজনের দেহের সাধারণ কার্যাবলিও থমকে যেতে পারে। কিন্তু যদি দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া হয় তাহলে অত্যাতঙ্ক আক্রমণ সমস্যাটি দূর হয়ে যেতে পারে অথবা এর প্রকোপ কমানো যেতে পারে এবং পরবর্তীতে একজন সাধারণ জীবনযাপনও করতে পারেন।
অত্যাতঙ্ক আক্রমণ কী
অত্যাতঙ্ক আক্রমণ হলো ভয়ের তরঙ্গ যা অপ্রত্যাশিত ঘটনা থেকে জন্ম নেয় এবং একজন মানুষকে ভয়ের অতিশায্যে নিয়ে যায়। কোনো আগাম বার্তা ছাড়াই এটি একজন মানুষকে আক্রমণ করে। এর কোনো পরিষ্কার কারণ পাওয়া যায়নি। এমনকি একজন বিশ্রামায়িত অথবা ঘুমন্ত মানুষকেও এটি আক্রমণ করতে পারে।
অত্যাতঙ্ক আক্রমণ কারও জীবনে কখনো হয়তো এক-দুইবার ঘটে থাকে। কিন্তু এমন কিছু মানুষ আছে যাদের কিছু দিন পরপরই অত্যাতঙ্ক আক্রমণ হয়। পুনঃপুন অত্যাতঙ্ক আক্রমণ সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট কারণে বা পারিপার্শ্বিকতায় হয়ে থাকে। যেমন- কেউ কথা বলছে অথবা হাঁটছে এমন সময় অত্যাতঙ্ক আক্রমণ হয়ে থাকে। বিশেষত পূর্বে অত্যাতঙ্ক আক্রমণ হয়েছে যে পারিপার্শ্বিক অবস্থায় সেই অবস্থায় যদি পড়ে তাহলে আবার অত্যাতঙ্ক আক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অর্থাৎ এমন কোনো ঘটনা যা কাউকে পূর্বে বিপদে ফেলেছিল এবং সে তা থেকে বেরুতে পারেনি এমন অবস্থায় পড়লে অত্যাতঙ্ক আক্রমণ ঘটে।
যে কেউই জীবনে এক দুইবার এই অত্যাতঙ্ক আক্রমণের শিকার হতে পারে যদিও সে সুস্বাস্থ্যবান এবং সুখী হয়। তাছাড়া কারো আবার অন্যসব ব্যাধি যেমন প্যানিক ব্যাধি, সামাজিক ফোবিয়া, অথবা হতাশা থেকে এই অত্যাতঙ্ক আক্রমণ দেখা দিতে পারে। তবুও একে প্রতিহত করা আছে। অত্যাতঙ্ক আক্রমণ মোকাবিলা করার কিছু কৌশল আছে যা অত্যাতঙ্ক আক্রমণের লক্ষণ দেখা দেইলে একজন ব্যবহার করতে পারে। আবার অন্যান্য অনেক কার্যকরি চিকিৎসাও আছে এর জন্য।[১]
ইতিহাস এবং রোগবিস্তার বিদ্যা
পূর্বে মনে করা হতো না যে অত্যাতঙ্ক আক্রমণ একটি চরম মানসিক অবস্থা। ১৯৮০ সালে "ডায়াগনস্টিক এন্ড স্ট্যাটিস্টিক্যাল ম্যানুয়াল (ডিএসএম)-৩" প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে পর্যন্ত পৃথক পৃথক মেডিক্যাল কলেজে পৃথকভাবে এই নিয়ে গবেষণা চলে। ছয়টি গবেষণা থেকে ডিএসএম-৩ অত্যাতঙ্ক আক্রমণ ও পুনঃপুন অত্যাতঙ্ক আক্রমণের প্রাদুর্ভাব সময়কাল এভাবে সংজ্ঞায়িত হয়েছে- সাধারণ জনগণের মধ্যে পুরুষ ও নারীর যথাক্রমে ২.৭% এবং ৭.১%। পুরুষদের থেকে মহিলারা দ্বিগুণ অত্যাতঙ্ক আক্রমণের শিকার হয় এবং মহিলাদের পুরুষদের সাতগুণ পুনরায় অত্যাতঙ্ক আক্রমণ হয়। সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রতি দশ জন এ একজন এই অত্যাতঙ্ক আক্রমণের শিকার হন।
প্যানিক ব্যাধি'র প্রাদুর্ভাব নিয়ে সুইজারল্যান্ড এর জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয় একটি গবেষণা করে যেখানে ৫৯১ জন মানুষকে ১৫ বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয়। যাদের পরিবারের পূর্বের প্যানিক ব্যাধি এবং অত্যাতঙ্ক আক্রমণের ইতিহাস ছিল তারাই এই অত্যাতঙ্ক আক্রমণের শিকার হয়। অত্যাতঙ্ক আক্রমণের সাথে অন্যান্য মানসিক ব্যধিরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে যেমন- হতাশা ( ম্যাজর ডিপ্রেশন, বাইপোলার ডিসর্ডার ইত্যাদী), আগোরাফোবিয়া, সামাজিক ফোবিয়া, নির্দিষ্ট ফোবিয়া, অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসর্ডার। এছাড়াও অ্যালকোহল (মদ বা সুরা) এবং তামাকের সাথেও এর কিছুটা সম্পর্ক আছে। অত্যাতঙ্ক আক্রমণ এবং অত্যাতঙ্ক রোগ একই রোগ।[২]